বিশ্বজিতের শরীরে ২৩ আঘাতের চিহ্ন by নূরুজ্জামান
বিশ্বজিতের শরীরে ৪ ধরনের ২৩ আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশের ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে বিশ্বজিতের চিহ্নিত হামলাকারী চাপাতি শাকিলকে ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, শনিবার হাসপাতালের পক্ষ থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বিশ্বজিতের লাশের ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট বিশ্লেষণ করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এতে বিশ্বজিতের ক্ষতবিক্ষত দেহে চার ধরনের অস্ত্রের আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। ডান হাতের বাহুর পেছনের দিকে ধারালো অস্ত্রের ৬-৭টি আঘাত রয়েছে। মাংস ভেদ করে হাড়ের বেশির ভাগ অংশ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে- শাকিলের হাতে থাকা চাপাতির উপর্যুপরি কোপের কারণেই গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
এছাড়া পিঠে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ধরা পড়েছে। এর বাইরে বিশ্বজিতের কোমর, পিঠ, পা ও মাথায় ছোট-বড় আরও ১০-১২টি ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। দু’হাতের একাধিক আঙুলে কাটা দাগ ছিল। ময়না তদন্তকারী মিটফোর্ড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাকসুদুর রহমান বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সৃষ্ট বিভিন্ন ক্ষতস্থান থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই বিশ্বজিৎ দাসের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকায় ক্ষতের ধরন নিয়ে কথা বলা যাচ্ছে না। যা বলার রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রাপুর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, বিশ্বজিতের শরীরে চার ধরনের আঘাত পাওয়া গেছে। কিল-ঘুষি, রড ও লাঠির আঘাত ছাড়াও ছুরিকাঘাত ও চাপাতির কোপের আলামত পাওয়া গেছে। চাপাতির কোপে বিভিন্ন জায়গার মাংস থেঁতলে ও হাড় ভেঙে গেছে। বিশেষ করে ছুরির আঘাতে শরীরের কিডনি ও রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া লাশের শরীরে চিকন রড ঢুকিয়ে দেয়ার কারণে বিশ্বজিতের মৃত্যু ত্বরান্বিত হয়েছে। ক্ষতবিক্ষত ওই দেহ নিয়েই শেষ পর্যন্ত বিশ্বজিৎ দৌড়ে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু হামলাকারীরা তার রক্তাক্ত দেহের ওপর কিল-ঘুষি মারতে থাকে। রড ও লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে বিশ্বজিৎ তার দোকানের গলিতে ঢুকে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে যান। ওইসময় তিনি পানির জন্য আর্তনাদ করলে কে বা কারা পানি পান করান।
ছুরিকাঘাতকারী কে খুঁজছে পুলিশ: গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও চিত্রে ছুরিকাঘাতকারী এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে তদন্তকারী গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা। ভিডিও চিত্রে তার ছুরি মারার দৃশ্য ধরা পড়েছে। সূত্র জানায়, সবাই যখন হামলার জন্য দৌড়ে বিশ্বজিতের দিকে ধেয়ে যাচ্ছিল, তার আগেই রুমাল দিয়ে মুখ ঢাকা ওই অজ্ঞাত যুবক বিশ্বজিতের পিঠে ছুরি মেরে ভিড়ের মধ্যে মিশে যায়।
ছুরিকাঘাতকারী কে খুঁজছে পুলিশ: গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও চিত্রে ছুরিকাঘাতকারী এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে তদন্তকারী গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা। ভিডিও চিত্রে তার ছুরি মারার দৃশ্য ধরা পড়েছে। সূত্র জানায়, সবাই যখন হামলার জন্য দৌড়ে বিশ্বজিতের দিকে ধেয়ে যাচ্ছিল, তার আগেই রুমাল দিয়ে মুখ ঢাকা ওই অজ্ঞাত যুবক বিশ্বজিতের পিঠে ছুরি মেরে ভিড়ের মধ্যে মিশে যায়।
No comments