হেফাজতের দাবিগুলো বিবেচনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী by ইসমাইল হোসেন
শনিবার রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে
ইসলামের মহাসমাবেশ থেকে উত্থাপিত দাবিগুলো যথাযথভাবে বিবেচনা করা হবে
জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত জরুরি এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করায় হেফাজতে ইসলামকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে এ সময় ধন্যবাদ জানান তিনি।
তবে হেফাজতে ইসলামের হরতাল কর্মসূচির সমালোচনা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল অযৌক্তিক, অপ্রয়োজনীয় এবং বেআইনি।”
তিনি বলেন, “হেফাজতে ইসলাম শান্তিপূর্ণভাবে যে সমাবেশ সমাপ্ত করেছে সেজন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। তাদের দাবিগুলো সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে বিবেচনা করা হবে।”
একই সঙ্গে মন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠানের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “হেফাজতে ইসলামকে বিএনপি-জামায়াত ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা অরাজনৈতিকভাবে দাবিগুলো উত্থাপন করে নিরপেক্ষতা ও দৃঢ়তা প্রকাশ করেছে। তবে তাদের সজাগ থাকতে হবে যেন বিএনপি-জামায়াত তাদের ব্যবহার করতে না পারে।”
হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফা দাবিতে আগামী ৮ এপ্রিল সারাদেশে হরতাল ও আগামী মাসে ঢাকায় অবরোধ ডাকা প্রসঙ্গে মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে।”
মন্ত্রী হরতাল এবং অবরোধকে অযৌক্তিক, বেআইনি ও অপ্রয়োজনীয় উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
হেফাজতে ইসলামের মতিঝিলের সমাবেশে সরকার উৎখাতের দাবির ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, “স্পস্টভাবে বলতে চাই- যে সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত হয়, তাকে অগণতান্ত্রিক পন্থায় উৎখাত করার দাবি অযৌক্তিক।”
হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ ঠেকাতে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামসহ কয়েকটি সংগঠনের হরতাল ও গণজাগরণ মঞ্চের অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।
এরই মধ্যে রাজধানীর মহাখালীতে গণজাগরণ মঞ্চে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, “শাহরিয়ার কবির ও মুনতাসীর মামুনের ওপর জামায়াত-শিবির হামলা করেছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। তবে এ হামলার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নারী-পুরুষ এক সঙ্গে কাজ করতে পারবে না বলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ থেকে যে দাবি তোলা হয়েছে তার আধঘণ্টার মধ্যে একজন নারী সাংবাদিকসহ কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নারী-পুরুষের বৈষম্য চাই না।”
সাংবাদিকদের ওপর হামলায় মন্ত্রী নিন্দা ও দুঃখ প্রকাশ করে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
হেফাজতে ইসলামীর কর্মীদের ঢাকার পথে পথে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, “রেল-নৌ-বাস মালিকরা নাশকতার আশঙ্কায় বন্ধ করে দিয়েছে। এটা তাদের ব্যাপার। সরকারের কোনো বিষয় নয়।”
মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ হেফাজতে ইসলামের ডাকা লংমার্চ ও সমাবেশে খাবার বিতরণ এবং দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার ব্যাপারে জানতে চাইলে মহাজোট সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটা তাকেই প্রশ্ন করুন। যারা স্বৈরাচারী পন্থায় ক্ষমতায় আসে, তারাই এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সহায়তা করবে।”
এর আগে বিকেল ৩টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কক্ষে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক উপস্থিত ছিলেন।
তবে হেফাজতে ইসলামের হরতাল কর্মসূচির সমালোচনা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল অযৌক্তিক, অপ্রয়োজনীয় এবং বেআইনি।”
তিনি বলেন, “হেফাজতে ইসলাম শান্তিপূর্ণভাবে যে সমাবেশ সমাপ্ত করেছে সেজন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। তাদের দাবিগুলো সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে বিবেচনা করা হবে।”
একই সঙ্গে মন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠানের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “হেফাজতে ইসলামকে বিএনপি-জামায়াত ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা অরাজনৈতিকভাবে দাবিগুলো উত্থাপন করে নিরপেক্ষতা ও দৃঢ়তা প্রকাশ করেছে। তবে তাদের সজাগ থাকতে হবে যেন বিএনপি-জামায়াত তাদের ব্যবহার করতে না পারে।”
হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফা দাবিতে আগামী ৮ এপ্রিল সারাদেশে হরতাল ও আগামী মাসে ঢাকায় অবরোধ ডাকা প্রসঙ্গে মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে।”
মন্ত্রী হরতাল এবং অবরোধকে অযৌক্তিক, বেআইনি ও অপ্রয়োজনীয় উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
হেফাজতে ইসলামের মতিঝিলের সমাবেশে সরকার উৎখাতের দাবির ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, “স্পস্টভাবে বলতে চাই- যে সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত হয়, তাকে অগণতান্ত্রিক পন্থায় উৎখাত করার দাবি অযৌক্তিক।”
হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ ঠেকাতে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামসহ কয়েকটি সংগঠনের হরতাল ও গণজাগরণ মঞ্চের অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।
এরই মধ্যে রাজধানীর মহাখালীতে গণজাগরণ মঞ্চে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, “শাহরিয়ার কবির ও মুনতাসীর মামুনের ওপর জামায়াত-শিবির হামলা করেছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। তবে এ হামলার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নারী-পুরুষ এক সঙ্গে কাজ করতে পারবে না বলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ থেকে যে দাবি তোলা হয়েছে তার আধঘণ্টার মধ্যে একজন নারী সাংবাদিকসহ কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নারী-পুরুষের বৈষম্য চাই না।”
সাংবাদিকদের ওপর হামলায় মন্ত্রী নিন্দা ও দুঃখ প্রকাশ করে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
হেফাজতে ইসলামীর কর্মীদের ঢাকার পথে পথে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, “রেল-নৌ-বাস মালিকরা নাশকতার আশঙ্কায় বন্ধ করে দিয়েছে। এটা তাদের ব্যাপার। সরকারের কোনো বিষয় নয়।”
মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ হেফাজতে ইসলামের ডাকা লংমার্চ ও সমাবেশে খাবার বিতরণ এবং দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার ব্যাপারে জানতে চাইলে মহাজোট সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটা তাকেই প্রশ্ন করুন। যারা স্বৈরাচারী পন্থায় ক্ষমতায় আসে, তারাই এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সহায়তা করবে।”
এর আগে বিকেল ৩টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কক্ষে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক উপস্থিত ছিলেন।
No comments