সীমা ছাড়াচ্ছে পুলিশ- ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হোক
যে
পুলিশ অভিজিৎকে কোপানো দেখেও কিছু করেনি, যারা বর্ষবরণের জমায়েতে নারী
লাঞ্ছনা সন্ত্রাস থামাতে উদ্যোগী হয়নি, তারাই প্রতিবাদকারীদের ওপর লাঠি ও
জলকামান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পেড়। পুরুষ পুলিশ সদস্যদের দ্বারা প্রতিবাদী
ছাত্রীদের লাঞ্ছনা ও প্রহার অসভ্যতারই নামান্তর। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ
করি।
একই ঘটনায় ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীরা দুভাবে প্রহৃত হলেন: একবার টিএসসিতে নারীদের বাঁচাতে গিয়ে, আরেকবার নারী লাঞ্ছনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে। প্রথম ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা এখনো ‘অজ্ঞাত’ রইলেও দ্বিতীয় ঘটনায় অভিযুক্ত স্বয়ং পুলিশ! কতিপয় পুলিশ সদস্য যেভাবে ছাত্র ইউনিয়নের এক প্রতিবাদী ছাত্রীর শরীরে বুটের লাথি ও লাঠি চালনা করেছেন, তা নিপীড়নের সমতুল্য।
গত রোববার ছাত্র ইউনিয়নের পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশপ্রধানের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এতে ২১ জন আহত হন এবং পাঁচজনকে আটক করা হলেও রাতে তাঁরা ছাড়া পান। গণমাধ্যমে প্রচারিত ছবি ও সংবাদ থেকে স্পষ্ট যে পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলের পেছন থেকে সাঁজোয়া যান ও ট্রাক চালিয়ে দিলে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হন। এর পরই পুলিশ ছাত্রছাত্রীদের ওপর নির্বিচার হামলা চালায়। একজন নারী কর্মী গাছের আড়ালে আশ্রয় নিয়েও পুলিশের নির্যাতন থেকে রেহাই পাননি! বর্ষবরণে নারী লাঞ্ছনাকারীদের প্রতিহত করা কিংবা ঘটনার ২৭ দিন পরও একজন অভিযুক্তকেও আটকে ব্যর্থ যে পুলিশ, তারাই প্রতিবাদীদের ওপর ষোলো আনা ‘বীরত্ব’ দেখাতে দ্বিধা করেনি।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ঘটনায় পুলিশ অত্যন্ত উগ্র ও অসংযত আচরণ করেছে। রোববারের ঘটনায় সরকার একজন পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করলেও অন্যদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া দুর্ভাগ্যজনক। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। পাশাপাশি যে ঘটনার জন্য এই প্রতিবাদ, সেই পয়লা বৈশাখের নারী লাঞ্ছনাকারীদের অবিলম্বে আটক করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
একই ঘটনায় ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীরা দুভাবে প্রহৃত হলেন: একবার টিএসসিতে নারীদের বাঁচাতে গিয়ে, আরেকবার নারী লাঞ্ছনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে। প্রথম ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা এখনো ‘অজ্ঞাত’ রইলেও দ্বিতীয় ঘটনায় অভিযুক্ত স্বয়ং পুলিশ! কতিপয় পুলিশ সদস্য যেভাবে ছাত্র ইউনিয়নের এক প্রতিবাদী ছাত্রীর শরীরে বুটের লাথি ও লাঠি চালনা করেছেন, তা নিপীড়নের সমতুল্য।
গত রোববার ছাত্র ইউনিয়নের পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশপ্রধানের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এতে ২১ জন আহত হন এবং পাঁচজনকে আটক করা হলেও রাতে তাঁরা ছাড়া পান। গণমাধ্যমে প্রচারিত ছবি ও সংবাদ থেকে স্পষ্ট যে পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলের পেছন থেকে সাঁজোয়া যান ও ট্রাক চালিয়ে দিলে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হন। এর পরই পুলিশ ছাত্রছাত্রীদের ওপর নির্বিচার হামলা চালায়। একজন নারী কর্মী গাছের আড়ালে আশ্রয় নিয়েও পুলিশের নির্যাতন থেকে রেহাই পাননি! বর্ষবরণে নারী লাঞ্ছনাকারীদের প্রতিহত করা কিংবা ঘটনার ২৭ দিন পরও একজন অভিযুক্তকেও আটকে ব্যর্থ যে পুলিশ, তারাই প্রতিবাদীদের ওপর ষোলো আনা ‘বীরত্ব’ দেখাতে দ্বিধা করেনি।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ঘটনায় পুলিশ অত্যন্ত উগ্র ও অসংযত আচরণ করেছে। রোববারের ঘটনায় সরকার একজন পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করলেও অন্যদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া দুর্ভাগ্যজনক। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। পাশাপাশি যে ঘটনার জন্য এই প্রতিবাদ, সেই পয়লা বৈশাখের নারী লাঞ্ছনাকারীদের অবিলম্বে আটক করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
No comments