তেভেজ বারবেতভ রুনি কাহন
তারা জ্বলে, তারা নেভে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পরশু রাতেও এই রীতির ব্যতিক্রম হয়নি। তারকাদের আনন্দ-বিষাদের যুগলবন্দীর এক রাতই কেটেছে সেখানে।
নিউক্যাসলের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলে জেতাতে কার্লোস তেভেজ করেছেন জোড়া গোল। জোড়া গোলের উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন দিমিতার বারবেতভও। তাঁর দুই গোলেই সান্ডারল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রদীপের নিচে অন্ধকারের মতোই বারবেতভের পাশে ম্যানইউর আরেক তারকা ওয়েইন রুনির রাতটি কেটেছে গোল না পাওয়ার হতাশায়।
১৭ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে বছর শেষ করছে ম্যানইউ। সান্ডারল্যান্ডকে হারিয়ে লিগে টানা ২২ ম্যাচে অপরাজিত থাকার কীর্তি গড়ল তারা। তার পরও কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন আনন্দ করতে পারছেন কোথায়? ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিদায়ের পর যিনি দলের মূল ভরসা হতে পারতেন, সেই রুনি যে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। গত মৌসুমে ৪৪ ম্যাচে ৩৪ গোল করা রুনি এবার ১০ ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র ২ গোল।
আরেকটা ম্যাচে গোল না পাওয়ার হতাশা রুনির থাকতে পারে, তবে ফার্গুসন অস্বস্তিতে নেই। সান্ডারল্যান্ড ম্যাচেই যে ফার্গুসন দেখতে পেয়েছেন ইংলিশ স্ট্রাইকারের নিজেকে ফিরে পাওয়ার লক্ষণ। ‘ও ধীরে ধীরে নিজেকে ফিরে পাচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ও ভালো খেলছে। ওয়েইন বেশ কয়েকটি সুযোগও পেয়েছিল আজ (রোববার)। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে গোল পায়নি।’
রুনি নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন, আর বারবেতভ ফিরে পেয়েছেন তাঁর ‘মিডাস টাচ’। এটাও ফার্গুসনের জন্য বড় এক স্বস্তি। টটেনহাম হটস্পার থেকে ২০০৮-০৯ মৌসুমে এসে নিজেকে তুলে ধরতে পারছিলেন না। গত দুই মৌসুমে ৮৬ ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র ২৬ গোল (১৪+১২)।
অথচ এ মৌসুমে কিসের ছোঁয়ায় জেগে ওঠা বারবেতভ ১৯ ম্যাচ খেলেই করে ফেলেছেন ১৪ গোল। লিগেই ১৩টি। লিভারপুলের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর ব্ল্যাকবার্নের বিপক্ষে করেছেন ৫ গোল। ফার্গুসনের প্রশংসাটা তাঁর প্রাপ্যই, ‘বারবেতভ দুর্দান্ত খেলছে। প্রতিটি ম্যাচই ও আগের ম্যাচের চেয়ে ভালো খেলছে।’ বারবেতভ হ্যাটট্রিক পেতে পারতেন পরশুও।
বারবেতভ যেমন ফার্গুসনের প্রশংসায় ভাসছেন তেমনই তেভেজের প্রশংসা প্রাপ্য রবার্তো মানচিনির। তেভেজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই পয়েন্ট তালিকায় নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানইউর পাশে রেখেছে সিটিকে (১৯ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট)। এই হিসাবটা অবশ্য কাল রাতের আর্সেনাল-চেলসি ম্যাচের আগের। হিসাবটা যখনকারই হোক, শিরোপা-স্বপ্ন কিন্তু ম্যান সিটি কোচের মনে ঠিকই উঁকি দিতে শুরু করেছে।
আর এর সবকিছুতেই যখন তেভেজের বড় অবদান, তাহলে তাঁর প্রাপ্যটা বুঝিয়ে না দিয়ে উপায় কী! ম্যান সিটি ছাড়া নিয়ে যাবতীয় তিক্ততা ভুলে মানচিনি তাই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, ‘আজ (রোববার) তেভেজ দুর্দান্ত খেলেছে। ওর খেলা দেখে মনে হয়েছে, ওকে আটকানো কঠিন।’ তেভেজ ডিফেন্ডারদের ত্রাস হয়ে উঠেছেন, সেটা গোলদাতার তালিকা দেখলেও বোঝা যায়। ১২ গোল করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে তিনি। ১৪ গোল করে শীর্ষে বারবেতভ।
