বাবা বলে কথা!
নাম শামিম কবির। তিনি দেশের জনপ্রিয় মডেল ও আভিনেত্রী আনিকা কবির শখের বাবা। মেয়ের সবকিছু দেখাশুনা করাই তাঁর একমাত্র কাজ। এমনকি মেয়ের মোবাইল ফোনটিও রিসিভ করেন তিনি। কোনো সাংবাদিক জনপ্রিয় মডেল ও আভিনেত্রী শখের সাক্ষাতকার নিতে চাইলে শখের বাবা শামিম কবির মেয়ের হয়ে সাক্ষাতকার দেয়ার আবদার করেন।
যদি কোনো সাংবাদিক শখের বাবার সাক্ষাতকার না নিয়ে শখের সাক্ষাতকার নিতে চান তাহলে ওই সাংবাদিকের সাক্ষাতকার আর নেয়া হয় না।
সাংবাদিকরা যেমন শখের বাবার এমন বিড়ম্বনার শিকার হন, তেমনি শখকে নিয়ে কাজ করতে চাওয়া যে কোন প্রোডাকশন হাউস বা প্রতিষ্ঠান এবং প্রযোজক বা পরিচালকরাও আরো বেশি বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। মিডিয়া পাড়ায় শখের বাবার দৌরাত্ম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, কিছুদিন আগে ফ্যাশন হাউস তাদের পোশাকের মডেল হিসেবে শখকে নির্বাচিত করে। চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনে ফটোশুটে শখ আসলেও চুক্তি অনুযায়ী কম কাজ করে চলে যাওয়া এবং চুক্তির পরেও টাকা চাওয়া নিয়ে শখের বাবার সাথে ওই প্রতিষ্ঠানের ঝগড়া বাঁধে।
শুধু এ প্রতিষ্ঠান নয় এরকম আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে এ ধরণের অন্যায় আচরন করেছেন শখের বাবা শামিম কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
শখও বাবার অনুমতি ছাড়া কোন কাজ করেন না। তাছাড়া বাবা এমন উগ্র আচরন করলেও কিছু বলতে সাহস পান না কিংবা ইচ্ছা করে কিছু বলেন না।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন নাটক-টেলিফ্লিম এবং সিনেমার শুটিংয়ে শখের বাবার নানা ধরনের আবদার রক্ষা করতে নানা ধরণের হয়রানির শিকার হন প্রযোজক-পরিচালকরা।
আবার মেয়েকে বিজ্ঞাপনে মডেল করার জন্য উপর মহলে যোগাযোগ রক্ষা করেন তিনি নিজেই। যা নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে মিডিয়া পাড়ায়।
সূত্র জানিয়েছে, গত বছর একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন শখ। বিনিময়ে ১০ লাখ টাকা এবং বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পান বাবাসহ। ওই কোম্পানিতে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা সংবাদ২৪.নেট’কে জানান, অফিসের বড় কর্তাকে বিশেষভাবে ম্যানেজ করেই মডেল হয়েছেন শখ। আর এ পুরো কাজটি মেয়ের হয়ে তদারকি করেছেন শখের বাবা।
‘বলো না তুমি আমার’ সিনেমায় নায়ক শাকিব খানকে খুশি করে শখ নায়িকা হন।
‘বলো না তুমি আমার’ এর সিনেমার সাথে সংশ্লিষ্ট একজন সংবাদ২৪.নেট’কে জানিয়েছেন, শুটিংয়ের বাইরে শাকিব খান এবং শখ আলাদা অন্তরঙ্গ সময় কাটাতেন। এসময় শখের বাবা মেয়ের আশেপাশেই থাকতেন।
তারপরও, গতবছর অর্থাৎ ২০১১ সালে শখের একটি অশ্লীল ভিডিও বের হয়। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। নিউজ হয় বিভিন্ন মিডিয়ায়।
নিউজ হওয়ার পর শখের বাবা সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার সম্পাদকের কাছে গিয়ে প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে নালিশ করেন।
সে সময় শখের বাবা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘এটা শখ না কারণ আমি নিজে দেখেছি ভিডিও টা! আমি তো আমার মেয়েকে চিনি।’ সত্যি বাবা বটে!
এই না হলে তারকার বাবা?
No comments