ক্যামেরনের মন্ত্রীরা
নিজের
প্রথম একদলীয় মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ গুছিয়ে এনেছেন বৃটেনের পুনঃনির্বাচিত
প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এবারের মন্ত্রিসভায় উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে,
বেশ কয়েকজন নারী মন্ত্রীর অন্তর্ভুক্তি ও পদন্নোতি। তবে শীর্ষ মন্ত্রীদের
সবাই গতবারের পদেই রয়ে গেছেন। নতুন ২ জন নারী মন্ত্রী যুক্ত হয়েছেন। এরা
হলেন- অ্যাম্বার রুড, যিনি জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী
হিসেবে কাজ করবেন। প্রিতি প্যাটেল কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব
পেয়েছেন। লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন মন্ত্রিসভায় থাকবেন না। তবে টোরি দলের
রাজনৈতিক মন্ত্রিসভায় অংশ থাকবে তার। এ খবর দিয়েছে বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান।
নিচে মন্ত্রী ও পার্লামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ পদধারীদের সমপর্কে সংক্ষিপ্ত
কিছু তথ্য উল্লেখ করা হলো।
জর্জ অসবোর্ন: চ্যান্সেলর অর্থাৎ অর্থমন্ত্রী হিসেবে আগের পদেই রয়ে গেছেন জর্জ অসবোর্ন। তিনি একই সঙ্গে ফার্স্ট সেক্রেটারি অব স্টেট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। অর্থাৎ বৃটেনের প্রধানমন্ত্রীর পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী এখন তিনিই। ধারণা করা হচ্ছে, ক্যামেরনের ডানহাত বলে পরিচিত অসবোর্ন কার্যত গতবারের উপ-প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগের স্থানটিই পেলেন।
থেরেসা মে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিজের আগের পদে রয়ে গেছেন থেরেসা মে। তাকে ভাবা হয় দলের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ নেতা। গত ৫০ বছরে বৃটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এতকাল কেউ দায়িত্ব পালন করেনি।
ফিলিপ হ্যামন্ড: ক্যামেরনের গতবারের মেয়াদে সর্বশেষ যে মন্ত্রিসভার রদবদল হয়, তখন প্রতিরক্ষামন্ত্রী থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর পদে উন্নীত হন ফিলিপ হ্যামন্ড। সেবার উইলিয়াম হেগের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। এবারও দায়িত্ব পাচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
মাইকেল ফেলন: চতুর্থ শীর্ষ মন্ত্রণালয় অর্থাৎ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধানের পদেও অদলবদল আসেনি। মাইকেল ফেলন এবারও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। অবশ্য নির্বাচন চলাকালে বিরোধী লেবার দলের প্রধান এড মিলিব্যান্ডকে উদ্দেশ্য করে তার করা মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তখন তিনি বলেছিলেন, এড মিলিব্যান্ড লেবার দলের নেতৃত্ব পেতে নিজের ভাইয়ের পিঠে ছুরি মেরেছিলেন। তিনি এবার যুক্তরাজ্যের পিঠে ছুরি মেরে প্রধানমন্ত্রী হতে চান।
মাইকেল গোভ: সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও টাইমস পত্রিকার সাংবাদিক মাইকেল গোভের পদাবনতি হয়েছিল গতবারের রদবদলে। সেবার শিক্ষামন্ত্রী থেকে চিফ হুইপ হয়েছিলেন তিনি। তবে এবার তাকে আবারও শীর্ষ পদে ফিরিয়ে এনেছেন ক্যামেরন। এবার তিনি দায়িত্ব পালন করবেন লর্ড চ্যান্সেলর ও বিচারমন্ত্রী হিসেবে।
ক্রিস গ্রেলিং: সাবেক বিচারমন্ত্রী ক্রিস গ্রেলিং-এর পদাবনতি হয়েছে। সেখানে তার অনেক শত্রু ছিল বলে ধারণা করা হতো। তবে এবার তিনি পাচ্ছেন হাউস অব কমন্সের নেতা ও পরিষদের লর্ড প্রেসিডেন্টের পদ। এ পদে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী উইলিয়াম হেগ দায়িত্ব পালন করেছেন একসময়।
