বিজেপি ও কংগ্রেসের বিকল্প খুঁজছে জনগণ by কুলদীপ নায়ার
উপনির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলো ক্রমেই ঔজ্জ্বল্য হারাচ্ছে, দলগুলোকে রণক্লান্ত মনে হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও তাদের অবস্থান এখন নিম্নমুখী। সমস্যাটা হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলো শিক্ষা নিচ্ছে না। প্রতিটি নির্বাচনেই ভোটারদের ক্রমেই মোহভঙ্গ ঘটছে। এটা পরিষ্কার যে বিজেপি এত আসন পাওয়ার পরও ভোটাররা সে স্রোতে একদম ভেসে যাননি। তাঁরা এমন এক ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছেন, যা ভবিষ্যতে এই গেরুয়া শক্তির রাশ টেনে ধরবে।
উপনির্বাচনগুলো ছিল আসলে বিজেপি এবং কংগ্রেস, লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও নিতীশ কুমারের জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর সমন্বয়ে গঠিত নতুন ঐক্যের জন্য একটি পরীক্ষা। দেখা গেল, উপনির্বাচনগুলোতে নতুন সেক্যুলার জোট বিজেপির বিরুদ্ধে ভালো করেছে। যদিও লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় উপনির্বাচনে বিজেপিরই ভালো করার কথা। এই ফলাফল নতুন জোটের মনোবল বাড়াবে, বিশেষত কংগ্রেসের মতো একটি মহিরুহ ও পুরোনো দলের ক্ষেত্রে তা একটি বড় ব্যাপারই হয়ে থাকবে।
অন্যদিকে এই অপ্রত্যাশিত ফলাফলে নিশ্চিতভাবে বিজেপিতে ব্যাপক হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি ফ্রন্ট গঠনে সাহস দেখালেও সেপ্টেম্বরে উত্তর প্রদেশের ১১টি আসনে উপনির্বাচনের আগে জনমত পাঠের ক্ষেত্রে দলটিকে কুশলতার পরিচয় দিতে হবে।
বিজেপির নতুন সভাপতি দলে পাইকারি হারে পরিবর্তন এনেছেন, ফলে উত্তর প্রদেশের উপনির্বাচনের ফলাফল দলটির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এল কে আদভানি ও মুরলি মনোহর যোশির মতো ঝানু নেতাদের দলটির সংসদীয় সভায় স্থান না পাওয়াটা সত্যিই করুণার উদ্রেক করে। অমিত শাহ এই ১১টি আসনই নিজেদের ঝুলিতে পুরতে চান, কারণ এই উপনির্বাচনকে রাজ্যটির ২০১৭ সালে অনুষ্ঠেয় রাজ্যসভা নির্বাচনের সেমিফাইনাল হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে।
উত্তর প্রদেশের এই নির্বাচনে বিজেপিকে কংগ্রেস ও সাম্যবাদী পার্টির সঙ্গে ত্রিমুখী লড়াইয়ে নামতে হবে, এই দল দুটি ইতিমধ্যে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ফলে শাহকে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হবে। লোকসভা নির্বাচনে শাহ প্রায় এককভাবেই উত্তর প্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে ৭০টি আসনে বিজেপিকে জিততে সহায়তা করেছেন। পুরস্কার হিসেবে তিনি সভাপতির পদ পেলেও তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা কিছুটা হলেও ক্ষুণ্ন হয়েছে।
মনে হচ্ছে, মোদি-জাদুর আমেজ ক্রমেই ফুরিয়ে যাচ্ছে। পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক ও বিহারের ১৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি মাত্র সাতটি আসন পেয়েছে। কিন্তু কথা হচ্ছে, এই চার মাসের মধ্যেই ভোটাররা কেন এভাবে বিজেপির দিক থেকে মুখ ফেরানো শুরু করেছেন, সেটা গভীর বিশ্লেষণের ব্যাপার। এটা সত্য, দলটি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেগুলোর বাস্তবায়ন খুব কঠিন, সেটা একটা আংশিক কারণ বটে। দলটি কীভাবে তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে, সে বিষয়ক তেমন কোনো প্রস্তুতি তাদের নেই।
