মিরপুরে সংঘর্ষ, নিহত ১০
রাজধানীর মিরপুর বিহারি বস্তির
বাসিন্দাদের সঙ্গে এলাকাবাসী ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শবে বরাতের
রাতে আতশবাজি পোড়ানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সংঘর্ষের পর বিহারি ক্যাম্পের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় স্থানীয় লোকজন।
আগুনে পুড়ে অন্তত নয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন। তাদের
লাশ উদ্ধার করে বিহারি ক্যাম্পেই রাখা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের গুলিতে আরও এক
যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয় ও
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফজরের নামাজের পর বিহারি ক্যাম্পের কয়েকজন যুবক
আতশবাজি পোড়ালে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন তাদের বাধা দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র
করে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে দুর্বৃত্তরা বিহারি ক্যাম্পের কয়েকটি ঘরে আগুন
ধরিয়ে দেয়। আগুনে ঘুমন্ত লোকজন মারা যায়। হতাহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিহারি
ক্যাম্পের লোকজন বিক্ষোভ করতে থাকেন। তাদের বিক্ষোভ থামাতে পুলিশ রাবার
বুলেট ও কাদানে গ্যাস ছুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরো এলাকার রাস্তা
বন্ধ করে দেয়া হয়। পুলিশের সাঁজোয়া যান রাস্তায় টহল দিচ্ছে। নিহতদের
পরিবারের সদস্য শওকত জানান, আগুনে পুড়ে তার স্ত্রী শাহানি (২২), ছেলে মারুফ
(৩), শাশুড়ি বেবি (৪০), শ্যালিকা আফসানা (১৮), রুফসানা (১০), শ্যালক আসিফ
(২০), দুই জমজ লালু ও গুলু। এ ঘটনায় পুলিশের গুলিতে আজাদ নামের আরও এক যুবক
হাসপাতালে মারা যান বলে শওকত জানান। এদিকে আমাদের মেডিকেল প্রতিবেদক
জানিয়েছেন, ঢাকা মেডিকেলে গুলিবিদ্ধ একজনের লাশ নেয়া হয়েছে। তার নাম আজাদ।
সেখানে আহত অবস্থায় আরও কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার কারণ নিয়ে ভিন্ন রকম বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। বিহারী ক্যাম্পের লোকজনের দাবি, স্থানীয় সংসদ সদস্যের সমর্থকরা এ হামলার সঙ্গে জড়িত। পাশের একটি বস্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগ না দেয়ায় সুযোগ বুঝে তারা এভাবে প্রতিশোধ দিয়েছে। ওই বস্তিটি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা করেছেন বলেও দাবি বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দাদের।
No comments