নিকি মরগান: নিকি মরগান পাচ্ছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং নারী ও সমতা বিষয়ক মন্ত্রীর পদ।
মার্ক হার্পার: এবার পার্লামেন্ট চিফ হুইফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মার্ক হারফার। তিনি যুক্তরাজ্যের সাবেক অভিবাসন মন্ত্রী। অথচ একসময় ধরা পড়ে, তার ঘরের ক্লিনার নিজেই অবৈধ অভিবাসী! এর পর তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এবার তাকে বেশ কঠিন দায়িত্বই দেয়া হয়েছে। পার্লামেন্টে নিজের দলের সদস্যদের নিয়ন্ত্রণের ভার তার ওপর।
লেডি টিনা স্টোয়েল: তিনি দায়িত্ব পালন করবেন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের নেতা হিসেবে। বিস্টনের এ ব্যারোনেস একজন কারখানা শ্রমিকের কন্যা।
অ্যাম্বার রুড: খুব দ্রুতই পদোন্নতি পেয়েছেন অ্যাম্বার রুড। মন্ত্রিসভায় জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। সাবেক বিনিয়োগ ব্যাংকার অ্যাম্বার এর আগে এ মন্ত্রণালয়েরই আন্ডার-সেক্রেটারি ছিলেন। এবার তিনি লিব-ডেম দলের এড ডাভের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
সাজিদ জাভিদ: দলে সাজিদ জাভিদকে ভাবা হয় উদীয়মান তারকা হিসেবে। একাধারে ভারতীয় ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাজিদ জাভিদ সংস্কৃতি মন্ত্রী থেকে বাণিজ্য মন্ত্রীতে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি স্থালভিষিক্ত হয়েছেন ভিন্সে ক্যাবলের।
প্রিতি প্যাটেল: প্রিতি প্যাটেল পেয়েছেন কর্মসংস্থান মন্ত্রীর পদ। নির্বাচনী প্রচারণার সময় নিয়মিতই টিভিতে দেখা যেত তাকে। এর আগে এ পদে ছিলেন ইস্থার ম্যাকভে। নির্বাচনে হেরে পদ খুইছেন ম্যাকভে।
বরিস জনসন: লন্ডনের মেয়র বরিস জনসনের ভবিষ্যৎ বেশ সম্ভাবনাময়। কেউ কেউ তাকে ক্যামেরনের উত্তরসূরিও ভাবেন। এবারই প্রথম এমপি হয়েছেন তিনি। কিন্তু ২০১৬ সাল পর্যন্ত লন্ডনের মেয়রের দায়িত্ব ঠিকঠাকভাবে করতে চান বলে মন্ত্রী হতে চান না তিনি। কিন্তু ক্যামেরনের রাজনৈতিক মন্ত্রিসভায় অংশ থাকবে তার।
জন হুইটিংডেল: প্রবীণ টোরি এমপি জন হুইটিংডেল হবেন সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রিড়া বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
জর্জ অসবোর্ন: চ্যান্সেলর অর্থাৎ অর্থমন্ত্রী হিসেবে আগের পদেই রয়ে গেছেন জর্জ অসবোর্ন। তিনি একই সঙ্গে ফার্স্ট সেক্রেটারি অব স্টেট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। অর্থাৎ বৃটেনের প্রধানমন্ত্রীর পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী এখন তিনিই। ধারণা করা হচ্ছে, ক্যামেরনের ডানহাত বলে পরিচিত অসবোর্ন কার্যত গতবারের উপ-প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগের স্থানটিই পেলেন।
থেরেসা মে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিজের আগের পদে রয়ে গেছেন থেরেসা মে। তাকে ভাবা হয় দলের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ নেতা। গত ৫০ বছরে বৃটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এতকাল কেউ দায়িত্ব পালন করেনি।
ফিলিপ হ্যামন্ড: ক্যামেরনের গতবারের মেয়াদে সর্বশেষ যে মন্ত্রিসভার রদবদল হয়, তখন প্রতিরক্ষামন্ত্রী থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর পদে উন্নীত হন ফিলিপ হ্যামন্ড। সেবার উইলিয়াম হেগের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। এবারও দায়িত্ব পাচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
