নিশ্চিন্তপুর স্কুলের ‘বঙ্গবন্ধু’ জয়
সিলেটের হরিপুর থেকে এসেছেন স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কুতুবউদ্দিন। রাজনৈতিক কর্মী শাহেদ, বেলালরা জৈন্তাপুর থেকে। ট্রেন এবং ৩০টি গাড়ি বোঝাই করে সিলেট থেকে আসা হাজার পাঁচেক দর্শক বসল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের এক পাশের গ্যালারিতে। ভিআইপিতে সিলেটের মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। তাদের সবার চোখ দেশব্যাপী সাড়া ফেলা ৫৬ হাজার প্রাথমিক স্কুল নিয়ে আয়োজিত প্রথম বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনালে। কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালের আবহজুড়ে ছিল যেন এক টুকরো সিলেট!
এত দূর থেকে আসা এসব দর্শককে নিরাশ করেনি জৈন্তাপুরের নিশ্চিন্তপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছেলেরা। ফাইনালে তাদের কাছে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারল নারায়ণগঞ্জের ইসদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের প্রথম চ্যাম্পিয়ন ভারত সীমান্তের কাছে সিলেটের অজপাড়াগাঁয়ের অখ্যাত স্কুল নিশ্চিন্তপুর।
গত অক্টোবরে শুরু হয়েছিল টুর্নামেন্টটি। সারা দেশে বাছাই শেষে সেরা দুটি দল খেলেছে ফাইনালে। কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়া বইছিল মাঠে, কিন্তু খুদে ফুটবলারদের উৎসাহ কমাতে পারেনি। ৫০ মিনিটের ম্যাচ, প্রথমার্ধ গোলহীন। ৩৫ মিনিটে এমদাদুলের গোলে এগিয়ে যায় নিশ্চিন্তপুর। শেষ মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে ১-১ করে ফেলে এই টুর্নামেন্টে ৩৪ গোল করে চোখ কাড়া পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মোহাম্মদ সেলিম। অতিরিক্ত ১০ মিনিটে গোল হয়নি। টাইব্রেকারে শেষ হাসি নিশ্চিন্তপুরেরই।
খেলা শেষে এক পক্ষ আনন্দ করল, আরেক পক্ষ হতাশায় ডুবল। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েও ‘খুদে গোলমেশিন’ সেলিম ভেঙে পড়ল কান্নায়। পেনাল্টি মিসের দুঃখ কিছুতেই সে ভুলতে পারছিল না, ‘খুব খারাপ লাগছে। এভাবে পেনাল্টি মিস করব ভাবিনি।’ নারায়ণগঞ্জের কাঠমিস্ত্রির ছেলে সেলিমের মধ্যে ভবিষ্যতে বড় ফুটবলার হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে। তবে এসব কিছু নয়, হেরে যাওয়ার পর রানার্সআপ দলের কোচ খলিলুর রহমান (দোলন) অভিযোগ করলেন, ‘ওরা বেশি বয়সী খেলোয়াড় খেলিয়েছে!’
টুর্নামেন্টের ‘গোল্ডেন বুট’ পেয়েছে নিশ্চিন্তপুরের রুবেল। চূড়ান্ত পর্বে রুবেল ও সেলিমের গোল সমান হওয়ায় লটারিতে পুরস্কারটা পেয়েছে রুবেল। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছে জয়ী দলের অধিনায়ক এমদাদ।
ছাত্রদের এমন আনন্দের দিনে চ্যাম্পিয়ন নিশ্চিন্তপুরের প্রধান শিক্ষক নূর উদ্দিনের আনন্দও যেন কম ছিল না, ‘ছেলেরা জাম্বুরা দিয়ে বল বানিয়ে খেলত। এই টুর্নামেন্টের কথা শুনে আমরা ওদের বল কিনে দিই। এখন মনে হচ্ছে পরিশ্রম সার্থক।’
প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান খেলা দেখেছেন। তাঁর হাত থেকে চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক এমদাদ সোনালি ট্রফিটা নিয়েছে। শীতার্ত সন্ধ্যায় তখন হাজারো সিলেটবাসীর উল্লাসধ্বনি।
এত দূর থেকে আসা এসব দর্শককে নিরাশ করেনি জৈন্তাপুরের নিশ্চিন্তপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছেলেরা। ফাইনালে তাদের কাছে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারল নারায়ণগঞ্জের ইসদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের প্রথম চ্যাম্পিয়ন ভারত সীমান্তের কাছে সিলেটের অজপাড়াগাঁয়ের অখ্যাত স্কুল নিশ্চিন্তপুর।
গত অক্টোবরে শুরু হয়েছিল টুর্নামেন্টটি। সারা দেশে বাছাই শেষে সেরা দুটি দল খেলেছে ফাইনালে। কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়া বইছিল মাঠে, কিন্তু খুদে ফুটবলারদের উৎসাহ কমাতে পারেনি। ৫০ মিনিটের ম্যাচ, প্রথমার্ধ গোলহীন। ৩৫ মিনিটে এমদাদুলের গোলে এগিয়ে যায় নিশ্চিন্তপুর। শেষ মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে ১-১ করে ফেলে এই টুর্নামেন্টে ৩৪ গোল করে চোখ কাড়া পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মোহাম্মদ সেলিম। অতিরিক্ত ১০ মিনিটে গোল হয়নি। টাইব্রেকারে শেষ হাসি নিশ্চিন্তপুরেরই।
খেলা শেষে এক পক্ষ আনন্দ করল, আরেক পক্ষ হতাশায় ডুবল। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েও ‘খুদে গোলমেশিন’ সেলিম ভেঙে পড়ল কান্নায়। পেনাল্টি মিসের দুঃখ কিছুতেই সে ভুলতে পারছিল না, ‘খুব খারাপ লাগছে। এভাবে পেনাল্টি মিস করব ভাবিনি।’ নারায়ণগঞ্জের কাঠমিস্ত্রির ছেলে সেলিমের মধ্যে ভবিষ্যতে বড় ফুটবলার হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে। তবে এসব কিছু নয়, হেরে যাওয়ার পর রানার্সআপ দলের কোচ খলিলুর রহমান (দোলন) অভিযোগ করলেন, ‘ওরা বেশি বয়সী খেলোয়াড় খেলিয়েছে!’
টুর্নামেন্টের ‘গোল্ডেন বুট’ পেয়েছে নিশ্চিন্তপুরের রুবেল। চূড়ান্ত পর্বে রুবেল ও সেলিমের গোল সমান হওয়ায় লটারিতে পুরস্কারটা পেয়েছে রুবেল। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছে জয়ী দলের অধিনায়ক এমদাদ।
ছাত্রদের এমন আনন্দের দিনে চ্যাম্পিয়ন নিশ্চিন্তপুরের প্রধান শিক্ষক নূর উদ্দিনের আনন্দও যেন কম ছিল না, ‘ছেলেরা জাম্বুরা দিয়ে বল বানিয়ে খেলত। এই টুর্নামেন্টের কথা শুনে আমরা ওদের বল কিনে দিই। এখন মনে হচ্ছে পরিশ্রম সার্থক।’
প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান খেলা দেখেছেন। তাঁর হাত থেকে চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক এমদাদ সোনালি ট্রফিটা নিয়েছে। শীতার্ত সন্ধ্যায় তখন হাজারো সিলেটবাসীর উল্লাসধ্বনি।
No comments