ব্রিসবেন যেন ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা’
ভয়াবহ বন্যায় অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের প্রধান শহর ব্রিসবেন ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায়’ পরিণত হয়েছে। কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী আন্ন ব্লিঘ নিজেই এ কথা বলেছেন। সেখানে বন্যার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এদিকে ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায় বন্যার ভয়াবহতা বেড়েছে। ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ৪২ জন এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় চার লাখ মানুষ। শ্রীলঙ্কার মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের এবং প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ গৃহহারা হয়েছে।
ব্রিসবেন থেকে বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত শহরের অধিকাংশ এলাকা আছে পানির নিচে। রাস্তাঘাট, সেতু-কালভার্ট সব অচল হয়ে পড়েছে। ২০ লাখ মানুষের এই শহরে ১২ হাজার ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে আছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে এক লাখ ১৮ হাজার ভবন। লোকজন ভেনিস শহরের মতো নৌকায় করে চলাচল করছে। সব মিলিয়ে এই অবস্থাকে ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা’ বলেই মনে করছেন রাজ্যপ্রধান আন্না বালিঘ। বন্যা-পরিস্থিতির উন্নতি হলে পুনর্গঠনের কাজই হবে প্রধান চ্যালেঞ্জ।
আন্না বালিঘ বলেন, পুরো শিল্প এলাকা, রেলওয়ে স্টেশন তলিয়ে আছে, সেতু-রাস্তা সব অচল হয়ে গেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার চিত্র যেমন দেখায়, সব মিলিয়ে পরিস্থিতি তেমনই।’
ব্রিসবেনে গত তিন দিনে মারা গেছে ১৫ জন। ১৯৭৪ সালের পর এমন ভয়াবহ বন্যা আর সেখানে হয়নি।
এদিকে, অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে এ পর্যন্ত ৪২ জনের প্রাণহানী হয়েছে। এতে ফসল ও অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলে গত বৃহস্পতিবার দেশেটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সংস্থার প্রধান বেনিতো রামোস জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বরের শেষ থেকে শুরু হওয়া এই বন্যায় এ পর্যন্ত প্রায় চার লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
আর শ্রীলঙ্কায় বন্যায় গৃহহারা হয়েছে ১০ লাখের বেশি মানুষ। মারা গেছে কমপক্ষে ২১ জন। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দ্বীপদেশটির পূর্ব ও মধ্যাঞ্চল।
কলম্বোয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের এই মুখপাত্র জানান, মৌসুমি বৃষ্টিপাতের চেয়ে বেশি বৃষ্টিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় বাত্তিকালোয়া জেলা।
ওই মুখপাত্র বলেন, ‘শুধু বাত্তিকালোয়াতেই গৃহহারা হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ। সেখানে আমরা ২৩৩টি শিবির স্থাপন করেছি। প্রায় আড়াই লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে এসব শিবিরে। অন্যরা বিভিন্ন উঁচু এলাকায় সরে গেছে।’
বাত্তিকালোয়া থেকে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণের আইলাদিভেম্বু গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক কে রত্নাভেল জানান, তাঁর গ্রামের অর্ধেক তলিয়ে আছে। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়িটি ডুবে আছে ছয় ফুট পানিতে। পরিবার নিয়ে আমি আশ্রয় নিয়েছি একটি সরকারি ভবনে। পরনের কাপড়টুকু নিয়ে আমরা বাড়িঘর ছেড়ে এসেছি। বাকি সব শেষ হয়ে গেছে।’
ব্রিসবেন থেকে বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত শহরের অধিকাংশ এলাকা আছে পানির নিচে। রাস্তাঘাট, সেতু-কালভার্ট সব অচল হয়ে পড়েছে। ২০ লাখ মানুষের এই শহরে ১২ হাজার ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে আছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে এক লাখ ১৮ হাজার ভবন। লোকজন ভেনিস শহরের মতো নৌকায় করে চলাচল করছে। সব মিলিয়ে এই অবস্থাকে ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা’ বলেই মনে করছেন রাজ্যপ্রধান আন্না বালিঘ। বন্যা-পরিস্থিতির উন্নতি হলে পুনর্গঠনের কাজই হবে প্রধান চ্যালেঞ্জ।
আন্না বালিঘ বলেন, পুরো শিল্প এলাকা, রেলওয়ে স্টেশন তলিয়ে আছে, সেতু-রাস্তা সব অচল হয়ে গেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার চিত্র যেমন দেখায়, সব মিলিয়ে পরিস্থিতি তেমনই।’
ব্রিসবেনে গত তিন দিনে মারা গেছে ১৫ জন। ১৯৭৪ সালের পর এমন ভয়াবহ বন্যা আর সেখানে হয়নি।
এদিকে, অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে এ পর্যন্ত ৪২ জনের প্রাণহানী হয়েছে। এতে ফসল ও অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলে গত বৃহস্পতিবার দেশেটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সংস্থার প্রধান বেনিতো রামোস জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বরের শেষ থেকে শুরু হওয়া এই বন্যায় এ পর্যন্ত প্রায় চার লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
আর শ্রীলঙ্কায় বন্যায় গৃহহারা হয়েছে ১০ লাখের বেশি মানুষ। মারা গেছে কমপক্ষে ২১ জন। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দ্বীপদেশটির পূর্ব ও মধ্যাঞ্চল।
কলম্বোয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের এই মুখপাত্র জানান, মৌসুমি বৃষ্টিপাতের চেয়ে বেশি বৃষ্টিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় বাত্তিকালোয়া জেলা।
ওই মুখপাত্র বলেন, ‘শুধু বাত্তিকালোয়াতেই গৃহহারা হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ। সেখানে আমরা ২৩৩টি শিবির স্থাপন করেছি। প্রায় আড়াই লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে এসব শিবিরে। অন্যরা বিভিন্ন উঁচু এলাকায় সরে গেছে।’
বাত্তিকালোয়া থেকে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণের আইলাদিভেম্বু গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক কে রত্নাভেল জানান, তাঁর গ্রামের অর্ধেক তলিয়ে আছে। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়িটি ডুবে আছে ছয় ফুট পানিতে। পরিবার নিয়ে আমি আশ্রয় নিয়েছি একটি সরকারি ভবনে। পরনের কাপড়টুকু নিয়ে আমরা বাড়িঘর ছেড়ে এসেছি। বাকি সব শেষ হয়ে গেছে।’
No comments