নির্বাচন বর্জন বিএনপির রাজনৈতিক ভুল
এবার উৎসবমুখর নির্বাচন
বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে ৯৭টি উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট গ্রহণ হয়েছে। বিরোধী দলবিহীন ‘একতরফা’ সংসদ নির্বাচনের ৪৪ দিনের মাথায় অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করলেও বিএনপি ও জামায়াতসহ ১৯-দলীয় জোট নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এ বিষয়ে পাঠক দেবপ্রিয় দেব লিখেছেন: বিএনপি-জামায়াত নিশ্চয় উপলব্ধি করেছে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা ছিল বড় রাজনৈতিক ভুল ও আওয়ামী লীগের কাছে কৌশলগত পরাজয়। মো. তুহিন: বিএনপির এখন তো ছালা আছে, জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিলে আম-ছালা দুটোই যেত। উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল দেখে তা-ই মনে হয়। শফিক: বিএনপির জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা ছিল বড় রাজনৈতিক ভুল। আব্দুল মজিদ কাজী: অনিয়মের অভিযোগ যাঁরা করেন, তাঁরাই তো মূলত অনিয়মকারী। নির্বাচন কমিশন কি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে অনিয়ম করেছে? আমাদের প্রার্থী বা তাঁর সমর্থকেরা যে যেখানে শক্তিশালী, সেখানেই তাঁরা অনিয়ম করেন, আবার এই প্রার্থীরাই অভিযোগ করেন। সবাই নিজেকে শুধরে নিলে দেশে যেমন শান্তি আসত, তেমনি অনিয়মের বালাই থাকত না। মনিরুজ্জামান: রুহুল কবির রিজভী কী বলেন তা শোনার অপেক্ষায়...। আবারও প্রমাণিত হলো একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। মো. শাহ আলম: এই উৎসবমুখর নির্বাচন এটাই প্রমাণ করে যে বাংলার জনগণ তাঁদের প্রতিনিধি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করতে চান।
রিজার্ভ ভেঙে ‘মুরগির খাবার’!
নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু হবে, সেটা সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী পরিষ্কার বললেন, নিজেদের সম্পদেই পদ্মা সেতু হবে এবং এ প্রকল্পে অর্থের জোগান দিতে কোনো সমস্যাই হবে না। এর সমালোচনা করে পাঠক শেখর রনি লিখেছেন: হ্যাঁ, রিজার্ভে যত সম্ভব হাত দেওয়া ঠিক হবে না, সেটা তো পরিষ্কার। কিন্তু লেখক, সমাধান কী? সমস্যার কথা লেখা সহজ, এমন তো না ধারদেনার চেষ্টা করা হয়নি। আবুলের ঘটনা তো জানা, কিন্তু এখন সমাধান কী? সেতু করতে হবে কিন্তু সে জন্য বিশাল সুদের বোঝা জনগণ বহন করবে কেন? মোহাম্মদ খান: কথার কচকচানি বেশি দরকার, না পদ্মা সেতু হওয়াটা বেশি দরকার? যারা বেশি বকবক করে, তারা কাজের কাজ কিছুই করতে পারে না। কথায় বলে শূন্য কলস বাজে বেশি। পদ্মা সেতু শুধু অর্থনৈতিক কারণেই দরকার নয়, নাক উঁচুদের দেখিয়ে দেওয়া দরকার বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। আর এসব বড় কাজ নিজেরাই করতে পারে। যত দিন যাবে, পদ্মা সেতু বানানোর খরচ ততই বাড়বে। আজকের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এসেছে রিজার্ভ এখন ১৯ বিলিয়ন ডলার পার হয়েছে। পদ্মা সেতু হোক যারা চায় না, তারাই বেশি কথার মারপ্যাঁচ করছে। গোলাম রব্বানি নয়ন: পদ্মা সেতু আমাদের অনেক দরকার। এই সেতুর জন্য যা যা করা দরকার তা-ই করতে হবে। মো. এস রহমান: ফান্ড যেখান থেকেই আসুক না কেন, আমরা চাই পদ্মা সেতু। এ সেতু জাতীয় উন্নয়ন ও আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে প্রভূত পরিবর্তন আনবে। আজ যে বাংলাদেশ, এর চেয়েও অনেক বেশি ওপরে থাকবে আমাদের দেশের অবস্থান। বিশ্ববিবেক মূল্যায়ন করছে যে, ১৯২১ সালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ১৯৪১ সালে হয়ে যাবে উন্নত দেশের তালিকায়। যদি পদ্মা সেতু তৈরি করা যায়, তবে এ বিষয়ে কোনোই সন্দেহ থাকবে না।
