প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক না গড়ায় আত্মহনন
স্কুলছাত্রী মীম নিহত হওয়ার ঘটনার প্রকৃত
রহস্য বেরিয়ে এসেছে। প্রতারক প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক না গড়ায়
আত্মহনন করতে হয় তাকে। মৃত্যুর আগে মোবাইলে এ ধরনের অশ্লীল মেসেজ তাকে
ঠেলে দেয় মৃত্যুর দিকে।
দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করতে
না পেরে প্রেমিক ফেসবুকে মীমের ছবির সঙ্গে নগ্ন ছবি জুড়ে দেয়। এই ঘটনাকে
কেন্দ্র করে প্রতিবাদী লোকজন নেমেছেন রাস্তায়। তাদের দাবি সন্ত্রাসী
প্রতারক আরিফুলের শাস্তি হোক। অব্যাহতভাবে চলছে মানববন্ধন, মিছিল ও
শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন। সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ায় হাজী মোহাম্মদ
আলীর মেয়ে মীম। বোনারপাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে চলতি বছর এসএসসি
পরীক্ষা দিচ্ছিল। স্কুলে যাতায়াতের সময় ওই এলাকার মাস্তান বখাটে আরিফুল
ইসলাম রাস্তায় ওত পেতে থাকে । প্রেম প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়। মীম এতে
রাজি না হওয়ায় মাস্তান প্রেমিকের আসল স্বভাব ফুটে ওঠে। সময়ে-অসময়ে সে
মীমদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসতো। কিন্তু মীমের পিতা একজন রাজনৈতিক
নেতা হওয়ার কারণে বিষয়টি অতটা গুরুত্ব সহকারে আমলে নেননি। একদিন শুধু
আরিফকে মীমের আত্মীয়- স্বজনরা বলেছিল, এসব ভাল না।
মীম তার কথা মুখেই আনতো না বলে জানায় এলাকাবাসী। কিন্তু আরিফ নাছোড়বান্দা। সে মীমের চলাচলের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বাধ্য হয়েই মীমের পিতা হাজী মোহাম্মদ আলী তাকে বারণ করেন। এতে আরিফ আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সে মীমের মোবাইল নম্বর যোগাড় করে। তাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে তাকে রাস্তায় আটকিয়ে প্রেম নিবেদন করে। দীর্ঘদিন এভাবে চলার পর আরিফ তাকে শায়েস্তা করতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোবাইলে বিভিন্ন রকম ছবি ধারণ করে। অন্য ছবির সঙ্গে মীমের অশ্লীল ছবি জুড়ে দেয়। তারপর ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।
দোকানে দোকানে এবং মোবাইলে মোবাইলে পাঠিয়ে দেয় নগ্ন ছবি। একে একে ছড়িয়ে পড়ে গ্রামেগঞ্জে, বাড়িতে বাড়িতে, স্কুল-কলেজে এবং মীমের স্বজনদের কাছে। তখন কৃতী ছাত্রী মীম এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। সে এসবের প্রতিবাদ করে। কিন্তু ততক্ষণে সর্বনাশ। এদিকে আর মাত্র দু’টি পরীক্ষা তার সামনে। কিন্তু পরীক্ষার দিকে নজর নেই তার। চিন্তায় চিন্তায় মীমসহ বাড়ির সবাই নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দেয়। ১লা মার্চ মীম তার ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে মেয়ের গোঙানি শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখেন মীম গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। পাশে পড়ে আছে তার মোবাইল। মোবাইলে মেসেজ। সন্ত্রাসী আরিফ তাকে মেসেজ দিয়ে অনৈতিক দাবি করে। কিন্তু তার এই অনৈতিক দাবি মানা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এরপর আবারও মেসেজে হুমকি দিয়ে লিখে বলে, আমার কথায় রাজি না হলে আমি সব ফাঁস করে দেবো। তোমার ছবি ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবো। এ কারণেই ক্ষোভ আর আরিফের হুমকিতে মীম ওইদিন আত্মহননের পথ বেছে নেয়। এর পরও অনেক কথা গোপন থেকে যায়। আস্তে আস্তে জট খুলতে শুরু করে। পরে অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার খবর তার বাবার কানে পৌঁছে যায়। তখন তিনি চিন্তা করেন আর তো ছেড়ে দেয়া যায় না। এই বখাটে মাস্তান আরিফের জন্য আমার মেয়েকে জীবন দিতে হলো। আর যাতে কোন নারীকে আরিফের মতো বখাটের নির্যাতনের শিকার হয়ে মরতে না হয়- এ জন্য তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মীমের লাশ তুলে পোস্টমর্টেম করা হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনার পর থেকে শোকার্ত বোনারপাড়া। বাবা-মা, ভাই-বোন, বিশাল বাড়িঘর, মীমের বইপত্র, আসবাব সব পড়ে আছে কিন্তু কারও মুখে কোন কথা নেই। সবাই নির্বাক। এই বয়সে মেয়েকে হারিয়ে কাঁদতে ভুলে গেছেন সবাই। শুধু বিক্ষোভ এখন মানুষের মনে। প্রতিবাদী মানুষ এর বিচার চায়। তারা চায় বখাটে আরিফকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হোক। গতকাল বোনারপাড়া স্কুলের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সন্ত্রাসী আরিফের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
