বোমা মেরে উপজেলা পরিষদ উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
বগুড়ার শেরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনুকে হত্যার হুমকি
দিয়েছে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন আদালত নামের একটি সংগঠন।
সেইসঙ্গে সংগঠনটি উপজেলা পরিষদ এবং মজিবর রহমানের সরকারি বাসভবন বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এছাড়া চিঠিতে ৬টি অভিযোগের ভিত্তিতে ৫টি আদেশ দিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার পর উড়ো এই চিঠি ও হুমকির বিষয়টি প্রকাশ করে থানা প্রশাসন। এর আগে তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেনি পুলিশ।
এদিকে, চেয়ারম্যান ছাড়াও উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস-চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), পিআইও অফিস, সমাজ সেবাসহ বিভিন্ন দপ্তরে সরকারি ডাকযোগে আসা উড়ো এই চিঠি প্রাপ্তির পর থেকে উপজেলা পরিষদের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, চিঠি প্রাপ্তির পর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজমী আর পারভীন শান্তনা ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় শেরপুর থানায় এ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর- ১১৪৩/তারিখ:২৫-০৩-২০১৩) করেন।
পাশাপাশি একইদিন থানা পুলিশের পক্ষ থেকে চিঠির বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরে রাতে শেরপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আতোয়ার রহমান পৃথক আরও একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর- ১১৪৯/ তারিখ-২৫-০৩-২০১৩) করেন।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহমুদুল আলম বাংলানিউজকে জানান, চিঠিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল নানারকম অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি চিঠিটি দেখেননি।
তিনি আরও জানান, বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে সকল দপ্তরে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিকেল ৫টার পর অফিস কার্যালয়ে না থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শেরপুর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজমী আর পারভীন শান্তনা চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্তিত করে বাংলানিউজকে জানান, চিঠির ভাষা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ও উদ্বেগজনক। যে কারণে বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে লিখিত ও মৌখিকভাবে অবগত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি জানার পর তিনি থানায় সাধারন ডায়েরি করতে বলেন নারী ভাইস চেয়ারম্যানকে। তিনি জানান, চিঠির ভাষা যাই হোক, বিষয়টি হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চিঠি হাতে পাওয়া উপজেলা পরিষদের কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, ইসলামী আইন বাস্তবায়ন আদালতের পক্ষে পাঠানো ওই চিঠিতে ৬টি অভিযোগ উত্থাপন করে ৫টি দণ্ডাদেশ জারি করা হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখিত আদেশে মৃত্যুদণ্ডসহ মোট পাঁচ ধরনের সাজার কথা বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৮মিনিটে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, চিঠিতে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত আক্রোশের বিষয়টি উঠে এসেছে। সেখানে শেরপুর পৌরসভার নারী কাউন্সিলরকে জড়িয়ে শেরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মজনুকে নিয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তাই চিঠির বিষয়টিকে জঙ্গি বা এ জাতীয় কোনো সংগঠনের নয় বলেই মনে হয়েছে তাদের কাছে।
তিনি আরও জানান, যেহেতু এ বিষয়ে থানায় দুইটি পৃথক সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। সেহেতু চেয়ারম্যান, ইউএনও এবং উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশের বিশেষ নজরে আছে।
সন্ধ্যা ৭টা ৪মিনিটে বগুড়ার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক পিপিএম বাংলানিউজকে জানান, চিঠির ভাষা দেখে মনে হয়েছে, ব্যক্তিগত কিছু কারণ ও আক্রোশ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এটা অন্যকোনো বিশেষ সংগঠনের কাজ নয় বলেই প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে। তথাপি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে চিঠি প্রেরককে খুজে বের করার চেষ্টা চলছে।
সন্ধ্যা ৭টায় সংশ্লিষ্ট বগুড়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আশরাফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত তিনি কিছু জানেন না।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার পর উড়ো এই চিঠি ও হুমকির বিষয়টি প্রকাশ করে থানা প্রশাসন। এর আগে তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেনি পুলিশ।
এদিকে, চেয়ারম্যান ছাড়াও উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস-চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), পিআইও অফিস, সমাজ সেবাসহ বিভিন্ন দপ্তরে সরকারি ডাকযোগে আসা উড়ো এই চিঠি প্রাপ্তির পর থেকে উপজেলা পরিষদের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, চিঠি প্রাপ্তির পর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজমী আর পারভীন শান্তনা ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় শেরপুর থানায় এ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর- ১১৪৩/তারিখ:২৫-০৩-২০১৩) করেন।
পাশাপাশি একইদিন থানা পুলিশের পক্ষ থেকে চিঠির বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরে রাতে শেরপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আতোয়ার রহমান পৃথক আরও একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর- ১১৪৯/ তারিখ-২৫-০৩-২০১৩) করেন।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহমুদুল আলম বাংলানিউজকে জানান, চিঠিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল নানারকম অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি চিঠিটি দেখেননি।
তিনি আরও জানান, বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে সকল দপ্তরে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিকেল ৫টার পর অফিস কার্যালয়ে না থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শেরপুর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজমী আর পারভীন শান্তনা চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্তিত করে বাংলানিউজকে জানান, চিঠির ভাষা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ও উদ্বেগজনক। যে কারণে বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে লিখিত ও মৌখিকভাবে অবগত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি জানার পর তিনি থানায় সাধারন ডায়েরি করতে বলেন নারী ভাইস চেয়ারম্যানকে। তিনি জানান, চিঠির ভাষা যাই হোক, বিষয়টি হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চিঠি হাতে পাওয়া উপজেলা পরিষদের কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, ইসলামী আইন বাস্তবায়ন আদালতের পক্ষে পাঠানো ওই চিঠিতে ৬টি অভিযোগ উত্থাপন করে ৫টি দণ্ডাদেশ জারি করা হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখিত আদেশে মৃত্যুদণ্ডসহ মোট পাঁচ ধরনের সাজার কথা বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৮মিনিটে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, চিঠিতে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত আক্রোশের বিষয়টি উঠে এসেছে। সেখানে শেরপুর পৌরসভার নারী কাউন্সিলরকে জড়িয়ে শেরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মজনুকে নিয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তাই চিঠির বিষয়টিকে জঙ্গি বা এ জাতীয় কোনো সংগঠনের নয় বলেই মনে হয়েছে তাদের কাছে।
তিনি আরও জানান, যেহেতু এ বিষয়ে থানায় দুইটি পৃথক সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। সেহেতু চেয়ারম্যান, ইউএনও এবং উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশের বিশেষ নজরে আছে।
সন্ধ্যা ৭টা ৪মিনিটে বগুড়ার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক পিপিএম বাংলানিউজকে জানান, চিঠির ভাষা দেখে মনে হয়েছে, ব্যক্তিগত কিছু কারণ ও আক্রোশ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এটা অন্যকোনো বিশেষ সংগঠনের কাজ নয় বলেই প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে। তথাপি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে চিঠি প্রেরককে খুজে বের করার চেষ্টা চলছে।
সন্ধ্যা ৭টায় সংশ্লিষ্ট বগুড়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আশরাফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত তিনি কিছু জানেন না।
No comments