এদের রাজনৈতিক প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না- চরমপন্থী শক্তির পুনরুত্থান?
পাবনার পুষ্পপাড়া বাজারে অতর্কিত হামলায় চার ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার পেছনে স্থানীয় হাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব কাজ করেছে বলে সাধারণভাবে অভিযোগ রয়েছে৷ কিন্তু বিএনপির নেতা ও পুলিশ সদস্যরা অভিযোগ করছেন, উপলক্ষ যা-ই হোক, হত্যাকারীরা ছিল চরমপন্থী দলের সদস্য৷ এই অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্য ভিিত্ত থাকলে বিষয়টি হালকাভাবে দেখা যাবে না৷ কারণ একসময় পাবনা, যশোর, খুলনা, বরিশালসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের এক বিরাট অংশে চরমপন্থী দলের সদস্য নামধারী সন্ত্রাসী চক্রের তৎপরতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল৷ পরে সাময়িকভাবে দমন করা সম্ভব হয়৷ এখন যদি আবার ওই সব অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে থাকে, তাহলে জননিরাপত্তা আরও বেশি হুমকির মুখে পড়বে৷
পাবনার পুষ্পবাজার এলাকাটি প্রধানত বিএনপি-জামায়াতের প্রভাবাধীন ছিল৷ গত বছরের ১০ মে বিএনপিদলীয় একজন ইউপি চেয়ারম্যান নিহত হলে আওয়ামী লীগ এলাকায় শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করতে থাকে৷ এ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াত জোটের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল৷ এই সুযোগে স্থানীয় কিছু চরমপন্থী নেতা-কর্মী বিএনপি-জামায়াত চক্রের সঙ্গে মিশে চাঁদাবাজিসহ নাশকতামূলক তৎপরতায় লিপ্ত হয় বলে অভিযোগ ওঠে৷ কিন্তু স্থানীয় বিএনপির নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চরমপন্থীরা বিএনপিতে নেই, ওদের রাজনৈতিক প্রশ্রয় দেওয়া হয় না৷ অবশ্য চরমপন্থীরাই যে চার খুনের নায়ক, সে অভিযোগ বিএনপিও করছে৷
কথিত চরমপন্থীরা একসময় সাম্যবাদ-সমাজবাদের আদর্শ প্রতিষ্ঠার কথা বলতেন৷ বিপ্লবের নামে গ্রামে গ্রামে জোতদার বা ধনী কৃষক হত্যা, লুটপাট ও অরাজকতা সৃষ্টি করতেন৷ এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও অবস্থাপন্নদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, ডাকাতি, রাহাজানি নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে উঠেছিল৷ পাবনায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের দাপট এতই প্রবল ছিল যে থানা-পুলিশও ভয়ে কাঁপত৷
পরবর্তীকালে সরকার, প্রশাসন ও বামপন্থী কিছু রাজনৈতিক দলের মধ্যস্থতায় চরমপন্থী সমস্যার একটি রাজনৈতিক সমাধানের কৌশল গ্রহণ করা হয়৷ সরকার গৃহীত কর্মসূচি অনুযায়ী অনেক চরমপন্থী নেতা-কর্মী আত্মসমর্পণ করেন৷ সরকার তাঁদের চাকরিতে নিয়োগ দিয়ে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়৷ কিছু নেতা-কর্মী এভাবে স্বাভাবিক সামাজিক জীবনে ফিরে আসেন৷ অনেকে আনসার সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান৷ কিন্তু অনেককে পুনর্বাসন করা সম্ভব না হওয়ায় তাঁরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েন৷ তাঁদের জীবনের ঝুঁকি দেখা দেয়৷ তাঁদের অনেকে আবার তাঁদেরই পরিত্যক্ত চরমপন্থী রাজনীতিতে ফিরে যেতে বাধ্য হন৷
চরমপন্থীরা যখন খুন, চাঁদাবাজি, লুটপাটে জড়িয়ে পড়েন, তখন আর তাঁদের আদর্শ বলে কিছু থাকে না৷ তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা অবশ্যই নিতে হবে৷ পাশাপাশি দেখতে হবে চরমপন্থী দলের কোনো সদস্য যদি আত্মসমর্পণ করে সমাজে পুনর্বাসনের সুযোগ গ্রহণ করতে চান, তিনি যেন সেই সুযোগ পান৷
