ঘানা যেখানে আলাদা
ক্যামেরুনের ছিল একজন রজার মিলা, সেনেগালের এল হাজি দিউফ। ঘানার কে?
প্রশ্নটা উঠত না, যদি মাইকেল এসিয়েন মাঠের বাইরে না থাকতেন। কিন্তু গত জানুয়ারি থেকে দলের সবচেয়ে বড় তারকাকে ছাড়াই খেলছে ঘানা। তার পরও সাফল্যের মালা গেঁথে চলেছে দলটি। আফ্রিকার মাটিতে আফ্রিকার একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে টিকে আছে ঘানা।
কীভাবে এটা সম্ভব হলো? দলীয় শক্তির জোরে। ঠিক এই জায়গাটায় ক্যামেরুন-সেনেগালের চেয়ে একটু আলাদা করা যায় ঘানাকে। ১৯৯০ সালে ক্যামেরুনকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলতে বড় অবদান ছিল ৩৮ বছরের রজার মিলার। ২০০২ বিশ্বকাপে সেনেগালও কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল এল হাজি দিয়ুফের অগ্রণী ভূমিকায়। আফ্রিকার তৃতীয় দেশ হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে ঘানার নাম লেখানো একজন মিলা বা দিয়ুফকে ছাড়াই।
কাকতালীয় ব্যাপার, ক্যামেরুন-সেনেগাল-ঘানা তাদের ওই কোয়ার্টার ফাইনাল মিশনটা শুরু করেছে ১-০ জয় দিয়ে। প্রথম দুটি দলের শুরুটা ছিল সাড়া জাগানো। হারিয়ে দিয়েছিল তারা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নকে। ১৯৯০ সালে ক্যামেরুনের হাতে আর্জেন্টিনা-বধ, ২০০২ সালে সেনেগালের শিকার ছিল ফ্রান্স।
মিলানে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পথে দ্বিতীয়ার্ধে গোল করলেন ওমাম বিয়িক। এই ম্যাচেই দুটি লাল কার্ড দেখে শেষ দিকে ক্যামেরুন খেলল ৯ জন নিয়ে! ১২ বছর পর সিউলে সেনেগালের হাতে ফ্রান্স-বধের নায়ক ছিলেন তারকা মিডফিল্ডার পাপা বুবা দিউফ। তাঁর গোলেই এল সেনেগালের সেই সাড়া ফেলে দেওয়া জয়।
ঘানাও সাড়া ফেলল, তবে একক কোনো খেলোয়াড়ের হাত ধরে নয়। গোটা একটা দল হয়ে খেলার ফসল ঘরে তুলল তারা। প্রথম ম্যাচে হারাল ১০ জনের সার্বিয়াকে। পরের ম্যাচে ১০ জনের অস্ট্রেলিয়া ১-১-এ রুখে দিল তাদের। শেষ গ্রুপ ম্যাচে জার্মানির কাছে হেরেও গোল-গড়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা। এরপর কী ঘটল, তা তো সবারই জানা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ে ১-১, তারপর অতিরিক্ত সময়ে স্ট্রাইকার আসামোয়া জিয়ানের গোল ক্যামেরুন, সেনেগালের পাশে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ঘানাকে।
রিচার্ড কিংসন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল উইগানের তৃতীয় গোলরক্ষক হতে পারেন, অস্ট্রেলিয়াকে একটা গোল উপহার দিলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় কিন্তু নজর কেড়েছেন ঘানার গোলরক্ষক।
আফ্রিকান কামানের একটা ফুটো দিক হতে পারে তাদের রক্ষণ। তবে ঘানার রক্ষণটা তেমন নয়। সান্ডারল্যান্ডে খেলা অধিনায়ক মেনশাহ, ফুলহামের পান্টসিল এবং তাদের সতীর্থরা যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণগুলো থামিয়ে দিয়েছেন দারুণভাবে।
পাঁচ মিডফিল্ডারের একজন তিনবারের আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার আবেদি পেলের ছেলে আন্দ্রে আইয়ু একইসঙ্গে রক্ষণ এবং আক্রমণে রাখছেন ভূমিকা। তবে গোলের জন্য শুধু জিয়ানের ওপর নির্ভর করা কোচ মিলোভান রাজেভাচের চিন্তার কারণ বটে।
ঘানার অবস্থা জার্মানির মতো অনেকটা। ইনুজরিতে পড়া মাইকেল বালাককে ছাড়া যেভাবে চলছে, সেভাবেই এসিয়েনকে ছাড়া ঘানা। চেলসিতে বালাক-এসিয়েন আবার সতীর্থ ছিলেন এই সেদিনও। তার পরও তো এখন ঘানা-জার্মানি দুই দলেরই উপলব্ধিটা এমন, নিজ নিজ সেরা অস্ত্রকে ছাড়াও এগিয়ে যাওয়া যায়। ঘানা কোয়ার্টার ফাইনালে খেলছে উরুগুয়ের সঙ্গে, জার্মানির প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা।
বড় দলগুলোর সঙ্গে চোখ এখন ঘানার ওপরও। একজন মিলা-দিয়ুফ ছাড়া কত দূর যেতে পারবে তারা, সেটিই এখন দেখার।
