বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ান
দেশের উপকূলজুড়ে যখন ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আঘাত হানার জন্য এগিয়ে আসছে এবং উপকূলবাসী গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে, তখন সরকার ও বিরোধী দলের ‘যুদ্ধ প্রস্তুতি’ আমাদের বিচলিত না করে পারে না। সমাবেশ করার অনুমতি না পেয়ে প্রথমে বিরোধী দল আগামী রোববার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করে। পরে ঘূর্ণিঝড়ের কথা বিবেচনা করে সাত ঘণ্টা পর হরতাল প্রত্যাহার করে নেয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুহূর্তে বিরোধী দলের সমাবেশ করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে, যেমন প্রশ্ন আছে সরকারি দলের সভা-সমাবেশ নিয়েও। তাই বলে বিরোধী দলকে সমাবেশ করতে না দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। তদুপরি গতকাল বিএনপির অন্যতম যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লা বুলুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারের এসব পদক্ষেপ আলোচনার পরিবেশকেই নষ্ট করবে না, রাজনৈতিক সংঘাতও বাড়িয়ে দেবে।
সাভারে মানবসৃষ্ট দুর্যোগে সহস্রাধিক মানুষের জীবনহানির পর দক্ষিণ উপকূলে যখন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানছে, তখন সরকার ও বিরোধী দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থান কোনোভাবেই কাম্য নয়। সব ধরনের রাজনৈতিক বিরোধ ভুলে গিয়ে এ মুহূর্তে সবারই উচিত দক্ষিণাঞ্চলের বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এখন জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন রাজনৈতিক কর্মসূচি কাম্য নয়, তেমনি সরকারকেও সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সহিষ্ণু আচরণ করতে হবে। এখন রাজনৈতিক ঝগড়াঝাঁটির সময় নয়, বিপন্ন মানুষগুলোকে উদ্ধারেই সর্বশক্তি নিয়োগ করা প্রয়োজন।
কী কারণে বিরোধী দলকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি, সরকার তার ব্যাখ্যা দেয়নি। সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৫ মে হেফাজতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর এ ধরনের সমাবেশে নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু নীতিনির্ধারকদের জানা থাকার কথা, বিরোধী দলকে সমাবেশ করার অনুমতি দিলেই নাশকতার আশঙ্কা কম থাকে এবং অনুমতি না দিলেই বরং সেই আশঙ্কা বেড়ে যায়। সমাবেশের অনুমতির পর অঘটন ঘটলে সংশ্লিষ্ট দল বা জোটকে দায়ী করা যায়। কিন্তু অনুমতি না দেওয়া হলে অঘটনের দায় সরকারের ওপরই বেশি পড়ে। দুই পক্ষই যখন নির্বাচনকালীন সরকারকাঠামো নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে আশাবাদী, তখন সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক নয়, যাতে সেই সম্ভাবনা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়।
এই মুহূর্তে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলবর্তী মানুষগুলো যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে, সে জন্য প্রশাসনসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে স্বেচ্ছাসেবকেরা বিপন্ন মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছেন। রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদেরও উচিত, তাঁদের এই উদ্যোগে সহায়তার হাত প্রসারিত করা।
যাঁরা জনগণের জন্য রাজনীতি করে বলে দাবি করেন, তাঁরা জনগণের এই দুর্যোগের সময় হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারেন না। বিরোধী দল সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদ নিশ্চয়ই করবে। কিন্তু এই মুহূর্তে তার চেয়েও জরুরি হলো উপকূলের দুর্গত মানুষগুলোকে বাঁচানো।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুহূর্তে বিরোধী দলের সমাবেশ করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে, যেমন প্রশ্ন আছে সরকারি দলের সভা-সমাবেশ নিয়েও। তাই বলে বিরোধী দলকে সমাবেশ করতে না দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। তদুপরি গতকাল বিএনপির অন্যতম যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লা বুলুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারের এসব পদক্ষেপ আলোচনার পরিবেশকেই নষ্ট করবে না, রাজনৈতিক সংঘাতও বাড়িয়ে দেবে।
সাভারে মানবসৃষ্ট দুর্যোগে সহস্রাধিক মানুষের জীবনহানির পর দক্ষিণ উপকূলে যখন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানছে, তখন সরকার ও বিরোধী দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থান কোনোভাবেই কাম্য নয়। সব ধরনের রাজনৈতিক বিরোধ ভুলে গিয়ে এ মুহূর্তে সবারই উচিত দক্ষিণাঞ্চলের বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এখন জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন রাজনৈতিক কর্মসূচি কাম্য নয়, তেমনি সরকারকেও সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সহিষ্ণু আচরণ করতে হবে। এখন রাজনৈতিক ঝগড়াঝাঁটির সময় নয়, বিপন্ন মানুষগুলোকে উদ্ধারেই সর্বশক্তি নিয়োগ করা প্রয়োজন।
কী কারণে বিরোধী দলকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি, সরকার তার ব্যাখ্যা দেয়নি। সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৫ মে হেফাজতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর এ ধরনের সমাবেশে নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু নীতিনির্ধারকদের জানা থাকার কথা, বিরোধী দলকে সমাবেশ করার অনুমতি দিলেই নাশকতার আশঙ্কা কম থাকে এবং অনুমতি না দিলেই বরং সেই আশঙ্কা বেড়ে যায়। সমাবেশের অনুমতির পর অঘটন ঘটলে সংশ্লিষ্ট দল বা জোটকে দায়ী করা যায়। কিন্তু অনুমতি না দেওয়া হলে অঘটনের দায় সরকারের ওপরই বেশি পড়ে। দুই পক্ষই যখন নির্বাচনকালীন সরকারকাঠামো নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে আশাবাদী, তখন সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক নয়, যাতে সেই সম্ভাবনা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়।
এই মুহূর্তে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলবর্তী মানুষগুলো যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে, সে জন্য প্রশাসনসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে স্বেচ্ছাসেবকেরা বিপন্ন মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছেন। রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদেরও উচিত, তাঁদের এই উদ্যোগে সহায়তার হাত প্রসারিত করা।
যাঁরা জনগণের জন্য রাজনীতি করে বলে দাবি করেন, তাঁরা জনগণের এই দুর্যোগের সময় হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারেন না। বিরোধী দল সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদ নিশ্চয়ই করবে। কিন্তু এই মুহূর্তে তার চেয়েও জরুরি হলো উপকূলের দুর্গত মানুষগুলোকে বাঁচানো।
No comments