সাংসদের ‘গাড়িবহর’ ও অস্ত্র উদ্ধার -নির্বাচনের ‘কাজে’ এই শক্তির ব্যবহার আর কত দিন!
কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য অস্ত্র ও অর্থের কী প্রয়োজন হয়, তা কারও অজানা নয়। আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য সরকারি দলের সাংসদ যে ‘গাড়িবহর’ নিয়ে বেনাপোল যাচ্ছিলেন, সেই বহরের একটি গাড়িতে নির্বাচনী পোস্টারের পাশাপাশি পাওয়া গেছে বিদেশি পিস্তল, শাটারগান, গুলি ও ম্যাগাজিন এবং এক লাখ ৭০ হাজার টাকা। যে গাড়িতে এসবের সন্ধান মিলেছে, সেটি শার্শা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেনের। সরকারদলীয় সাংসদ শেখ আফিল উদ্দীন কাদের নিয়ে দলের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে ‘কাজ’ করতে যাচ্ছেন, তা অজানা থাকার কথা নয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই কাজটি করার জন্য অস্ত্র, অর্থ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের তিনি ত্রাতা মেনেছেন কি না?
সরকারি দলের সাংসদ তাঁর গাড়িবহর থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের বিষয়টি মানেননি। তিনি বলেছেন, ‘আমি তাদের (যুবলীগের আটক নেত-কর্মী) দেখিনি। তারা আমার সঙ্গে ছিল না। আমার কোনো বহর-টহরও ছিল না।’ তবে অস্ত্র, গুলি ও অর্থ উদ্ধারে অভিযান পরিচালনাকারী র্যাব-৬-এর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সাংসদ শেখ আফিল উদ্দীনের গাড়িবহরে সাত-আটটি গাড়ি ছিল, আর শেষের গাড়িটি ছিল সোহরাব হোসেনের।’
তদন্ত ছাড়া এই ‘গাড়িবহর’ বিতর্কের সুরাহা করা কঠিন। তবে সাধারণভাবে আমরা দেখে আসছি যে সাংসদেরা যখন কোথাও যান, তখন তাঁদের সঙ্গী হন স্থানীয় দলীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, সাংসদও বেনাপোল গেছেন, আর তাঁর পেছনে যুবলীগের নেতার গাড়িও ছিল। এই গাড়িটি তাঁর গাড়িবহরে ছিল না—এই বক্তব্য দিয়ে সাংসদ দায় এড়াতে চাইবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যাঁর গাড়ি থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে, তিনি যুবলীগের নেতা এবং সাংসদ যে কাজে বেনাপোল গিয়েছিলেন, যুবলীগের এই নেতাও একই কাজে বেনাপোল যাচ্ছিলেন। নিজ দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা অস্ত্রসহ আটক হয়েছেন—এই দায়টি তিনি এড়াবেন কীভাবে?
অস্ত্র ও অর্থের জোরে নির্বাচন করা এবং নির্বাচনে জিতে আসার ঘটনা এ দেশে কম ঘটেনি। তবে সে অবস্থান থেকে দেশ যে অনেকটা সরে এসেছে, তা হয়তো অনেকে এখনো মেনে নেননি। মনে করেন, নির্বাচনে ‘কাজ’ করা মানেই অস্ত্র ও অর্থের ব্যবহার। যুবলীগের নেতার গাড়ি থেকে অস্ত্র ও অর্থ উদ্ধারের ঘটনা এই মনোভাবেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আশার কথা, এবারের নির্বাচনে অস্ত্রের ব্যবহারের ঘটনা এখনো আমাদের চোখে পড়েনি। বেনাপোলের পৌর নির্বাচনে অস্ত্র ও অর্থের শক্তি ব্যবহারের যে আশঙ্কা ছিল, যুবলীগের পাঁচ নেতা-কর্মী আটক হওয়ায় তা দূর করবে, সে আশা আমরা করতে পারি।
সরকারি দলের সাংসদ তাঁর গাড়িবহর থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের বিষয়টি মানেননি। তিনি বলেছেন, ‘আমি তাদের (যুবলীগের আটক নেত-কর্মী) দেখিনি। তারা আমার সঙ্গে ছিল না। আমার কোনো বহর-টহরও ছিল না।’ তবে অস্ত্র, গুলি ও অর্থ উদ্ধারে অভিযান পরিচালনাকারী র্যাব-৬-এর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সাংসদ শেখ আফিল উদ্দীনের গাড়িবহরে সাত-আটটি গাড়ি ছিল, আর শেষের গাড়িটি ছিল সোহরাব হোসেনের।’
তদন্ত ছাড়া এই ‘গাড়িবহর’ বিতর্কের সুরাহা করা কঠিন। তবে সাধারণভাবে আমরা দেখে আসছি যে সাংসদেরা যখন কোথাও যান, তখন তাঁদের সঙ্গী হন স্থানীয় দলীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, সাংসদও বেনাপোল গেছেন, আর তাঁর পেছনে যুবলীগের নেতার গাড়িও ছিল। এই গাড়িটি তাঁর গাড়িবহরে ছিল না—এই বক্তব্য দিয়ে সাংসদ দায় এড়াতে চাইবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যাঁর গাড়ি থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে, তিনি যুবলীগের নেতা এবং সাংসদ যে কাজে বেনাপোল গিয়েছিলেন, যুবলীগের এই নেতাও একই কাজে বেনাপোল যাচ্ছিলেন। নিজ দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা অস্ত্রসহ আটক হয়েছেন—এই দায়টি তিনি এড়াবেন কীভাবে?
অস্ত্র ও অর্থের জোরে নির্বাচন করা এবং নির্বাচনে জিতে আসার ঘটনা এ দেশে কম ঘটেনি। তবে সে অবস্থান থেকে দেশ যে অনেকটা সরে এসেছে, তা হয়তো অনেকে এখনো মেনে নেননি। মনে করেন, নির্বাচনে ‘কাজ’ করা মানেই অস্ত্র ও অর্থের ব্যবহার। যুবলীগের নেতার গাড়ি থেকে অস্ত্র ও অর্থ উদ্ধারের ঘটনা এই মনোভাবেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আশার কথা, এবারের নির্বাচনে অস্ত্রের ব্যবহারের ঘটনা এখনো আমাদের চোখে পড়েনি। বেনাপোলের পৌর নির্বাচনে অস্ত্র ও অর্থের শক্তি ব্যবহারের যে আশঙ্কা ছিল, যুবলীগের পাঁচ নেতা-কর্মী আটক হওয়ায় তা দূর করবে, সে আশা আমরা করতে পারি।
No comments