চরমপন্থীরা সব সময় প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ছাতার নিচে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করে৷ বিশেষভাবে বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াত জোট এবং একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ-মহাজোটের ভেতরের দলগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে৷ কোনো অছিলাতেই এসব চরমপন্থী দলের সদস্যদের রাজনৈতিক প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না৷
পাবনার পুষ্পবাজার এলাকাটি প্রধানত বিএনপি-জামায়াতের প্রভাবাধীন ছিল৷ গত বছরের ১০ মে বিএনপিদলীয় একজন ইউপি চেয়ারম্যান নিহত হলে আওয়ামী লীগ এলাকায় শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করতে থাকে৷ এ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াত জোটের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল৷ এই সুযোগে স্থানীয় কিছু চরমপন্থী নেতা-কর্মী বিএনপি-জামায়াত চক্রের সঙ্গে মিশে চাঁদাবাজিসহ নাশকতামূলক তৎপরতায় লিপ্ত হয় বলে অভিযোগ ওঠে৷ কিন্তু স্থানীয় বিএনপির নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চরমপন্থীরা বিএনপিতে নেই, ওদের রাজনৈতিক প্রশ্রয় দেওয়া হয় না৷ অবশ্য চরমপন্থীরাই যে চার খুনের নায়ক, সে অভিযোগ বিএনপিও করছে৷
কথিত চরমপন্থীরা একসময় সাম্যবাদ-সমাজবাদের আদর্শ প্রতিষ্ঠার কথা বলতেন৷ বিপ্লবের নামে গ্রামে গ্রামে জোতদার বা ধনী কৃষক হত্যা, লুটপাট ও অরাজকতা সৃষ্টি করতেন৷ এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও অবস্থাপন্নদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, ডাকাতি, রাহাজানি নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে উঠেছিল৷ পাবনায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের দাপট এতই প্রবল ছিল যে থানা-পুলিশও ভয়ে কাঁপত৷
পরবর্তীকালে সরকার, প্রশাসন ও বামপন্থী কিছু রাজনৈতিক দলের মধ্যস্থতায় চরমপন্থী সমস্যার একটি রাজনৈতিক সমাধানের কৌশল গ্রহণ করা হয়৷ সরকার গৃহীত কর্মসূচি অনুযায়ী অনেক চরমপন্থী নেতা-কর্মী আত্মসমর্পণ করেন৷ সরকার তাঁদের চাকরিতে নিয়োগ দিয়ে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়৷ কিছু নেতা-কর্মী এভাবে স্বাভাবিক সামাজিক জীবনে ফিরে আসেন৷ অনেকে আনসার সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান৷ কিন্তু অনেককে পুনর্বাসন করা সম্ভব না হওয়ায় তাঁরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েন৷ তাঁদের জীবনের ঝুঁকি দেখা দেয়৷ তাঁদের অনেকে আবার তাঁদেরই পরিত্যক্ত চরমপন্থী রাজনীতিতে ফিরে যেতে বাধ্য হন৷
চরমপন্থীরা যখন খুন, চাঁদাবাজি, লুটপাটে জড়িয়ে পড়েন, তখন আর তাঁদের আদর্শ বলে কিছু থাকে না৷ তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা অবশ্যই নিতে হবে৷ পাশাপাশি দেখতে হবে চরমপন্থী দলের কোনো সদস্য যদি আত্মসমর্পণ করে সমাজে পুনর্বাসনের সুযোগ গ্রহণ করতে চান, তিনি যেন সেই সুযোগ পান৷
চরমপন্থীরা সব সময় প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ছাতার নিচে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করে৷ বিশেষভাবে বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াত জোট এবং একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ-মহাজোটের ভেতরের দলগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে৷ কোনো অছিলাতেই এসব চরমপন্থী দলের সদস্যদের রাজনৈতিক প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না৷
No comments