প্রশ্নটা উঠত না, যদি মাইকেল এসিয়েন মাঠের বাইরে না থাকতেন। কিন্তু গত জানুয়ারি থেকে দলের সবচেয়ে বড় তারকাকে ছাড়াই খেলছে ঘানা। তার পরও সাফল্যের মালা গেঁথে চলেছে দলটি। আফ্রিকার মাটিতে আফ্রিকার একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে টিকে আছে ঘানা।
কীভাবে এটা সম্ভব হলো? দলীয় শক্তির জোরে। ঠিক এই জায়গাটায় ক্যামেরুন-সেনেগালের চেয়ে একটু আলাদা করা যায় ঘানাকে। ১৯৯০ সালে ক্যামেরুনকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলতে বড় অবদান ছিল ৩৮ বছরের রজার মিলার। ২০০২ বিশ্বকাপে সেনেগালও কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল এল হাজি দিয়ুফের অগ্রণী ভূমিকায়। আফ্রিকার তৃতীয় দেশ হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে ঘানার নাম লেখানো একজন মিলা বা দিয়ুফকে ছাড়াই।
কাকতালীয় ব্যাপার, ক্যামেরুন-সেনেগাল-ঘানা তাদের ওই কোয়ার্টার ফাইনাল মিশনটা শুরু করেছে ১-০ জয় দিয়ে। প্রথম দুটি দলের শুরুটা ছিল সাড়া জাগানো। হারিয়ে দিয়েছিল তারা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নকে। ১৯৯০ সালে ক্যামেরুনের হাতে আর্জেন্টিনা-বধ, ২০০২ সালে সেনেগালের শিকার ছিল ফ্রান্স।
মিলানে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পথে দ্বিতীয়ার্ধে গোল করলেন ওমাম বিয়িক। এই ম্যাচেই দুটি লাল কার্ড দেখে শেষ দিকে ক্যামেরুন খেলল ৯ জন নিয়ে! ১২ বছর পর সিউলে সেনেগালের হাতে ফ্রান্স-বধের নায়ক ছিলেন তারকা মিডফিল্ডার পাপা বুবা দিউফ। তাঁর গোলেই এল সেনেগালের সেই সাড়া ফেলে দেওয়া জয়।
ঘানাও সাড়া ফেলল, তবে একক কোনো খেলোয়াড়ের হাত ধরে নয়। গোটা একটা দল হয়ে খেলার ফসল ঘরে তুলল তারা। প্রথম ম্যাচে হারাল ১০ জনের সার্বিয়াকে। পরের ম্যাচে ১০ জনের অস্ট্রেলিয়া ১-১-এ রুখে দিল তাদের। শেষ গ্রুপ ম্যাচে জার্মানির কাছে হেরেও গোল-গড়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা। এরপর কী ঘটল, তা তো সবারই জানা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ে ১-১, তারপর অতিরিক্ত সময়ে স্ট্রাইকার আসামোয়া জিয়ানের গোল ক্যামেরুন, সেনেগালের পাশে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ঘানাকে।
রিচার্ড কিংসন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল উইগানের তৃতীয় গোলরক্ষক হতে পারেন, অস্ট্রেলিয়াকে একটা গোল উপহার দিলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় কিন্তু নজর কেড়েছেন ঘানার গোলরক্ষক।
আফ্রিকান কামানের একটা ফুটো দিক হতে পারে তাদের রক্ষণ। তবে ঘানার রক্ষণটা তেমন নয়। সান্ডারল্যান্ডে খেলা অধিনায়ক মেনশাহ, ফুলহামের পান্টসিল এবং তাদের সতীর্থরা যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণগুলো থামিয়ে দিয়েছেন দারুণভাবে।
পাঁচ মিডফিল্ডারের একজন তিনবারের আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার আবেদি পেলের ছেলে আন্দ্রে আইয়ু একইসঙ্গে রক্ষণ এবং আক্রমণে রাখছেন ভূমিকা। তবে গোলের জন্য শুধু জিয়ানের ওপর নির্ভর করা কোচ মিলোভান রাজেভাচের চিন্তার কারণ বটে।
ঘানার অবস্থা জার্মানির মতো অনেকটা। ইনুজরিতে পড়া মাইকেল বালাককে ছাড়া যেভাবে চলছে, সেভাবেই এসিয়েনকে ছাড়া ঘানা। চেলসিতে বালাক-এসিয়েন আবার সতীর্থ ছিলেন এই সেদিনও। তার পরও তো এখন ঘানা-জার্মানি দুই দলেরই উপলব্ধিটা এমন, নিজ নিজ সেরা অস্ত্রকে ছাড়াও এগিয়ে যাওয়া যায়। ঘানা কোয়ার্টার ফাইনালে খেলছে উরুগুয়ের সঙ্গে, জার্মানির প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা।
বড় দলগুলোর সঙ্গে চোখ এখন ঘানার ওপরও। একজন মিলা-দিয়ুফ ছাড়া কত দূর যেতে পারবে তারা, সেটিই এখন দেখার।
No comments