গোপনে পার্নো
কী হল? চক্ষু একেবারে চড়কগাছ? না না,
একেবারেই ভুল পড়ছেন না। শেষমেশ গাঁটছড়া বাঁধা শেষ করলেন এই দুই তারকা।
তবে তাঁরা বিশেষ ঢাকঢোল পেটাননি। সেই টাকিতে গিয়ে একবারে চুপিসাড়ে
টলিউডের জনা কয়েক লোকের মাঝে ‘যদিদং হৃদয়ং তব’ আউড়ে ঝামেলা চুকিয়ে
ফেলেছেন দুজনে।
কী ভাবছেন; সেই কবে থেকে ডুবে ডুবে জল খেতে
খেতে হঠাৎ ভুস করে মাথা তুলেই মালাবদল সেরে নিয়ে কিছুদিন আগেই বড়সড়
ধাক্কা দিয়েছেন আমাদের কোয়েল মল্লিক-
এবার এই দুই তারা? মিডিয়ার পাতায় তো কোন ছার, চেনা-অচেনা কফিশপেও পরম-পার্নোকে ভুল করে কখনও একসঙ্গে দেখা যায়নি। ঘাপটি মেরে থাকতে থাকতে একেবারে বিয়েটাই সেরে ফেললেন শুনে ভাবছেন এ আবার কোন দেশি কায়দা? থাক থাক, নবদম্পতিকে আর মন্দ কথা বলবেন না। তাঁরা আর কীই বা করবেন বলুন, এমন নির্দেশ ছিল স্বয়ং পরিচালকের। পরিচালক? আজ্ঞে হ্যাঁ, কারণ পরম-পার্নো তাঁদের এই গোপন বিয়েটা সেরেছেন শুধুমাত্র রিল লাইফে। আর সে ছবির পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বিয়ের এমন দৃশ্য শ্যুট করলেন সুদূর টাকিতে প্রায় অজ্ঞাতেই। ছবির নাম ‘অপুর পাঁচালি।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ‘অপুর পাঁচালি’ নিয়ে দর্শকদের উৎসাহের কিন্তু শেষ নেই। অপু মানেই বাঙালির মনে অন্য এক রোম্যান্টিক বিলাস। যদিও সত্যজিৎ রায়ের অপুর সঙ্গে এ অপুর মিল পাবেন না বলেই জানিয়েছেন পরিচালক। তবু অপু তো বটেই আর তার বিয়ে নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা থাকবে- এমনটাই তো স্বাভাবিক। শনিবার টাকিতে তাই পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এবং দুই সহ অভিনেতা শোভা সেন ও ঋত্বিক চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে এই দুই নায়ক-নায়িকার বিয়ের দৃশ্য তোলা হল। যদিও বিয়ের পুরোহিত বেশ দুঃখ পেয়েছেন। কারণ শ্যুটিংয়ে বিয়ের সব নিয়ম মানলেও এই ছবির সুবীর (পরম) ও অসীমা (পার্নো) মোটেই মালাবদল বা সিঁদুর দানের রীতি মানেননি। পুরোহিতের এহেন আপত্তি নিয়ে মুখ খুলেছেন পরিচালক নিজে। হাসতে হাসতে জানাচ্ছেন, ‘আসলে শ্যুটিং বা ছবির স্বার্থে তো আর পুরো বিয়ের নিয়ম মেনে স্ক্রিপ্ট হবে না। আমি ছবির স্বার্থেই দৃশ্যটাকে আরও সুন্দর করার জন্য সিঁদুরদান, সম্প্রদান ইত্যাদি বাদ রেখেছিলাম। পুরোহিত বয়স্ক মানুষ। তিনি তো খেপে লাল। শেষে পরম ওঁর সঙ্গে কথা বলে ওঁকে বুঝিয়ে রাজি করায় শ্যুটে বসার জন্য’।
বলাই বাহুল্য, ছবির এত দূর কাজে বেশ সন্তুষ্টির ছোঁওয়া ধরা পড়ল পরিচালকের গলায়। ছবিতে পরম আর পার্নোর কেমিস্ট্রি যে মন কাড়বে দর্শকদের, এমনটাই মনে করেন তিনি। কারণ, পার্নোর সরল-সাধাসিধে চরিত্র আর পরমের দৃঢ় অথচ ঋজু চরিত্র বাঙালির ঘরের কথা বলে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে এ ছবির ইউএসপি অবশ্যই শোভা সেন। এত বছর পরে দর্শক পার্নোর (অসীমা) ঠাকুমা হিসেবে শোভা সেনকে পেয়ে কতটা উচ্ছ্বসিত হয় ছবি নিয়ে, তা মুক্তির পরেই বোঝা যাবে।
