আলোচকদের তালিকা দিয়েছেন সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার
বাশার আল-আসাদ |
রাশিয়ার প্রস্তাবিত শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ তাঁর পক্ষের আলোচকদের একটি তালিকা রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করেছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এ কথা জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। হোয়াইট হাউসে গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বৈঠকে রাশিয়ার প্রস্তাবিত শান্তি আলোচনা নিয়ে আলোচনা হয়। এর পর প্রেসিডেন্ট বাশারের পক্ষের আলোচকদের তালিকা হস্তান্তরের খবরকে বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।Untitled-9জন কেরি আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার সুযোগ হাতছাড়া না করতে প্রেসিডেন্ট বাশারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কেরি ও লাভরভ গত মঙ্গলবার রাতে চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। গত সপ্তাহে তাঁরা রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলন করে সিরিয়ায় রক্তপাত বন্ধের পথ বের করতে এই শান্তি সম্মেলনেরঘোষণা দেন।এই শান্তি সম্মেলনের অনেক কিছুই এখনো ঠিক হয়নি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র প্যাট্রিক ভেন্ট্রেল বলেন, সম্মেলন কোথায়, কখন অনুষ্ঠিত হবে এবং কারা এতে যোগ দেবেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী মাসে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এই বৈঠক হতে পারে।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি গত মঙ্গলবার সিরীয় বিদ্রোহীদের সামরিক শাখা ফ্রি সিরিয়ান আর্মির (এফএসএ) জেনারেল সেলিম ইদ্রিসের সঙ্গে কথা বলেছেন। জেনারেল সেলিম তাঁকে জানিয়েছেন, আলোচনার প্রক্রিয়ার প্রতি তাঁরা অঙ্গীকারবদ্ধ।পুতিন-নেতানিয়াহু বৈঠক: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন। নেতানিয়াহু এ সময় প্রেসিডেন্ট বাশারকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে রাশিয়াকে সতর্ক করে দেন। দুই নেতার আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানা যায়নি। দুই নেতার আলোচনায় বাশারকে অস্ত্র সরবরাহের প্রসঙ্গটি ওঠার কথা নিশ্চিত করেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তিনি জানান, এ সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন অস্ত্র সরবরাহের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। দুই নেতার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয় বলে উল্লেখ করেন পেসকভ। সিরিয়ায় সংঘাতের শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট বাশারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে পুরোনো মিত্র রাশিয়া। সিরিয়ায় ২০১১ সালের মার্চে প্রেসিডেন্ট বাশারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। পরে তা সশস্ত্র বিদ্রোহে রূপ নেয়। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সংঘাতে গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অন্তত ৯৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। গত মার্চ পর্যন্ত দেশ ছেড়ে পালিয়েছে অন্তত ১২ লাখ মানুষ।
No comments