জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশী পাচার প্রসঙ্গ
জাতিসংঘের
নিয়মিত প্রেস-ব্রিফিংয়ে গতকাল উঠে এলো বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা অভিবাসী উদ্ধার
ও মানব পাচার বন্ধ প্রসঙ্গ। গতকাল ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার সমুদ্র উপকূল
থেকে ৪টি বোটে থাকা থাইল্যান্ড অভিমুখী প্রায় ১,৪০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করা
হয়। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের ডেপুটি-মুখপাত্র ফারহান হকের কাছে
প্রশ্নকর্তা সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী বিষয়টি উল্লেখ করে মানবপাচার
বন্ধে জাতিসংঘের পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চান। জবাবে ফারহান হক মানব পাচারকে
গুরুতর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, জাতিসংঘ বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন
এবং জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক কার্যালয় (ইউএনওডিসি) নানা পদক্ষেপ
গ্রহণের মাধ্যমে মানবপাচার বন্ধে কাজ করে চলেছে। অভিবাসীদের সুরক্ষা দিতে ও
তাদের জীবন বাঁচানোর বিষয়টি নিশ্চিতে জাতিসংঘের পদক্ষেপের পাশাপাশি
সমুদ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত সব পক্ষকে সর্বাগ্রে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান
জানান তিনি। নিচে সংবাদ-সম্মেলনের বাংলাদেশ অংশটুকু তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: ফারহান, আপনাকে ধন্যবাদ। গত রোববার ইন্দোনেশিয়া থেকে (ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার সমুদ্র উপকূল থেকে) ১,৪০০ বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। আপনি যেমনটি অবগত আছেন যে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সহস্রাধিক অভিবাসীকে ল্যাঙ্কাওয়ি দ্বীপের অগভীর সমুদ্রে মানবপাচারকারীরা পরিত্যাগের পর মালয়েশিয়ার সৈকতে নামেন (বোট থেকে) তারা। মানবপাচার বন্ধে জাতিসংঘ ঠিক কি করছে? কারণ, এটা এ অঞ্চলে ঘটছে।
ডেপুটি মুখপাত্র: হ্যাঁ, আপনি ঠিক বলেছেন। মানবপাচার অত্যন্ত গুরুতর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা মানবপাচার সমস্যার বিষয়ে কথা বলেছি। আপনি যেমনটি জানেন যে, কিছুদিন আগে বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা অভিবাসীদের মৃত্যুর কারণ হয়েছে মানবপাচার এবং আমরা সেটা গত সপ্তাহে উল্লেখ করেছি। আমাদের উদ্বেগের একটি অংশ হলো, যেমন ভূমধ্যসাগর নিয়ে, গভীর সমুদ্রে অভিবাসী ইস্যু মোকাবিলায় সব প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে প্রাথমিকভাবে অভিবাসীদের জীবন বাঁচাতে বিশেষ প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তা। বহু মানুষ বিপদে পড়েন এবং পাচারকারীদের কর্মকা-ের কারণেও তারা বিপদে পড়েন। যারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণ করতে চান তাদের সঙ্গে পাচারকারীরা যে আচরণ করে, তা বিবেচনায় পাচারকারীরা বেশ লুণ্ঠন বা দস্যুপরায়ণ হয়ে উঠেছে। আপনি যেমনটি অবগত আছেন যে, আমরা বিভিন্ন চুক্তি এবং জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক কার্যালয়ের (ইউএনওডিসি) কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানব পাচারের ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ করা চেষ্টা করেছি। কিন্তু, মানুষের জীবন রক্ষা করা যায়, সেটা নিশ্চিতে সমুদ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত পৃথক ও তাছাড়া সব পক্ষকে প্রথমত ও সর্বাগ্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
প্রশ্ন: ফারহান, আপনাকে ধন্যবাদ। গত রোববার ইন্দোনেশিয়া থেকে (ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার সমুদ্র উপকূল থেকে) ১,৪০০ বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। আপনি যেমনটি অবগত আছেন যে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সহস্রাধিক অভিবাসীকে ল্যাঙ্কাওয়ি দ্বীপের অগভীর সমুদ্রে মানবপাচারকারীরা পরিত্যাগের পর মালয়েশিয়ার সৈকতে নামেন (বোট থেকে) তারা। মানবপাচার বন্ধে জাতিসংঘ ঠিক কি করছে? কারণ, এটা এ অঞ্চলে ঘটছে।
ডেপুটি মুখপাত্র: হ্যাঁ, আপনি ঠিক বলেছেন। মানবপাচার অত্যন্ত গুরুতর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা মানবপাচার সমস্যার বিষয়ে কথা বলেছি। আপনি যেমনটি জানেন যে, কিছুদিন আগে বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা অভিবাসীদের মৃত্যুর কারণ হয়েছে মানবপাচার এবং আমরা সেটা গত সপ্তাহে উল্লেখ করেছি। আমাদের উদ্বেগের একটি অংশ হলো, যেমন ভূমধ্যসাগর নিয়ে, গভীর সমুদ্রে অভিবাসী ইস্যু মোকাবিলায় সব প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে প্রাথমিকভাবে অভিবাসীদের জীবন বাঁচাতে বিশেষ প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তা। বহু মানুষ বিপদে পড়েন এবং পাচারকারীদের কর্মকা-ের কারণেও তারা বিপদে পড়েন। যারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণ করতে চান তাদের সঙ্গে পাচারকারীরা যে আচরণ করে, তা বিবেচনায় পাচারকারীরা বেশ লুণ্ঠন বা দস্যুপরায়ণ হয়ে উঠেছে। আপনি যেমনটি অবগত আছেন যে, আমরা বিভিন্ন চুক্তি এবং জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক কার্যালয়ের (ইউএনওডিসি) কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানব পাচারের ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ করা চেষ্টা করেছি। কিন্তু, মানুষের জীবন রক্ষা করা যায়, সেটা নিশ্চিতে সমুদ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত পৃথক ও তাছাড়া সব পক্ষকে প্রথমত ও সর্বাগ্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
No comments