রাজধানীর গণপরিবহন, রাজনীতিকেরাই নিয়ন্ত্রক
প্রভাবশালী মন্ত্রী, সাংসদসহ ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিকেরা রাজধানীর গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণ করছেন। ফলে ব্যবসায়িক স্বার্থের কাছে জনস্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে তুষার মণ্ডলের মন্তব্য: ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিকেরা রাজধানীর গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণ করছেন, এটা কি চাট্টিখানি কথা। কোনো একদিন শুনেছিলাম আমেরিকার কোনো এক প্রেসিডেন্ট নাকি জুতা সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আর আমাদের দেশের রাজনীতিকেরা ড্রাইভারি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন, ভালো তো। নুরুর রহমান: প্রভাবশালী মন্ত্রী, সাংসদসহ ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিকেরা রাজধানীর গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণ করছেন। এ অবস্থায় একে আর গণপরিবহন না বলে দলীয় পরিবহন বলাই সংগত নয় কী? খন্দকার দিদারুল ইসলাম: শেখ হাসিনা যতই পরিচ্ছন্ন সরকার করার চেষ্টা করুন না কেন, কিছু সাংসদকে বাদ দেওয়া ও তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে জনগণের সরকার কখনোই গঠন করতে পারবেন না। মো. লুৎফুল কবির: বাসের এ সংকটে সব বাসের সিটিং সার্ভিস বাতিল করা উচিত। এ ছাড়া সব বাসে টিকিট চালু করা উচিত।
‘বাংলাদেশ’ নামেরও বিরোধিতা করেছিল জামায়াত
জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালে কেবল বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের বিরোধিতাই করেনি, ১৯৬৯ সালে বাঙালি রাজনীতিকেরা যখন ‘বাংলাদেশ’ নামকরণের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন, তখন জামায়াত এর বিরোধিতা করেছিল। বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে পাঠক এম এইচ রহমতুল্লাহ বাবু লিখেছেন: ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর মাজার প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, আজ থেকে আমাদের এই ভূখণ্ডের নাম হবে ‘বাংলাদেশ’। তখন থেকেই বাংলাদেশ নামটি জনপ্রিয় হয়ে যায়। এর আগে কখনো কখনো লোকেরা বলতেন, ইস্ট পাকিস্তান সেপারেট হয়ে যাবে, কিন্তু কখনোই কারও মুখে ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি অন্তত আমি শুনিনি। অবশ্য ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি বাংলা ভাষার বইপত্রে কখনো কখনো লেখা হয়েছে। আসিফ শিকদার লিখেছেন: বাংলাদেশই বোধ হয় পৃথিবীর একমাত্র দেশ যে দেশে দেশদ্রোহী হয়েও বহাল তবিয়তে থাকা যায়। আকিব হোসেন: জামায়াত সব সময় বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা, বাংলা—এই শব্দগুলোর শত্রু।
সুন্দরবন থেকে বঙ্গোপসাগর
