সিরিয়ায় এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হয়নি: পুতিন
পাশ্চাত্যের নেতাদের আশ্বস্ত করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মস্কো এখনো সিরিয়ায় এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেনি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হোক, রাশিয়া তা চায় না। তবে সিরিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রির অধিকার রাশিয়ার আছে। রাশিয়ার ইয়েকাতেরিনবুর্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন এ কথা বলেন। এদিকে জাতিসংঘ বলেছে, সিরিয়ায় সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে, এটা বিশ্বাস করার ‘যুক্তিসংগত’ কারণ রয়েছে। তবে এর পক্ষে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও বলেন, ‘সিরিয়ার সঙ্গে কয়েক বছর আগেই অস্ত্র সরবরাহ-সংক্রান্ত চুক্তি করা হয়। সেই চুক্তির এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি। তবে আমরা ওই অঞ্চলের ভারসাম্য নষ্ট করতে চাই না।’ তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বহির্বিশ্বের সামরিক অভিযান ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। ইইউ সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা না বাড়ানোয় তার নিন্দা জানিয়েছেন পুতিন। এই মুহূর্তে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অন্যতম মিত্র রাশিয়া দামেস্কে বিভিন্ন অস্ত্র সরবরাহ করছে। কয়েক বছর আগে করা চুক্তির আওতায়ই এসব অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে বলে দাবি করছে উভয় দেশ। সম্প্রতি লেবাননের কট্টরপন্থী সংগঠন হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত আল-মানার টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট বাশার বলেন, তিনি রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৩০০ মডেলের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছেন। সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন খতিয়ে দেখতে গঠিত জাতিসংঘ কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় ‘নৃশংসতা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে’। সেখানে দুই পক্ষই যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। সিরিয়ার বিদ্রোহীরাও যে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে থাকতে পারে, এমন আশঙ্কার কথা নাকচ করা হয়নি ওই প্রতিবেদনে। এতে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দিতে দামেস্কের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়। নদীর তীরে ১৪৭ লাশ সিরিয়ার আলেপ্পোতে একটি নদীর তীরে ১৪৭ ব্যক্তির দেহাবশেষ দেখেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। সংগঠনটি বলছে, সম্ভবত সরকারনিয়ন্ত্রিত এলাকায় তাদের হত্যা করা হয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। এইচআরডব্লিউ জানায়, তারা ওই এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয় বাসিন্দা, একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও হত্যার শিকার ১৮ জনের পরিবারের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছে। এ ছাড়াও সাড়ে তিন শ ছবি ও ভিডিওচিত্র দেখেছে। এর পরেই ওই লাশগুলোর ব্যাপারে এ বক্তব্য দিয়েছে। বিবিসি, এএফপি।
No comments