বিদ্রোহীরা কি পারবে লিবিয়ার হাল ধরতে?
ত্রিপোলিবাসী জেগে উঠেছে। পতনের দ্বারপ্রান্তে লিবিয়ার লৌহমানব মুয়াম্মার গাদ্দাফির শাসন। তাঁর শাসন আর টিকছে না, সেটা পরিষ্কার। তবে বড় শঙ্কা গাদ্দাফি-পরবর্তী নেতৃত্ব নিয়ে।
সবকিছু ছাপিয়ে এখন একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। সেটি হচ্ছে, গাদ্দাফির পর যে নেতৃত্বশূন্যতা দেখা দেবে, তা কি পূরণ করতে পারবে বিদ্রোহীরা? তারা কি পারবে লিবিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে?
বিদ্রোহীদের ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এনটিসি) নিজেরাই ছিন্নভিন্ন। তাদের নেই কোনো একক নেতৃত্ব। গত ২৮ জুলাই বিদ্রোহীদের সামরিক কমান্ডার আবদেল ফাত্তাহ ইউনুস হত্যাকাণ্ড সেই সংকেতই দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, সম্মুখযুদ্ধে জিতলেও সরকার ও দেশ গঠনের যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে তো বিদ্রোহীরা?
গত দুই দিনে ঘটনার আকস্মিকতায় পুরো পরিস্থিতিই পাল্টে গেছে। রাজধানী ত্রিপোলির রাস্তায় গাদ্দাফি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে বিদ্রোহীরা। অধিকাংশ এলাকা এখন বিদ্রোহীদের দখলে। গাদ্দাফির পতন এখন সময়ের ব্যাপার।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, গাদ্দাফির সরকার পতনের পর বিদ্রোহীদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে দ্রুত নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ। সে ক্ষেত্রে বড় সমস্যা আরব জাতীয়তাবাদী, ইসলামপন্থী, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী, সমাজতন্ত্রপন্থী ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে বেনগাজি শহরভিত্তিক গড়ে ওঠা সরকারবিরোধী আন্দোলন। এ ছাড়া বিদ্রোহীদের সশস্ত্র গ্রুপে যেমন রয়েছেন সাবেক সেনা ও বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপের যোদ্ধারা, তেমনি রয়েছেন গাদ্দাফির হাতে ১৯৯০ সালে নির্মূল হওয়া ইসলামী গেরিলা যোদ্ধারা। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনে বিপাকে পড়তে পারে বিদ্রোহীরা।
লিবিয়ার অর্থনীতি, যোগাযোগব্যবস্থাসহ সরকারি সেবা খাতের অবস্থাও খারাপ। আর ভারী অস্ত্রে সজ্জিত যোদ্ধারা নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেন। সব মিলিয়ে সামনে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে গাদ্দাফিবিরোধীদের।
এ ছাড়া শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ও বিভক্ত এনটিসি তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। তা ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধরত ছোট ছোট বিদ্রোহী গ্রুপও এনটিসির সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে।
লিবিয়ায় সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত অলিভার মিলস জানান, লিবিয়ায় যাতে আরেকটি ইরাকের জন্ম না নেয় এবং মসৃণভাবে ক্ষমতার পালাবদল হয়, সে ব্যাপারে তাঁরা সতর্ক। তবে সেটা খুব দুরূহ হবে।
প্রয়োজন বলিষ্ঠ নেতৃত্বের: বিশ্লেষকদের মতে, একমাত্র বলিষ্ঠ নেতৃত্বের উত্থানই পারে লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের বিজয় ত্বরান্বিত করতে, তাদের মধ্যে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলতে এবং ক্ষমতার পালাবদলের পথ মসৃণ করতে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আলজেরীয় আইনজীবী লিবিয়ার সরকারের একসময়ের উপদেষ্টা সাদ জেব্বারের মতে, লিবিয়ার সাধারণ জনগণ ও সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্য কাউকে গাদ্দাফি-পরবর্তী লিবিয়ার হাল ধরতে হবে। নতুন নেতৃত্বের কাজ হবে দ্রুত লিবীয়বাসীকে একই ছায়াতলে আনা।
সবকিছু ছাপিয়ে এখন একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। সেটি হচ্ছে, গাদ্দাফির পর যে নেতৃত্বশূন্যতা দেখা দেবে, তা কি পূরণ করতে পারবে বিদ্রোহীরা? তারা কি পারবে লিবিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে?