অন্য বহু দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অনেকগুলো বিশেষ শক্তির দিক আছে। উর্বর তিন ফসলি জমি, ভূগর্ভস্থ ও ভূউপরিস্থ বিশাল পানিসম্পদ, নদী-নালা, খাল-বিল, ঘন জনবসতি—সবই আমাদের সম্পদ, যা অনেকের নেই। এর বাইরেও আছে সুন্দরবনের মতো অসংখ্য প্রাণের সমষ্টি এক মহাপ্রাণ। আমাদের আরও আছে বঙ্গোপসাগর। এ ব্যাপারে পাঠক আশরাফের মন্তব্য: দেশটা আমাদের, আমাদেরই দেখভাল করতে হবে। যেসব বুদ্ধিমান মানুষ অসুস্থ মন-মানসিকতা নিয়ে বলেন দেশ গোল্লায় গেছে, মানুষ বা তরুণদের দিয়ে কিছু হবে না, তাঁরা কখনোই কোনো তরুণকে ডেকে দেশপ্রেমের কথা বলেন না। সরাসরি না হলেও তাঁরা পরোক্ষভাবে দেশের উপকার করতে পারেন। কেন সুশীল সমাজ বা বুদ্ধিজীবীরা এক হয়ে দেশবিরোধী এসব চুক্তির বিরোধিতা করেন না? আন্না হাজারে, হুগো চাভেজ কেন আমরা দেখতে পাই না আমাদের সোনার বাংলায়? সবাই কি তাহলে নিজেদের দেশাত্মবোধ, বিবেক কোনো না কোনো দলের কাছে বেচে দিয়েছেন? এ দেশে কোনো সরকার যা পারে না, সুশীল সমাজের বুদ্ধিজীবীরা তা পারেন। তাঁরা যুবসমাজের শুধু সমালোচনা না করে তাঁদের আলোর পথে ফিরিয়ে এনে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। তবেই দেশের সর্বময় উন্নতি সম্ভব এবং দেশ পৌঁছে যাবে উন্নতির চরম শিখরে। এ-জাতীয় লেখা নিয়মিত চাই। আব্দুল্লাহ আল মামুন: আমাদের দেশের সম্পদ আছে কিন্তু সুষ্ঠু ব্যবহার নেই। সুমন: আসলে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সাধারণ জনগণকে একত্র হয়ে সরকারকে চাপ দিতে হবে।
বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে ৯৭টি উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট গ্রহণ হয়েছে। বিরোধী দলবিহীন ‘একতরফা’ সংসদ নির্বাচনের ৪৪ দিনের মাথায় অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করলেও বিএনপি ও জামায়াতসহ ১৯-দলীয় জোট নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এ বিষয়ে পাঠক দেবপ্রিয় দেব লিখেছেন: বিএনপি-জামায়াত নিশ্চয় উপলব্ধি করেছে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা ছিল বড় রাজনৈতিক ভুল ও আওয়ামী লীগের কাছে কৌশলগত পরাজয়। মো. তুহিন: বিএনপির এখন তো ছালা আছে, জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিলে আম-ছালা দুটোই যেত। উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল দেখে তা-ই মনে হয়। শফিক: বিএনপির জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা ছিল বড় রাজনৈতিক ভুল। আব্দুল মজিদ কাজী: অনিয়মের অভিযোগ যাঁরা করেন, তাঁরাই তো মূলত অনিয়মকারী। নির্বাচন কমিশন কি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে অনিয়ম করেছে? আমাদের প্রার্থী বা তাঁর সমর্থকেরা যে যেখানে শক্তিশালী, সেখানেই তাঁরা অনিয়ম করেন, আবার এই প্রার্থীরাই অভিযোগ করেন। সবাই নিজেকে শুধরে নিলে দেশে যেমন শান্তি আসত, তেমনি অনিয়মের বালাই থাকত না। মনিরুজ্জামান: রুহুল কবির রিজভী কী বলেন তা শোনার অপেক্ষায়...। আবারও প্রমাণিত হলো একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। মো. শাহ আলম: এই উৎসবমুখর নির্বাচন এটাই প্রমাণ করে যে বাংলার জনগণ তাঁদের প্রতিনিধি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করতে চান।
রিজার্ভ ভেঙে ‘মুরগির খাবার’!
নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু হবে, সেটা সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী পরিষ্কার বললেন, নিজেদের সম্পদেই পদ্মা সেতু হবে এবং এ প্রকল্পে অর্থের জোগান দিতে কোনো সমস্যাই হবে না। এর সমালোচনা করে পাঠক শেখর রনি লিখেছেন: হ্যাঁ, রিজার্ভে যত সম্ভব হাত দেওয়া ঠিক হবে না, সেটা তো পরিষ্কার। কিন্তু লেখক, সমাধান কী? সমস্যার কথা লেখা সহজ, এমন তো না ধারদেনার চেষ্টা করা হয়নি। আবুলের ঘটনা তো জানা, কিন্তু এখন সমাধান কী? সেতু করতে হবে কিন্তু সে জন্য বিশাল সুদের বোঝা জনগণ বহন করবে কেন? মোহাম্মদ খান: কথার কচকচানি বেশি দরকার, না পদ্মা সেতু হওয়াটা বেশি দরকার? যারা বেশি বকবক করে, তারা কাজের কাজ কিছুই করতে পারে না। কথায় বলে শূন্য কলস বাজে বেশি। পদ্মা সেতু শুধু অর্থনৈতিক কারণেই দরকার নয়, নাক উঁচুদের দেখিয়ে দেওয়া দরকার বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। আর এসব বড় কাজ নিজেরাই করতে পারে। যত দিন যাবে, পদ্মা সেতু বানানোর খরচ ততই বাড়বে। আজকের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এসেছে রিজার্ভ এখন ১৯ বিলিয়ন ডলার পার হয়েছে। পদ্মা সেতু হোক যারা চায় না, তারাই বেশি কথার মারপ্যাঁচ করছে। গোলাম রব্বানি নয়ন: পদ্মা সেতু আমাদের অনেক দরকার। এই সেতুর জন্য যা যা করা দরকার তা-ই করতে হবে। মো. এস রহমান: ফান্ড যেখান থেকেই আসুক না কেন, আমরা চাই পদ্মা সেতু। এ সেতু জাতীয় উন্নয়ন ও আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে প্রভূত পরিবর্তন আনবে। আজ যে বাংলাদেশ, এর চেয়েও অনেক বেশি ওপরে থাকবে আমাদের দেশের অবস্থান। বিশ্ববিবেক মূল্যায়ন করছে যে, ১৯২১ সালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ১৯৪১ সালে হয়ে যাবে উন্নত দেশের তালিকায়। যদি পদ্মা সেতু তৈরি করা যায়, তবে এ বিষয়ে কোনোই সন্দেহ থাকবে না।
রাজধানীর গণপরিবহন, রাজনীতিকেরাই নিয়ন্ত্রক
প্রভাবশালী মন্ত্রী, সাংসদসহ ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিকেরা রাজধানীর গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণ করছেন। ফলে ব্যবসায়িক স্বার্থের কাছে জনস্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে তুষার মণ্ডলের মন্তব্য: ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিকেরা রাজধানীর গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণ করছেন, এটা কি চাট্টিখানি কথা। কোনো একদিন শুনেছিলাম আমেরিকার কোনো এক প্রেসিডেন্ট নাকি জুতা সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আর আমাদের দেশের রাজনীতিকেরা ড্রাইভারি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন, ভালো তো। নুরুর রহমান: প্রভাবশালী মন্ত্রী, সাংসদসহ ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিকেরা রাজধানীর গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণ করছেন। এ অবস্থায় একে আর গণপরিবহন না বলে দলীয় পরিবহন বলাই সংগত নয় কী? খন্দকার দিদারুল ইসলাম: শেখ হাসিনা যতই পরিচ্ছন্ন সরকার করার চেষ্টা করুন না কেন, কিছু সাংসদকে বাদ দেওয়া ও তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে জনগণের সরকার কখনোই গঠন করতে পারবেন না। মো. লুৎফুল কবির: বাসের এ সংকটে সব বাসের সিটিং সার্ভিস বাতিল করা উচিত। এ ছাড়া সব বাসে টিকিট চালু করা উচিত।