বছরের পর বছর ধরে নির্বাচনে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, আর বাস্তবায়ন হয় খুব সামান্যই। দলগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে জয়লাভ করা, ফলে জনগণের উপলব্ধি হয় খুব দ্রুত। ভোটাররা এক দলকে বাদ দিয়ে আরেক দলকে বেছে নেন, প্রতি ক্ষেত্রেই তাঁরা আশা করেন আগের চেয়ে এবার ভালো হবে। আর আশা পূরণ করতে না পারলে তাঁরা সংশ্লিষ্ট দলকে শাস্তি দেন। যেমন, কংগ্রেস লোকসভায় এবার মাত্র ৪৪টি আসন পেয়েছে, এমনকি বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার জন্য যে ৫৫টি আসনের দরকার হয়, সেটাও তারা পায়নি।
মধ্যপ্রদেশে আসন হারানো অমিত শাহ ও শিবরাজ সিং চৌহান উভয়ের জন্যই সতর্কবার্তা। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চৌহান সম্প্রতি দলটির সংসদীয় বোর্ডে ঠাঁই পেয়েছেন, এই বোর্ড দলটির সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সভা। না, শুধু কংগ্রেস প্রার্থীর জয়-ই নয়, ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রার্থীর পরাজয়ই তাদের বেশি পোড়াবে। কেননা, এই চার মাস আগের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশের ২৯টি আসনের মধ্যে মাত্র দুটি আসন পেয়েছিল।
বিহারে লালু-নিতীশ যুগলবন্দীর ক্ষেত্রে এই উপনির্বাচনের জয় বিপুল প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে। এই দুই ঝানু রাজনীতিবিদ খুব সুপরিকল্পিতভাবে একটি রাজনৈতিক জুয়া খেলেছেন, সেখান থেকে ফলও এসেছে ভালো। বিহারের রাজনীতিতে ভোটের অঙ্ক ও বর্ণপ্রথার সমীকরণ তাঁরা ভালোই বোঝেন, ফলে তাঁরা জানতেন, উপনির্বাচনে জিততে হলে তাঁদের সম্মিলিতভাবে লড়াইটা করতে হবে।
সন্দেহ নেই, তাঁদের এই জয় এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। বিজেপিবিরোধী দলগুলোর মধ্যে নতুন সমীকরণ সৃষ্টি হবে। আগামী রাজ্যসভা নির্বাচনে সেটা বিজেপিকে ভালোভাবেই ভোগাতে পারে। বহুজন সমাজবাদী পার্টির মায়াবতী উত্তর প্রদেশের উপনির্বাচনে মুলায়ম সিং যাদবের এরূপ একটি প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। কারণ, সমাজবাদী পার্টি যে মায়াবতীকে ছুড়ে ফেলতে চেয়েছিল, সে বেদনা এখনো তিনি ভোলেননি। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় মায়াবতীর আস্থা তাঁরা অর্জন করতে পারলে তিনি হয়তো এ প্রস্তাবে সাড়াও দিতে পারেন।
যাই হোক, এই উপনির্বাচনের ফলাফল বিজেপিবিরোধী শিবিরে আনন্দের বারতা পৌঁছে দিয়েছে। এখন সবাই হয়তো এরূপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার চেষ্টা করবেন। সিপিএমের নেতা প্রকাশ কারাত বলেছেন, সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে বিজেপিবিরোধী জোটগুলো ভালো করেছে, ফলে বিজেপি ঠেকাতে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে ঐক্য করা যেতে পারে। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর ও সিপিএমের কিছু অমীমাংসিত ব্যাপার রয়েছে। ‘বিজেপি এখন ক্ষমতায়, ফলে আমরা এখন বিজেপিকে ঠেকাতে চাই। কিন্তু আমরা কংগ্রেসের নীতিরও বিরোধী’, তিনি বলেছেন।