বিদ্রোহীদের ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এনটিসি) নিজেরাই ছিন্নভিন্ন। তাদের নেই কোনো একক নেতৃত্ব। গত ২৮ জুলাই বিদ্রোহীদের সামরিক কমান্ডার আবদেল ফাত্তাহ ইউনুস হত্যাকাণ্ড সেই সংকেতই দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, সম্মুখযুদ্ধে জিতলেও সরকার ও দেশ গঠনের যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে তো বিদ্রোহীরা?
গত দুই দিনে ঘটনার আকস্মিকতায় পুরো পরিস্থিতিই পাল্টে গেছে। রাজধানী ত্রিপোলির রাস্তায় গাদ্দাফি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে বিদ্রোহীরা। অধিকাংশ এলাকা এখন বিদ্রোহীদের দখলে। গাদ্দাফির পতন এখন সময়ের ব্যাপার।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, গাদ্দাফির সরকার পতনের পর বিদ্রোহীদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে দ্রুত নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ। সে ক্ষেত্রে বড় সমস্যা আরব জাতীয়তাবাদী, ইসলামপন্থী, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী, সমাজতন্ত্রপন্থী ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে বেনগাজি শহরভিত্তিক গড়ে ওঠা সরকারবিরোধী আন্দোলন। এ ছাড়া বিদ্রোহীদের সশস্ত্র গ্রুপে যেমন রয়েছেন সাবেক সেনা ও বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপের যোদ্ধারা, তেমনি রয়েছেন গাদ্দাফির হাতে ১৯৯০ সালে নির্মূল হওয়া ইসলামী গেরিলা যোদ্ধারা। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনে বিপাকে পড়তে পারে বিদ্রোহীরা।
লিবিয়ার অর্থনীতি, যোগাযোগব্যবস্থাসহ সরকারি সেবা খাতের অবস্থাও খারাপ। আর ভারী অস্ত্রে সজ্জিত যোদ্ধারা নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেন। সব মিলিয়ে সামনে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে গাদ্দাফিবিরোধীদের।
এ ছাড়া শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ও বিভক্ত এনটিসি তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। তা ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধরত ছোট ছোট বিদ্রোহী গ্রুপও এনটিসির সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে।
লিবিয়ায় সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত অলিভার মিলস জানান, লিবিয়ায় যাতে আরেকটি ইরাকের জন্ম না নেয় এবং মসৃণভাবে ক্ষমতার পালাবদল হয়, সে ব্যাপারে তাঁরা সতর্ক। তবে সেটা খুব দুরূহ হবে।
প্রয়োজন বলিষ্ঠ নেতৃত্বের: বিশ্লেষকদের মতে, একমাত্র বলিষ্ঠ নেতৃত্বের উত্থানই পারে লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের বিজয় ত্বরান্বিত করতে, তাদের মধ্যে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলতে এবং ক্ষমতার পালাবদলের পথ মসৃণ করতে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আলজেরীয় আইনজীবী লিবিয়ার সরকারের একসময়ের উপদেষ্টা সাদ জেব্বারের মতে, লিবিয়ার সাধারণ জনগণ ও সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্য কাউকে গাদ্দাফি-পরবর্তী লিবিয়ার হাল ধরতে হবে। নতুন নেতৃত্বের কাজ হবে দ্রুত লিবীয়বাসীকে একই ছায়াতলে আনা।
No comments