জাপানে ৩১ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
জাপানে মাউন্ট ওনতাকে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর আটকে পড়া একজন ভ্রমণকারীকে গতকাল উদ্ধার করে সামরিক হেলিকপ্টার। ছবি: রয়টার্স |
জাপানের মাউন্ট ওনতাকে আগ্নেয়গিরির আকস্মিক অগ্ন্যুৎপাতের পর গতকাল রোববার পর্বতটির চূড়ার কাছে অন্তত ৩১ জন ভ্রমণকারীর নিথর দেহ পাওয়া গেছে। ডাক্তারি পরীক্ষার পর তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ঘোষণা করার কথা ছিল। রাজধানী টোকিও থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমের পর্বতটি দেখতে খুব সুন্দর বলে এটি ভ্রমণকারীদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। খবর বিবিসি ও এএফপির। হঠাৎ করে গত শনিবার ওই আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে ক্ষিপ্রগতিতে ধোঁয়া এবং উত্তপ্ত ছাই ও পাথর বেরুতে থাকে। তার আগে প্রচণ্ড শব্দও হয়। এ সময় পর্বতটিতে অন্তত ২৫০ জন পরিব্রাজক আটকা পড়েন। তবে পরে তাঁদের বেশির ভাগই নিরাপদে নিচে নেমে আসতে সক্ষম হন।
উদ্গিরণের পর পর্বতটি থেকে বেশ কয়েকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। ধারণা করা হয়, এর মধ্যেও রাতে অন্তত ৫০ জন সেখানে অবস্থান করছিলেন। গতকালও অগ্ন্যুৎপাত অব্যাহত ছিল। সকালে জোরদার তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ওই পরিব্রাজকদের নিথর দেহের খোঁজ মেলে। মাউন্ট ওনতাকের উচ্চতা ৩,০৬৭ মিটার বা ১০,১২০ ফুট। এর বিভিন্ন অংশে থাকার লজ, কেবিন এবং দিকনির্দেশনা দেওয়া হাঁটাপথ আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করছি, পর্বতের চূড়ার কাছে ৩১ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাঁরা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।’ গতকাল সকালে সামরিক হেলিকপ্টারের সাহায্যে পর্বতের একটি অংশ থেকে সাতজনকে উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া অন্য পরিব্রাজকদের নিচে নেমে আসতে সহায়তা করেন হেঁটে ওঠা উদ্ধারকর্মীরা। জাপান আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও ভূকম্পনজনিত তৎপরতার দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় অঞ্চলগুলোর একটি। কোনো পাহাড়ে অগ্ন্যুৎপাতের লক্ষণ দেখা গেলেই সেখানে পরিব্রাজকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে সতর্কবার্তাও জারি করে। কিন্তু শনিবার এ ধরনের কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। এর আগে ১৯৯১ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের একটি আগ্নেয়গিরিতে আকস্মিক অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ৪৩ জনের প্রাণহানি ঘটে।
No comments