পরিস্থিতি যেদিকেই যাক না কেন, অসাম্প্রদায়িক দলগুলোর একটি শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। ভোটাররা কংগ্রেস ও বিজেপির বাইরে একটি বিকল্প খুঁজছে। জনগণ গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক শাসন চায়, আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের লক্ষ্যও ছিল তা–ই।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
কুলদীপ নায়ার: ভারতের সাংবাদিক।
উপনির্বাচনগুলো ছিল আসলে বিজেপি এবং কংগ্রেস, লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও নিতীশ কুমারের জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর সমন্বয়ে গঠিত নতুন ঐক্যের জন্য একটি পরীক্ষা। দেখা গেল, উপনির্বাচনগুলোতে নতুন সেক্যুলার জোট বিজেপির বিরুদ্ধে ভালো করেছে। যদিও লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় উপনির্বাচনে বিজেপিরই ভালো করার কথা। এই ফলাফল নতুন জোটের মনোবল বাড়াবে, বিশেষত কংগ্রেসের মতো একটি মহিরুহ ও পুরোনো দলের ক্ষেত্রে তা একটি বড় ব্যাপারই হয়ে থাকবে।
অন্যদিকে এই অপ্রত্যাশিত ফলাফলে নিশ্চিতভাবে বিজেপিতে ব্যাপক হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি ফ্রন্ট গঠনে সাহস দেখালেও সেপ্টেম্বরে উত্তর প্রদেশের ১১টি আসনে উপনির্বাচনের আগে জনমত পাঠের ক্ষেত্রে দলটিকে কুশলতার পরিচয় দিতে হবে।
বিজেপির নতুন সভাপতি দলে পাইকারি হারে পরিবর্তন এনেছেন, ফলে উত্তর প্রদেশের উপনির্বাচনের ফলাফল দলটির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এল কে আদভানি ও মুরলি মনোহর যোশির মতো ঝানু নেতাদের দলটির সংসদীয় সভায় স্থান না পাওয়াটা সত্যিই করুণার উদ্রেক করে। অমিত শাহ এই ১১টি আসনই নিজেদের ঝুলিতে পুরতে চান, কারণ এই উপনির্বাচনকে রাজ্যটির ২০১৭ সালে অনুষ্ঠেয় রাজ্যসভা নির্বাচনের সেমিফাইনাল হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে।
উত্তর প্রদেশের এই নির্বাচনে বিজেপিকে কংগ্রেস ও সাম্যবাদী পার্টির সঙ্গে ত্রিমুখী লড়াইয়ে নামতে হবে, এই দল দুটি ইতিমধ্যে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ফলে শাহকে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হবে। লোকসভা নির্বাচনে শাহ প্রায় এককভাবেই উত্তর প্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে ৭০টি আসনে বিজেপিকে জিততে সহায়তা করেছেন। পুরস্কার হিসেবে তিনি সভাপতির পদ পেলেও তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা কিছুটা হলেও ক্ষুণ্ন হয়েছে।
মনে হচ্ছে, মোদি-জাদুর আমেজ ক্রমেই ফুরিয়ে যাচ্ছে। পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক ও বিহারের ১৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি মাত্র সাতটি আসন পেয়েছে। কিন্তু কথা হচ্ছে, এই চার মাসের মধ্যেই ভোটাররা কেন এভাবে বিজেপির দিক থেকে মুখ ফেরানো শুরু করেছেন, সেটা গভীর বিশ্লেষণের ব্যাপার। এটা সত্য, দলটি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেগুলোর বাস্তবায়ন খুব কঠিন, সেটা একটা আংশিক কারণ বটে। দলটি কীভাবে তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে, সে বিষয়ক তেমন কোনো প্রস্তুতি তাদের নেই।
