১ ডলারের জন্য ৩ ডলার সুদ গুনবে বাংলাদেশ
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের গঠিত বিশেষ জলবায়ু তহবিল থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের গ্রহণ করা প্রতি এক ডলার ঋণের জন্য বাংলাদেশকে তিন ডলার সুদ দিতে হবে। দু’জন আন্তর্জাতিক গবেষক জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বের সবচেয়ে হুমকিগ্রস্ত দেশের তালিকায় থাকা বাংলাদেশের বিষয়ে ওই নতুন উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছেন। তারা সুপারিশ করেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নানাবিধ পদক্ষেপ নিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে যে শর্তে ঋণ দেয়া হচ্ছে তা বাতিল করা উচিত। লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের পিএইচডি গবেষক হেলেনা রাইট এবং লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর ভিজিটিং রিসার্চার আদরিয়ান ফেন্টন এবিষয়ে গত শুক্রবার লন্ডনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেন।
তবে ঢাকার ওয়াকিবহাল মহল এক ডলারে তিন ডলার সুদ পরিশোধের এই ভয়ানক তথ্য জেনে এর আগে টিআইবি’র একটি প্রতিবেদন স্মরণে এনেছেন। গত বছরের ৩রা অক্টোবর টিআইবি এক সংবাদ সম্মেলনে জলবায়ু তহবিলের অর্থ ব্যবহারে ‘স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি’র অভিযোগ প্রকাশ করেছিল। টিআইবি সমীক্ষা অনুযায়ী অ্যানেক্স ওয়ান দেশগুলো থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ৫৯৪ মিলিয়ন ডলার এবং বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার গ্রহণ করেছিল।
উল্লেখ্য, ওই দুই গবেষক গার্ডিয়ানে প্রকাশিত তাদের নিবন্ধে বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জলবায়ুর হুমকি মোকাবিলায় ২০১০-২০১২ অর্থবছরে যে পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেছে সে জন্য তাকে চড়া মাশুল দিতে হবে। এর সঙ্গে জোনাস বেন্দিকসেনের তোলা ব্রহ্মপুত্র নদি তীরবর্তী একটি এলাকার বাংলাদেশী পাটচাষিদের আলোকচিত্র প্রকাশ করেছে। নিবন্ধে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকানোর খরচ বহন করবে। কিন্তু এ জন্য যে ঋণ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে তা কি সুফল দেবে? তারা বলেন, জলবায়ু বিষিয়ে তুলতে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো কোন অপরাধ করেনি। অথচ এখন তাদের ওপর চেপে বসছে ঋণের বোঝা। আগামী প্রজন্মকেও এই ঋণের ভার বইতে হবে।
তবে ঢাকার ওয়াকিবহাল মহল এক ডলারে তিন ডলার সুদ পরিশোধের এই ভয়ানক তথ্য জেনে এর আগে টিআইবি’র একটি প্রতিবেদন স্মরণে এনেছেন। গত বছরের ৩রা অক্টোবর টিআইবি এক সংবাদ সম্মেলনে জলবায়ু তহবিলের অর্থ ব্যবহারে ‘স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি’র অভিযোগ প্রকাশ করেছিল। টিআইবি সমীক্ষা অনুযায়ী অ্যানেক্স ওয়ান দেশগুলো থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ৫৯৪ মিলিয়ন ডলার এবং বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার গ্রহণ করেছিল।
উল্লেখ্য, ওই দুই গবেষক গার্ডিয়ানে প্রকাশিত তাদের নিবন্ধে বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জলবায়ুর হুমকি মোকাবিলায় ২০১০-২০১২ অর্থবছরে যে পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেছে সে জন্য তাকে চড়া মাশুল দিতে হবে। এর সঙ্গে জোনাস বেন্দিকসেনের তোলা ব্রহ্মপুত্র নদি তীরবর্তী একটি এলাকার বাংলাদেশী পাটচাষিদের আলোকচিত্র প্রকাশ করেছে। নিবন্ধে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকানোর খরচ বহন করবে। কিন্তু এ জন্য যে ঋণ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে তা কি সুফল দেবে? তারা বলেন, জলবায়ু বিষিয়ে তুলতে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো কোন অপরাধ করেনি। অথচ এখন তাদের ওপর চেপে বসছে ঋণের বোঝা। আগামী প্রজন্মকেও এই ঋণের ভার বইতে হবে।
No comments