মিসরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট
মিসরের আলেক্সান্দ্রিয়ায় ভোট দেওয়ার পর সাবেক সেনাপ্রধান সিসি–সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। এএফপি |
মিসরের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী ভোট গ্রহণ গতকাল সোমবার শুরু হয়েছে৷ এতে সাবেক সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বিপুল বিজয় পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বামপন্থী নেতা হামদিন সাবাহি৷ আজ মঙ্গলবার ভোট গ্রহণ শেষ হবে৷ ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৫ জুন৷ খবর এএফপির৷ মিসরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মোহাম্মদ মুরসিকে গত বছর রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করে সেনাবাহিনী৷ ওই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন তৎকালীন সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সিসি৷ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পরে তিনি সেনাপ্রধানের পদ ছাড়েন৷ মুসলিম ব্রাদারহুড নির্বাচন বর্জন করেছে৷ নির্বাচনে পাঁচ কোটিরও বেশি ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন৷
গতকাল স্থানীয় সময় সকাল নয়টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোট গ্রহণ শুরু হয়৷ পূর্ব কায়রোর সুয়েজ শহরের একটি কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা সাবের হাবিব বলেন, ‘আমরা সিসিকে প্রকৃত নেতা মনে করছি৷ মিসর চায় একজন শক্ত মানুষ৷’ ৬৪ বছর বয়সী এই ঠিকাদার বলেন, ‘আমরা চাই দেশ এগিয়ে যাক এবং মানুষের অন্নের সংস্থান হোক৷’ গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাতের পর থেকে অর্থনৈতিক সংকটসহ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে সিসিকে৷ তবে অভ্যুত্থানে মুরসির কয়েক হাজার সমর্থককে হত্যা এবং জেলে পাঠানো হয়৷ ২০১১ সালে প্রেিসডেন্ট হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী অনেক ভিন্নমতাবলম্বীকেও কারাবন্দী করা হয়৷ কায়রোতে ভোট দেওয়ার সময় সিসিকে দেখে তাঁর সমর্থকেরা ‘প্রেসিডেন্ট’ ‘প্রেসিডেন্ট’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন৷ এ সময় তিনি ভোটারদের উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘মিসরবাসী আজ তাঁদের ইতিহাস রচনা করতে যাচ্ছে৷’ প্রবাসী মিসরীয়দের আগাম অনুষ্ঠিত ভোটে ৯৫ শতাংশ ভোটই পেয়েছেন সিসি৷ ওয়াশিংটনভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টারের জনমত জরিপ বলছে, নির্বাচনে সিসি পাবেন ৫৪ শতাংশ ভোট৷
No comments