বছরের পর বছর ধরে নির্বাচনে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, আর বাস্তবায়ন হয় খুব সামান্যই। দলগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে জয়লাভ করা, ফলে জনগণের উপলব্ধি হয় খুব দ্রুত। ভোটাররা এক দলকে বাদ দিয়ে আরেক দলকে বেছে নেন, প্রতি ক্ষেত্রেই তাঁরা আশা করেন আগের চেয়ে এবার ভালো হবে। আর আশা পূরণ করতে না পারলে তাঁরা সংশ্লিষ্ট দলকে শাস্তি দেন। যেমন, কংগ্রেস লোকসভায় এবার মাত্র ৪৪টি আসন পেয়েছে, এমনকি বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার জন্য যে ৫৫টি আসনের দরকার হয়, সেটাও তারা পায়নি।
মধ্যপ্রদেশে আসন হারানো অমিত শাহ ও শিবরাজ সিং চৌহান উভয়ের জন্যই সতর্কবার্তা। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চৌহান সম্প্রতি দলটির সংসদীয় বোর্ডে ঠাঁই পেয়েছেন, এই বোর্ড দলটির সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সভা। না, শুধু কংগ্রেস প্রার্থীর জয়-ই নয়, ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রার্থীর পরাজয়ই তাদের বেশি পোড়াবে। কেননা, এই চার মাস আগের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশের ২৯টি আসনের মধ্যে মাত্র দুটি আসন পেয়েছিল।
বিহারে লালু-নিতীশ যুগলবন্দীর ক্ষেত্রে এই উপনির্বাচনের জয় বিপুল প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে। এই দুই ঝানু রাজনীতিবিদ খুব সুপরিকল্পিতভাবে একটি রাজনৈতিক জুয়া খেলেছেন, সেখান থেকে ফলও এসেছে ভালো। বিহারের রাজনীতিতে ভোটের অঙ্ক ও বর্ণপ্রথার সমীকরণ তাঁরা ভালোই বোঝেন, ফলে তাঁরা জানতেন, উপনির্বাচনে জিততে হলে তাঁদের সম্মিলিতভাবে লড়াইটা করতে হবে।
সন্দেহ নেই, তাঁদের এই জয় এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। বিজেপিবিরোধী দলগুলোর মধ্যে নতুন সমীকরণ সৃষ্টি হবে। আগামী রাজ্যসভা নির্বাচনে সেটা বিজেপিকে ভালোভাবেই ভোগাতে পারে। বহুজন সমাজবাদী পার্টির মায়াবতী উত্তর প্রদেশের উপনির্বাচনে মুলায়ম সিং যাদবের এরূপ একটি প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। কারণ, সমাজবাদী পার্টি যে মায়াবতীকে ছুড়ে ফেলতে চেয়েছিল, সে বেদনা এখনো তিনি ভোলেননি। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় মায়াবতীর আস্থা তাঁরা অর্জন করতে পারলে তিনি হয়তো এ প্রস্তাবে সাড়াও দিতে পারেন।
যাই হোক, এই উপনির্বাচনের ফলাফল বিজেপিবিরোধী শিবিরে আনন্দের বারতা পৌঁছে দিয়েছে। এখন সবাই হয়তো এরূপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার চেষ্টা করবেন। সিপিএমের নেতা প্রকাশ কারাত বলেছেন, সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে বিজেপিবিরোধী জোটগুলো ভালো করেছে, ফলে বিজেপি ঠেকাতে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে ঐক্য করা যেতে পারে। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর ও সিপিএমের কিছু অমীমাংসিত ব্যাপার রয়েছে। ‘বিজেপি এখন ক্ষমতায়, ফলে আমরা এখন বিজেপিকে ঠেকাতে চাই। কিন্তু আমরা কংগ্রেসের নীতিরও বিরোধী’, তিনি বলেছেন।
পরিস্থিতি যেদিকেই যাক না কেন, অসাম্প্রদায়িক দলগুলোর একটি শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। ভোটাররা কংগ্রেস ও বিজেপির বাইরে একটি বিকল্প খুঁজছে। জনগণ গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক শাসন চায়, আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের লক্ষ্যও ছিল তা–ই।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
কুলদীপ নায়ার: ভারতের সাংবাদিক।
No comments