সরকারের সমালোচনায় বন্যা
লেখক
ও ব্লগার অভিজিত রায়কে হত্যার পর পেরিয়ে গেছে আড়াই মাস। যুক্তরাষ্ট্রের
গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত
পরিচালনা করছে। তবে এখনও পর্যন্ত হত্যাকান্ডে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা
সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক
সাক্ষাৎকার দেন অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা। ওই হামলার পর প্রথম
বিশদ কোন সাক্ষাৎকার নেয়া হয় অভিজিতের স্ত্রীর। স্বামীর হত্যাকারীদের
বিরুদ্ধে পরিচালিত তদন্তে বাংলাদেশ সরকার আরও তৎপর না হওয়ায় সমালোচনা করেন
বন্যা। তিনি বলেন, এটা ছিল সুপরিকল্পিত, আগে থেকেই সাজানো- বৈশ্বিক
সন্ত্রাসবাদের অংশ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের কেউ আমার কাছে না আসার
বিষয়টি আমাকে আরও বেশি বেদনাহত করেছে। এটা অনেকটা এমন যে, আমার কোন
অস্তিত্ব নেই এবং তারা মৌলবাদীদের ভয়ে ভীত। বন্যা পাল্টা-প্রশ্ন ছুড়ে বলেন,
বাংলাদেশ কি পরবর্তী পাকিস্তান বা আফগানিস্তান হতে চলেছে? অবশ্য,
এফবিআইয়ের কয়েক প্রতিনিধি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন বন্যা।
তিনি বলেন, আমরা জানতাম ওরকম একটা দেশে যে কোন কিছু ঘটতে পারে ও আমরা আগে
থেকেই সতর্ক ছিলাম। তিনি বলেন, অভিজিতকে একটাই মাত্র হুমকি দেয়া হয়।
কিন্তু, আমরা সেটাকে তেমন গুরুত্ব দেইনি। অন্যথায়, আমরা যেতাম না
(বাংলাদেশে)। গত ২৬শে এপ্রিল বইমেলা প্রাঙ্গন-সংলগ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
টিএসসি’তে চাপাতি হামলা চালানো হয় নিরীশ্বরবাদে বিশ্বাসী লেখক ও ব্লগার
অভিজিত রায়ের ওপর। সে হামলায় নিহত হন অভিজিত এবং স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে
গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা।
একটি আঙুল হারাতে হয় তাকে। সাক্ষাৎকারের সময় তার হাতে ব্যান্ডেজ বাধা ছিল।
ছিল না বাম হাতের বুড়ো আঙুল।
No comments