যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানি বিজ্ঞানীকে কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানি বিজ্ঞানী আফিয়া সিদ্দিকীকে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে পাকিস্তানে মানুষ টায়ার জ্বালিয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নিউইয়র্কের একটি আদালত তিন ঘণ্টা শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
দীর্ঘ পাঁচ বছর নিখোঁজ থাকার পর ২০০৮ সালে মার্কিন সেনাবাহিনী আফগানিস্তান থেকে আফিয়া সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করে। পাকিস্তানে অনেকেই মনে করে যে সিদ্দিকীকে যুক্তরাষ্ট্রে গোপন কোনো কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আফিয়া সিদ্দিকীর এই কারাদণ্ডের খবর পাকিস্তানে আসার পরপরই সেখানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পেশোয়ারে অনেক মানুষ রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। তারা পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এবং ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ বলে স্লোগান দেয়। এ সময় কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করে।
সিদ্দিকীর বোন ফউজিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তানি শাসকেরা আফিয়াকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই রায় তাঁদের মুখে থাপ্পড় মারার শামিল।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি আজ শুক্রবার আফিয়া সিদ্দিকীকে ‘জাতির কন্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র আবদুল বাশিত বলেন, ‘পাকিস্তান এই রায়ে হতাশ। এটা খুবই দুঃখজনক যে আমরা তাঁকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সফল হতে পারিনি। তবে অন্য কোনোভাবে তাঁকে ফিরিয়ে আনা যায় কি না, সে লক্ষ্যে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমরা এখনো হাল ছাড়ছি না।’
আফিয়া সিদ্দিকী নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ও ব্রান্ডেস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ২০০৩ সালে তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসেন।
দীর্ঘ পাঁচ বছর নিখোঁজ থাকার পর ২০০৮ সালে মার্কিন সেনাবাহিনী আফগানিস্তান থেকে আফিয়া সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করে। পাকিস্তানে অনেকেই মনে করে যে সিদ্দিকীকে যুক্তরাষ্ট্রে গোপন কোনো কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আফিয়া সিদ্দিকীর এই কারাদণ্ডের খবর পাকিস্তানে আসার পরপরই সেখানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পেশোয়ারে অনেক মানুষ রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। তারা পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এবং ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ বলে স্লোগান দেয়। এ সময় কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করে।
সিদ্দিকীর বোন ফউজিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তানি শাসকেরা আফিয়াকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই রায় তাঁদের মুখে থাপ্পড় মারার শামিল।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি আজ শুক্রবার আফিয়া সিদ্দিকীকে ‘জাতির কন্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র আবদুল বাশিত বলেন, ‘পাকিস্তান এই রায়ে হতাশ। এটা খুবই দুঃখজনক যে আমরা তাঁকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সফল হতে পারিনি। তবে অন্য কোনোভাবে তাঁকে ফিরিয়ে আনা যায় কি না, সে লক্ষ্যে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমরা এখনো হাল ছাড়ছি না।’
আফিয়া সিদ্দিকী নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ও ব্রান্ডেস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ২০০৩ সালে তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসেন।
No comments