এবার এই দুই তারা? মিডিয়ার পাতায় তো কোন ছার, চেনা-অচেনা কফিশপেও পরম-পার্নোকে ভুল করে কখনও একসঙ্গে দেখা যায়নি। ঘাপটি মেরে থাকতে থাকতে একেবারে বিয়েটাই সেরে ফেললেন শুনে ভাবছেন এ আবার কোন দেশি কায়দা? থাক থাক, নবদম্পতিকে আর মন্দ কথা বলবেন না। তাঁরা আর কীই বা করবেন বলুন, এমন নির্দেশ ছিল স্বয়ং পরিচালকের। পরিচালক? আজ্ঞে হ্যাঁ, কারণ পরম-পার্নো তাঁদের এই গোপন বিয়েটা সেরেছেন শুধুমাত্র রিল লাইফে। আর সে ছবির পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বিয়ের এমন দৃশ্য শ্যুট করলেন সুদূর টাকিতে প্রায় অজ্ঞাতেই। ছবির নাম ‘অপুর পাঁচালি।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ‘অপুর পাঁচালি’ নিয়ে দর্শকদের উৎসাহের কিন্তু শেষ নেই। অপু মানেই বাঙালির মনে অন্য এক রোম্যান্টিক বিলাস। যদিও সত্যজিৎ রায়ের অপুর সঙ্গে এ অপুর মিল পাবেন না বলেই জানিয়েছেন পরিচালক। তবু অপু তো বটেই আর তার বিয়ে নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা থাকবে- এমনটাই তো স্বাভাবিক। শনিবার টাকিতে তাই পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এবং দুই সহ অভিনেতা শোভা সেন ও ঋত্বিক চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে এই দুই নায়ক-নায়িকার বিয়ের দৃশ্য তোলা হল। যদিও বিয়ের পুরোহিত বেশ দুঃখ পেয়েছেন। কারণ শ্যুটিংয়ে বিয়ের সব নিয়ম মানলেও এই ছবির সুবীর (পরম) ও অসীমা (পার্নো) মোটেই মালাবদল বা সিঁদুর দানের রীতি মানেননি। পুরোহিতের এহেন আপত্তি নিয়ে মুখ খুলেছেন পরিচালক নিজে। হাসতে হাসতে জানাচ্ছেন, ‘আসলে শ্যুটিং বা ছবির স্বার্থে তো আর পুরো বিয়ের নিয়ম মেনে স্ক্রিপ্ট হবে না। আমি ছবির স্বার্থেই দৃশ্যটাকে আরও সুন্দর করার জন্য সিঁদুরদান, সম্প্রদান ইত্যাদি বাদ রেখেছিলাম। পুরোহিত বয়স্ক মানুষ। তিনি তো খেপে লাল। শেষে পরম ওঁর সঙ্গে কথা বলে ওঁকে বুঝিয়ে রাজি করায় শ্যুটে বসার জন্য’।
বলাই বাহুল্য, ছবির এত দূর কাজে বেশ সন্তুষ্টির ছোঁওয়া ধরা পড়ল পরিচালকের গলায়। ছবিতে পরম আর পার্নোর কেমিস্ট্রি যে মন কাড়বে দর্শকদের, এমনটাই মনে করেন তিনি। কারণ, পার্নোর সরল-সাধাসিধে চরিত্র আর পরমের দৃঢ় অথচ ঋজু চরিত্র বাঙালির ঘরের কথা বলে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে এ ছবির ইউএসপি অবশ্যই শোভা সেন। এত বছর পরে দর্শক পার্নোর (অসীমা) ঠাকুমা হিসেবে শোভা সেনকে পেয়ে কতটা উচ্ছ্বসিত হয় ছবি নিয়ে, তা মুক্তির পরেই বোঝা যাবে।
No comments