নিউক্যাসলের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলে জেতাতে কার্লোস তেভেজ করেছেন জোড়া গোল। জোড়া গোলের উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন দিমিতার বারবেতভও। তাঁর দুই গোলেই সান্ডারল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রদীপের নিচে অন্ধকারের মতোই বারবেতভের পাশে ম্যানইউর আরেক তারকা ওয়েইন রুনির রাতটি কেটেছে গোল না পাওয়ার হতাশায়।
১৭ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে বছর শেষ করছে ম্যানইউ। সান্ডারল্যান্ডকে হারিয়ে লিগে টানা ২২ ম্যাচে অপরাজিত থাকার কীর্তি গড়ল তারা। তার পরও কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন আনন্দ করতে পারছেন কোথায়? ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিদায়ের পর যিনি দলের মূল ভরসা হতে পারতেন, সেই রুনি যে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। গত মৌসুমে ৪৪ ম্যাচে ৩৪ গোল করা রুনি এবার ১০ ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র ২ গোল।
আরেকটা ম্যাচে গোল না পাওয়ার হতাশা রুনির থাকতে পারে, তবে ফার্গুসন অস্বস্তিতে নেই। সান্ডারল্যান্ড ম্যাচেই যে ফার্গুসন দেখতে পেয়েছেন ইংলিশ স্ট্রাইকারের নিজেকে ফিরে পাওয়ার লক্ষণ। ‘ও ধীরে ধীরে নিজেকে ফিরে পাচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ও ভালো খেলছে। ওয়েইন বেশ কয়েকটি সুযোগও পেয়েছিল আজ (রোববার)। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে গোল পায়নি।’
রুনি নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন, আর বারবেতভ ফিরে পেয়েছেন তাঁর ‘মিডাস টাচ’। এটাও ফার্গুসনের জন্য বড় এক স্বস্তি। টটেনহাম হটস্পার থেকে ২০০৮-০৯ মৌসুমে এসে নিজেকে তুলে ধরতে পারছিলেন না। গত দুই মৌসুমে ৮৬ ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র ২৬ গোল (১৪+১২)।
অথচ এ মৌসুমে কিসের ছোঁয়ায় জেগে ওঠা বারবেতভ ১৯ ম্যাচ খেলেই করে ফেলেছেন ১৪ গোল। লিগেই ১৩টি। লিভারপুলের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর ব্ল্যাকবার্নের বিপক্ষে করেছেন ৫ গোল। ফার্গুসনের প্রশংসাটা তাঁর প্রাপ্যই, ‘বারবেতভ দুর্দান্ত খেলছে। প্রতিটি ম্যাচই ও আগের ম্যাচের চেয়ে ভালো খেলছে।’ বারবেতভ হ্যাটট্রিক পেতে পারতেন পরশুও।
বারবেতভ যেমন ফার্গুসনের প্রশংসায় ভাসছেন তেমনই তেভেজের প্রশংসা প্রাপ্য রবার্তো মানচিনির। তেভেজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই পয়েন্ট তালিকায় নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানইউর পাশে রেখেছে সিটিকে (১৯ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট)। এই হিসাবটা অবশ্য কাল রাতের আর্সেনাল-চেলসি ম্যাচের আগের। হিসাবটা যখনকারই হোক, শিরোপা-স্বপ্ন কিন্তু ম্যান সিটি কোচের মনে ঠিকই উঁকি দিতে শুরু করেছে।
আর এর সবকিছুতেই যখন তেভেজের বড় অবদান, তাহলে তাঁর প্রাপ্যটা বুঝিয়ে না দিয়ে উপায় কী! ম্যান সিটি ছাড়া নিয়ে যাবতীয় তিক্ততা ভুলে মানচিনি তাই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, ‘আজ (রোববার) তেভেজ দুর্দান্ত খেলেছে। ওর খেলা দেখে মনে হয়েছে, ওকে আটকানো কঠিন।’ তেভেজ ডিফেন্ডারদের ত্রাস হয়ে উঠেছেন, সেটা গোলদাতার তালিকা দেখলেও বোঝা যায়। ১২ গোল করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে তিনি। ১৪ গোল করে শীর্ষে বারবেতভ।
No comments