এসব কথা মীম তার বাবার কাছে খুলে বলতেও সাহস পায়নি বলে জানান তার পিতা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হাজী মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, যদি আগে জানতাম তাহলে আমার মেয়েকে রক্ষা করতে সব কিছুই করতাম। কিন্তু ওরা আমাকে কেউ কিছু বলেনি। এ কারণে আজ আমি মেয়েকে হারালাম।
মীম তার কথা মুখেই আনতো না বলে জানায় এলাকাবাসী। কিন্তু আরিফ নাছোড়বান্দা। সে মীমের চলাচলের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বাধ্য হয়েই মীমের পিতা হাজী মোহাম্মদ আলী তাকে বারণ করেন। এতে আরিফ আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সে মীমের মোবাইল নম্বর যোগাড় করে। তাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে তাকে রাস্তায় আটকিয়ে প্রেম নিবেদন করে। দীর্ঘদিন এভাবে চলার পর আরিফ তাকে শায়েস্তা করতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোবাইলে বিভিন্ন রকম ছবি ধারণ করে। অন্য ছবির সঙ্গে মীমের অশ্লীল ছবি জুড়ে দেয়। তারপর ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।
দোকানে দোকানে এবং মোবাইলে মোবাইলে পাঠিয়ে দেয় নগ্ন ছবি। একে একে ছড়িয়ে পড়ে গ্রামেগঞ্জে, বাড়িতে বাড়িতে, স্কুল-কলেজে এবং মীমের স্বজনদের কাছে। তখন কৃতী ছাত্রী মীম এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। সে এসবের প্রতিবাদ করে। কিন্তু ততক্ষণে সর্বনাশ। এদিকে আর মাত্র দু’টি পরীক্ষা তার সামনে। কিন্তু পরীক্ষার দিকে নজর নেই তার। চিন্তায় চিন্তায় মীমসহ বাড়ির সবাই নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দেয়। ১লা মার্চ মীম তার ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে মেয়ের গোঙানি শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখেন মীম গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। পাশে পড়ে আছে তার মোবাইল। মোবাইলে মেসেজ। সন্ত্রাসী আরিফ তাকে মেসেজ দিয়ে অনৈতিক দাবি করে। কিন্তু তার এই অনৈতিক দাবি মানা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এরপর আবারও মেসেজে হুমকি দিয়ে লিখে বলে, আমার কথায় রাজি না হলে আমি সব ফাঁস করে দেবো। তোমার ছবি ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবো। এ কারণেই ক্ষোভ আর আরিফের হুমকিতে মীম ওইদিন আত্মহননের পথ বেছে নেয়। এর পরও অনেক কথা গোপন থেকে যায়। আস্তে আস্তে জট খুলতে শুরু করে। পরে অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার খবর তার বাবার কানে পৌঁছে যায়। তখন তিনি চিন্তা করেন আর তো ছেড়ে দেয়া যায় না। এই বখাটে মাস্তান আরিফের জন্য আমার মেয়েকে জীবন দিতে হলো। আর যাতে কোন নারীকে আরিফের মতো বখাটের নির্যাতনের শিকার হয়ে মরতে না হয়- এ জন্য তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মীমের লাশ তুলে পোস্টমর্টেম করা হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনার পর থেকে শোকার্ত বোনারপাড়া। বাবা-মা, ভাই-বোন, বিশাল বাড়িঘর, মীমের বইপত্র, আসবাব সব পড়ে আছে কিন্তু কারও মুখে কোন কথা নেই। সবাই নির্বাক। এই বয়সে মেয়েকে হারিয়ে কাঁদতে ভুলে গেছেন সবাই। শুধু বিক্ষোভ এখন মানুষের মনে। প্রতিবাদী মানুষ এর বিচার চায়। তারা চায় বখাটে আরিফকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হোক। গতকাল বোনারপাড়া স্কুলের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সন্ত্রাসী আরিফের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
এসব কথা মীম তার বাবার কাছে খুলে বলতেও সাহস পায়নি বলে জানান তার পিতা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হাজী মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, যদি আগে জানতাম তাহলে আমার মেয়েকে রক্ষা করতে সব কিছুই করতাম। কিন্তু ওরা আমাকে কেউ কিছু বলেনি। এ কারণে আজ আমি মেয়েকে হারালাম।
No comments