‘বাংলাদেশ’ নামেরও বিরোধিতা করেছিল জামায়াত
জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালে কেবল বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের বিরোধিতাই করেনি, ১৯৬৯ সালে বাঙালি রাজনীতিকেরা যখন ‘বাংলাদেশ’ নামকরণের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন, তখন জামায়াত এর বিরোধিতা করেছিল। বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে পাঠক এম এইচ রহমতুল্লাহ বাবু লিখেছেন: ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর মাজার প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, আজ থেকে আমাদের এই ভূখণ্ডের নাম হবে ‘বাংলাদেশ’। তখন থেকেই বাংলাদেশ নামটি জনপ্রিয় হয়ে যায়। এর আগে কখনো কখনো লোকেরা বলতেন, ইস্ট পাকিস্তান সেপারেট হয়ে যাবে, কিন্তু কখনোই কারও মুখে ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি অন্তত আমি শুনিনি। অবশ্য ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি বাংলা ভাষার বইপত্রে কখনো কখনো লেখা হয়েছে। আসিফ শিকদার লিখেছেন: বাংলাদেশই বোধ হয় পৃথিবীর একমাত্র দেশ যে দেশে দেশদ্রোহী হয়েও বহাল তবিয়তে থাকা যায়। আকিব হোসেন: জামায়াত সব সময় বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা, বাংলা—এই শব্দগুলোর শত্রু।
সুন্দরবন থেকে বঙ্গোপসাগর
অন্য বহু দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অনেকগুলো বিশেষ শক্তির দিক আছে। উর্বর তিন ফসলি জমি, ভূগর্ভস্থ ও ভূউপরিস্থ বিশাল পানিসম্পদ, নদী-নালা, খাল-বিল, ঘন জনবসতি—সবই আমাদের সম্পদ, যা অনেকের নেই। এর বাইরেও আছে সুন্দরবনের মতো অসংখ্য প্রাণের সমষ্টি এক মহাপ্রাণ। আমাদের আরও আছে বঙ্গোপসাগর। এ ব্যাপারে পাঠক আশরাফের মন্তব্য: দেশটা আমাদের, আমাদেরই দেখভাল করতে হবে। যেসব বুদ্ধিমান মানুষ অসুস্থ মন-মানসিকতা নিয়ে বলেন দেশ গোল্লায় গেছে, মানুষ বা তরুণদের দিয়ে কিছু হবে না, তাঁরা কখনোই কোনো তরুণকে ডেকে দেশপ্রেমের কথা বলেন না। সরাসরি না হলেও তাঁরা পরোক্ষভাবে দেশের উপকার করতে পারেন। কেন সুশীল সমাজ বা বুদ্ধিজীবীরা এক হয়ে দেশবিরোধী এসব চুক্তির বিরোধিতা করেন না? আন্না হাজারে, হুগো চাভেজ কেন আমরা দেখতে পাই না আমাদের সোনার বাংলায়? সবাই কি তাহলে নিজেদের দেশাত্মবোধ, বিবেক কোনো না কোনো দলের কাছে বেচে দিয়েছেন? এ দেশে কোনো সরকার যা পারে না, সুশীল সমাজের বুদ্ধিজীবীরা তা পারেন। তাঁরা যুবসমাজের শুধু সমালোচনা না করে তাঁদের আলোর পথে ফিরিয়ে এনে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। তবেই দেশের সর্বময় উন্নতি সম্ভব এবং দেশ পৌঁছে যাবে উন্নতির চরম শিখরে। এ-জাতীয় লেখা নিয়মিত চাই। আব্দুল্লাহ আল মামুন: আমাদের দেশের সম্পদ আছে কিন্তু সুষ্ঠু ব্যবহার নেই। সুমন: আসলে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সাধারণ জনগণকে একত্র হয়ে সরকারকে চাপ দিতে হবে।
No comments