মাইকেল ফেলন: চতুর্থ শীর্ষ মন্ত্রণালয় অর্থাৎ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধানের পদেও অদলবদল আসেনি। মাইকেল ফেলন এবারও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। অবশ্য নির্বাচন চলাকালে বিরোধী লেবার দলের প্রধান এড মিলিব্যান্ডকে উদ্দেশ্য করে তার করা মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তখন তিনি বলেছিলেন, এড মিলিব্যান্ড লেবার দলের নেতৃত্ব পেতে নিজের ভাইয়ের পিঠে ছুরি মেরেছিলেন। তিনি এবার যুক্তরাজ্যের পিঠে ছুরি মেরে প্রধানমন্ত্রী হতে চান।
মাইকেল গোভ: সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও টাইমস পত্রিকার সাংবাদিক মাইকেল গোভের পদাবনতি হয়েছিল গতবারের রদবদলে। সেবার শিক্ষামন্ত্রী থেকে চিফ হুইপ হয়েছিলেন তিনি। তবে এবার তাকে আবারও শীর্ষ পদে ফিরিয়ে এনেছেন ক্যামেরন। এবার তিনি দায়িত্ব পালন করবেন লর্ড চ্যান্সেলর ও বিচারমন্ত্রী হিসেবে।
ক্রিস গ্রেলিং: সাবেক বিচারমন্ত্রী ক্রিস গ্রেলিং-এর পদাবনতি হয়েছে। সেখানে তার অনেক শত্রু ছিল বলে ধারণা করা হতো। তবে এবার তিনি পাচ্ছেন হাউস অব কমন্সের নেতা ও পরিষদের লর্ড প্রেসিডেন্টের পদ। এ পদে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী উইলিয়াম হেগ দায়িত্ব পালন করেছেন একসময়।
নিকি মরগান: নিকি মরগান পাচ্ছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং নারী ও সমতা বিষয়ক মন্ত্রীর পদ।
মার্ক হার্পার: এবার পার্লামেন্ট চিফ হুইফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মার্ক হারফার। তিনি যুক্তরাজ্যের সাবেক অভিবাসন মন্ত্রী। অথচ একসময় ধরা পড়ে, তার ঘরের ক্লিনার নিজেই অবৈধ অভিবাসী! এর পর তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এবার তাকে বেশ কঠিন দায়িত্বই দেয়া হয়েছে। পার্লামেন্টে নিজের দলের সদস্যদের নিয়ন্ত্রণের ভার তার ওপর।
লেডি টিনা স্টোয়েল: তিনি দায়িত্ব পালন করবেন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের নেতা হিসেবে। বিস্টনের এ ব্যারোনেস একজন কারখানা শ্রমিকের কন্যা।
অ্যাম্বার রুড: খুব দ্রুতই পদোন্নতি পেয়েছেন অ্যাম্বার রুড। মন্ত্রিসভায় জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। সাবেক বিনিয়োগ ব্যাংকার অ্যাম্বার এর আগে এ মন্ত্রণালয়েরই আন্ডার-সেক্রেটারি ছিলেন। এবার তিনি লিব-ডেম দলের এড ডাভের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
সাজিদ জাভিদ: দলে সাজিদ জাভিদকে ভাবা হয় উদীয়মান তারকা হিসেবে। একাধারে ভারতীয় ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাজিদ জাভিদ সংস্কৃতি মন্ত্রী থেকে বাণিজ্য মন্ত্রীতে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি স্থালভিষিক্ত হয়েছেন ভিন্সে ক্যাবলের।
প্রিতি প্যাটেল: প্রিতি প্যাটেল পেয়েছেন কর্মসংস্থান মন্ত্রীর পদ। নির্বাচনী প্রচারণার সময় নিয়মিতই টিভিতে দেখা যেত তাকে। এর আগে এ পদে ছিলেন ইস্থার ম্যাকভে। নির্বাচনে হেরে পদ খুইছেন ম্যাকভে।
বরিস জনসন: লন্ডনের মেয়র বরিস জনসনের ভবিষ্যৎ বেশ সম্ভাবনাময়। কেউ কেউ তাকে ক্যামেরনের উত্তরসূরিও ভাবেন। এবারই প্রথম এমপি হয়েছেন তিনি। কিন্তু ২০১৬ সাল পর্যন্ত লন্ডনের মেয়রের দায়িত্ব ঠিকঠাকভাবে করতে চান বলে মন্ত্রী হতে চান না তিনি। কিন্তু ক্যামেরনের রাজনৈতিক মন্ত্রিসভায় অংশ থাকবে তার।
জন হুইটিংডেল: প্রবীণ টোরি এমপি জন হুইটিংডেল হবেন সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রিড়া বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
No comments