ইরাকের আইএস কারা, তাদের লক্ষ্যই বা কী
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অনুমোদনের পর মার্কিন বিমানবাহিনী গতকাল শুক্রবার উত্তর ইরাকে সুন্নি আরব জঙ্গিদের সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর গোলন্দাজ অবস্থানের ওপর হামলা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীসহ সংখ্যালঘুদের নির্যাতন থেকে রক্ষা করা ও ইরাকের সরকারকে সহায়তা করা এ ‘মানবিক সহায়তা’ হামলা লক্ষ্য। ইরাক ও সিরিয়ার বেশ কয়েকটি অঞ্চলজুড়ে আধিপত্য বিস্তার করেছে সুন্নি আরব জঙ্গিদের সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা থেকে বেরিয়ে এসে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।কিছুদিন আগেও সংগঠনটির নাম ছিল ইসলামিক স্টেট অব দি ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট/সিরিয়া(আইএসআইএল/আইএসআইএস)। ইরাক, সিরিয়া, জর্ডান ও লেবাননের অংশবিশেষ নিয়ে একটি অঞ্চলজুড়ে ‘খিলাফত’ পদ্ধতির ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে আইএস। তারা বাগদাদের শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে ইতিমধ্যে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল করে নিয়েছে। সিরিয়ায় সরকারবিরোধী লড়াইয়েও সংগঠনটি প্রভাব বিস্তার করছে। আইএসের নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি নিজেকে তাঁদের অধিকৃত অঞ্চলের ‘খলিফা’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আইএসের যোদ্ধাদের প্রকৃত সংখ্যা অজানা হলেও সংগঠনটির পক্ষে হাজার হাজার জিহাদি ইরাকে লড়াই করছে বলে ধারণা করা হয়। তাদের মধ্যে বিদেশি মুসলিমের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। আইএসের নেতা আবু বকর ইরাকে ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযান শুরুর পরপরই জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত হন বলে ধারণা করা হয়। তিনি ২০১০ সালে আল-কায়েদার ইরাক শাখার নেতৃত্বে আসেন। আবু বকর যখন আইএসআইএলের দায়িত্ব নেন, তখন সেটি আল-কায়েদার একটি শাখা হিসেবে পরিচিত ছিল।পরে তিনি একে পুনর্গঠন করে আল-কায়েদার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেন। সুন্নি আরব মিলিশিয়াদের সম্মুখ বাহিনী হিসেবে পরিচিত আইএস গত ১০ জুন ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল দখল করে নেয়। এরপর ২৯ জুন ইরাকে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় তারা। সে সময় তাদের নেতার পরিচিতি প্রকাশ করা হয় ‘খলিফা ইব্রাহিম’ হিসেবে। সূত্র: বিবিসি।
No comments