দুর্নীতির দায়ে জয়ললিতার চার বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতির দায়ে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম জয়ললিতাকে গতকাল শনিবার চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বেঙ্গালুরুর এক আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে এক শ কোটি ভারতীয় রুপি জরিমানা করা হয়েছে। জয়ললিতার তিন সহযোগীকেও দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। রায়ের ফলে দক্ষিণ ভারতের এই প্রভাবশালী রাজনীতিক মুখ্যমন্ত্রীর পদ হারাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। রায়ের পর গতকাল তামিলনাড়ুর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও বাসে আগুন দেন জয়ললিতার দল অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড় মুনেত্রা কাজাগামের (এআইএডিএমকে) কর্মী–সমর্থকেরা। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার। দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলার চূড়ান্ত শুনানিতে অংশ নিতে গতকাল সকালেই চেন্নাই থেকে বেঙ্গালুরুর ওই আদালতে হাজির হন জয়ললিতা। সেখানকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে শুনানি হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত প্রথম দফায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় জয়ললিতা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল সম্পদের মালিক হন। দীর্ঘ ১৮ বছর আগে এ মামলা করেছিলেন বিজেপির নেতা সুব্রামানিয়ান স্বামী। রায়ের পর তিনি বলেন, ‘আমি প্রমাণ করতে পেরেছি...এ আস্থা হারানোর ক্ষতি তিনি আর পুষিয়ে নিতে পারবেন না।’ ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গত বছর এক আদেশে বলেছিলেন, কোনো আইনপ্রণেতা দুই বছর বা ততোধিক সময়ের জন্য কারাদণ্ড হয় এমন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর পদের জন্য অযোগ্য হবেন। বাদীপক্ষের কৌঁসুলিরা আদালতে যুক্তি দেখান, জয়ললিতা যখন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন তখন মাত্র এক রুপি বেতন গ্রহণ করতেন। অথচ পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকেই তিনি তাঁর সম্পদ ৬৬ কোটি রুপিতে নিয়ে গেছেন। ধারণা করা হয়, জয়ললিতার অবৈধ এ সম্পদের মধ্যে রয়েছে দুই হাজার একর জমি, ৩০ কেজি স্বর্ণ ও ১২ হাজার শাড়ি। এআইএডিএমকে দলের সাধারণ সম্পাদক জয়ললিতা দক্ষিণ ভারতের শীর্ষ প্রভাবশালী নেতাদের অন্যতম। রাজনীতিতে আসার আগে তিনি জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ছিলেন।
No comments