রাজনীতিতে নামার কোনো ইচ্ছা নেই মিশেলের
মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা রাজনীতিতে পা রাখতে চান না। পরিবারবান্ধব কর্মস্থল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গত সোমবার হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মিশেল এ কথা বলেন। খবর রয়টার্সের৷ স্বামী বারাক ওবামা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়ার পর হিলারি ক্লিনটনের মতো মিশেলও রাজনীতিতে পা রাখতে পারেন বলে গুঞ্জন চলছিল। এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারির পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাজনীতি শুরু করবেন না৷ এর আগে কর্মজীবী পরিবার নিয়ে হোয়াইট হাউসে এক সম্মেলনে নিজেদের অতীত জীবনযাত্রার ধরন নিয়ে অজানা অনেক কথা বলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি ও প্রেসিডেন্ট৷ হোয়াইট হাউসে আসার আগে বারাক ও মিশেল চাকরি করতেন৷ একসঙ্গে সময় কাটানো ওবামা দম্পতির জন্য তখন সত্যিই বেশ কঠিন ছিল৷ কারণ স্বামী-স্ত্রীর কর্মস্থল ছিল আলাদা শহরে৷ ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর অবশ্য পাল্টেছে তাঁদের জীবনযাত্রা৷
মিশেল বলেন, ‘বারাক তখন স্প্রিংফিল্ডে কাজ করতেন, তারপর ওয়াশিংটনে৷ আমি ছিলাম শিকাগোয়৷ ফুটফুটে দুটি মেয়ের দেখাশোনার পাশাপাশি তখন একটি খণ্ডকালীন চাকরিও করতাম৷ আসলে খণ্ডকালীন কাজ নিয়ে ভুল করেছিলাম৷ কারণ আমার খণ্ডকালীন বেতন হলেও কাজ পূর্ণকালীনই করতাম৷’ স্ত্রীর বক্তব্যের আগে প্রেসিডেন্ট ওবামাও কিছু কথা বলেন নিজের অতীত জীবন সম্পর্কে, ‘হোয়াইট হাউসে আসার আগেও আমাকে প্রচুর সময় কাজ করতে হতো৷ আর কিছু সময় নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমে কাটিয়েছি৷ সংসার ও মেয়েদের সামলানোসহ বাকি সব দায়িত্ব মিশেলের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম৷’ মিশেল বলেন, মেয়ে সারাহর জন্মের পর তাকে দেখাশোনার জন্য কেউ (বেবিসিটার) ছিল না৷ আর সেটাই ছিল সম্ভবত তাঁর মাতৃত্বের সবচেয়ে বাজে সময়৷ কিছুদিন পরই তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে একটি চাকরির ইন্টারভিউয়ের ডাক পান৷ চার মাস বয়সী মেয়ে সাশাকে নিয়েই তিনি সেখানে যান৷ চাকরিদাতা কর্তৃপক্ষ তাঁর অবস্থা বিবেচনায় নেয়। হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্টের চাকরিটা তিিন পেয়ে যান৷
No comments