নিরুত্তাপ সংসদে বিএনপির আয়েসি সময়
বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন ওয়াক আউটের পর দ্বিতীয় দিন ফিরে এলেও সংসদ জমাতে পারেনি বিরোধী দল।
সদ্য কারামুক্ত বর্ষীয়ান পার্লামেন্টারিয়ান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এমকে
আনোয়ার পুরো সময়টাই কাটিয়েছেন নিজের চেয়ারে আধশোয়া হয়ে। যেন নিরুত্তাপ
দৃষ্টিতে স্পিকারকে মাপছেন।
সদ্য কারামুক্ত অপর অপর বিএনপি
নেতা বরকত উল্লাহ বুলুও বক্তব্যের জন্য স্পিকারের সময় চাইলেন না। আগের দিন
ওয়াক-আউটের নেতৃত্ব দেওয়া ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদও নিলেন নীরব দর্শকের
ভূমিকা।
তাই সরকারের সমালোচনায় সংরক্ষিত আসনের সাংসদ শাম্মী আক্তারের উচ্চারণ করা ‘গুণ্ডাতন্ত্র’ শব্দটিই হয়ে উঠলো অধিবেশেনের একমাত্র উত্তাপ ছড়ানোর উদাহরণ।
যদিও স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী শব্দটিকে ‘আপত্তিকর ও অসংসদীয়’ হিসেবে অবহিত করে এক্সপাঞ্জের ঘোষণা দিলে বিরোধী পক্ষ নিরুত্তাপই থেকেছে।
এছাড়া শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ ইস্যুতে সরকারের সমালোচনা করলেও তাতে সংসদ উত্তপ্ত হয়নি মোটেও।
এরই মাঝে পাশাপাশি বসে জটলা গড়ে দফায় দফায় নিজেদের মধ্যে গল্পে মশগুল হয়েছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। অধিবেশনের শেষ ভাগে এসে আলস্য কাটিয়ে তাদের সঙ্গে গল্পে যোগ দিয়েছেন এমকে আনোয়ার।
অধিবেশন চলাকালেই এমন আরো জটলা জমিয়েছেন বরকতউল্লাহ বুলু, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আবুল খায়ের ভূঁইয়ারা।
পেছনের সারিতে সংরক্ষিত আসনের সাংসদ রেহেনা আক্তার রানু বসে ছিলেন চুপচাপ। আশিফা আশরাফী পাপিয়া আর রাশেদা বেগম হীরার বক্তব্যও ছিলো নিরুত্তাপ।
এরই মাঝে বিরোধী দলের সাংসদরা একে একে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করতে থাকেন। অধিবেশনের শেষ ভাগে স্পিকার শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও নিলোফার চৌধুরী মনির নাম ঘোষণা করলেও দেখা গেলো সংসদে নেই তারা।
বিরোধী দলের সাংসদদের এমন নিরুত্তাপ সময় কাটানোর পেছনে অবশ্য সরকারি দলের সাংসদদের অবদানটাও নেহায়েত কম নয়। বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে কোনো আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেননি তারা। বলেননি কোনো কটূর কথাও।
বরং খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদ্য পৌর মেয়র নির্বাচিত কারাবন্দি এক বিএনপি নেতার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করার অঙ্গীকার করে অনন্য এক নজির গড়েছেন।
বাংলাদেশে এমন শান্তিপূর্ণ সংসদ অধিবেশন কে কবে দেখেছে বলা মুশকিল। যদিও এমন অধিবেশন দেখার জন্য আসেননি বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া। ছিলেন না বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকও।
তাই সরকারের সমালোচনায় সংরক্ষিত আসনের সাংসদ শাম্মী আক্তারের উচ্চারণ করা ‘গুণ্ডাতন্ত্র’ শব্দটিই হয়ে উঠলো অধিবেশেনের একমাত্র উত্তাপ ছড়ানোর উদাহরণ।
যদিও স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী শব্দটিকে ‘আপত্তিকর ও অসংসদীয়’ হিসেবে অবহিত করে এক্সপাঞ্জের ঘোষণা দিলে বিরোধী পক্ষ নিরুত্তাপই থেকেছে।
এছাড়া শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ ইস্যুতে সরকারের সমালোচনা করলেও তাতে সংসদ উত্তপ্ত হয়নি মোটেও।
এরই মাঝে পাশাপাশি বসে জটলা গড়ে দফায় দফায় নিজেদের মধ্যে গল্পে মশগুল হয়েছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। অধিবেশনের শেষ ভাগে এসে আলস্য কাটিয়ে তাদের সঙ্গে গল্পে যোগ দিয়েছেন এমকে আনোয়ার।
অধিবেশন চলাকালেই এমন আরো জটলা জমিয়েছেন বরকতউল্লাহ বুলু, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আবুল খায়ের ভূঁইয়ারা।
পেছনের সারিতে সংরক্ষিত আসনের সাংসদ রেহেনা আক্তার রানু বসে ছিলেন চুপচাপ। আশিফা আশরাফী পাপিয়া আর রাশেদা বেগম হীরার বক্তব্যও ছিলো নিরুত্তাপ।
এরই মাঝে বিরোধী দলের সাংসদরা একে একে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করতে থাকেন। অধিবেশনের শেষ ভাগে স্পিকার শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও নিলোফার চৌধুরী মনির নাম ঘোষণা করলেও দেখা গেলো সংসদে নেই তারা।
বিরোধী দলের সাংসদদের এমন নিরুত্তাপ সময় কাটানোর পেছনে অবশ্য সরকারি দলের সাংসদদের অবদানটাও নেহায়েত কম নয়। বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে কোনো আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেননি তারা। বলেননি কোনো কটূর কথাও।
বরং খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদ্য পৌর মেয়র নির্বাচিত কারাবন্দি এক বিএনপি নেতার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করার অঙ্গীকার করে অনন্য এক নজির গড়েছেন।
বাংলাদেশে এমন শান্তিপূর্ণ সংসদ অধিবেশন কে কবে দেখেছে বলা মুশকিল। যদিও এমন অধিবেশন দেখার জন্য আসেননি বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া। ছিলেন না বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকও।
No comments