চীন-তাইওয়ান ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য চীন ও তাইওয়ান গতকাল মঙ্গলবার একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। গত ৬০ বছরের মধ্যে দুই সরকারের মধ্যে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি। দ্য ইকোনমিক কো-অপারেশন ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট (ইসিএফএ) নামের এই চুক্তির আওতায় দুই দেশের কয়েক শ রপ্তানিপণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে। তবে এই চুক্তির প্রতিবাদে তাইওয়ানে বিক্ষোভ হয়েছে।
চীনের দক্ষিণাঞ্চলের চংকিং শহরে দ্বিপক্ষীয় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চীনের পক্ষে অ্যাসোসিয়েশন ফর রিলেশন্স অ্যাক্রোস দ্য তাইওয়ান স্ট্রেইটসের (এআরএটিএস) চেয়ারম্যান চেন ইউনলিন ও তাইওয়ানের পক্ষে স্ট্রেইটস এক্সচেঞ্জ ফাউন্ডেশনের (এসইএফ) চেয়ারম্যান পিকে চিয়াং চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর আওতায় আগামী দুই বছরের মধ্যে তাইওয়ানের ৫৩৯টি রপ্তানিপণ্যের শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনা হবে। এই শুল্কের পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৩৪৮ কোটি মার্কিন ডলার। আর চীনের ২৮৬ কোটি ডলার মূল্যের ২৬৭টি পণ্যের শুল্ক কমিয়ে আনা হবে। এর ফলে চীনের বাজারে প্রবেশে তাইওয়ান প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ পণ্যের শুল্ক ছাড় পাবে।
চেন ইউনলিন বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে পারস্পরিক স্বার্থে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। তাইওয়ান বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান হুয়াং চিং-সুন বলেন, এটা কেবল শুরু। ভবিষ্যতে এই প্রক্রিয়া আরও সম্প্রসারিত হবে। পিকে চিয়াং বলেন, ‘চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের একটি বিশেষ সময়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাদের যৌথভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি পারস্পরিক আস্থা অর্জনের পথে এগিয়ে যেতে হবে।’
চুক্তির ফলে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে। এখন প্রতিবছর তাদের মধ্যে ১১ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হচ্ছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই চুক্তির ফলে তাইওয়ান বেশি লাভবান হবে। এই চুক্তিকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মা ইং জেওউর সর্বোচ্চ সাফল্য বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। দুই বছর আগে ক্ষমতায় আসার সময় তিনি চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছিলেন। গতকাল স্বাক্ষরিত বাণিজ্য চুক্তির জন্য ২০০৮ সাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়।
চীন-তাইওয়ান চুক্তির প্রতিবাদে তাইওয়ানের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ হয়েছে। গতকাল তাইওয়ানের কয়েকটি রাস্তায় চুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষাভ মিছিল বের হয়। তবে কয়েকটি জনমত জরিপে তাইওয়ানের জনগণ চুক্তির পক্ষেই রায় দেয়। চুক্তির সমালোচক তাইওয়ানিরা বলেন, এর ফলে তাইওয়ান নানাভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে। রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশে চীন এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে উল্লেখ করে তাঁরা এর কঠোর সমালোচনা করেন। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে তাদের অংশ মনে করে। দেশটি তাইওয়ানকে নিজের সঙ্গে একীভূত করতে দীর্ঘদিন ধরে প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।
চীনের দক্ষিণাঞ্চলের চংকিং শহরে দ্বিপক্ষীয় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চীনের পক্ষে অ্যাসোসিয়েশন ফর রিলেশন্স অ্যাক্রোস দ্য তাইওয়ান স্ট্রেইটসের (এআরএটিএস) চেয়ারম্যান চেন ইউনলিন ও তাইওয়ানের পক্ষে স্ট্রেইটস এক্সচেঞ্জ ফাউন্ডেশনের (এসইএফ) চেয়ারম্যান পিকে চিয়াং চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর আওতায় আগামী দুই বছরের মধ্যে তাইওয়ানের ৫৩৯টি রপ্তানিপণ্যের শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনা হবে। এই শুল্কের পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৩৪৮ কোটি মার্কিন ডলার। আর চীনের ২৮৬ কোটি ডলার মূল্যের ২৬৭টি পণ্যের শুল্ক কমিয়ে আনা হবে। এর ফলে চীনের বাজারে প্রবেশে তাইওয়ান প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ পণ্যের শুল্ক ছাড় পাবে।
চেন ইউনলিন বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে পারস্পরিক স্বার্থে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। তাইওয়ান বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান হুয়াং চিং-সুন বলেন, এটা কেবল শুরু। ভবিষ্যতে এই প্রক্রিয়া আরও সম্প্রসারিত হবে। পিকে চিয়াং বলেন, ‘চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের একটি বিশেষ সময়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাদের যৌথভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি পারস্পরিক আস্থা অর্জনের পথে এগিয়ে যেতে হবে।’
চুক্তির ফলে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে। এখন প্রতিবছর তাদের মধ্যে ১১ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হচ্ছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই চুক্তির ফলে তাইওয়ান বেশি লাভবান হবে। এই চুক্তিকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মা ইং জেওউর সর্বোচ্চ সাফল্য বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। দুই বছর আগে ক্ষমতায় আসার সময় তিনি চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছিলেন। গতকাল স্বাক্ষরিত বাণিজ্য চুক্তির জন্য ২০০৮ সাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়।
চীন-তাইওয়ান চুক্তির প্রতিবাদে তাইওয়ানের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ হয়েছে। গতকাল তাইওয়ানের কয়েকটি রাস্তায় চুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষাভ মিছিল বের হয়। তবে কয়েকটি জনমত জরিপে তাইওয়ানের জনগণ চুক্তির পক্ষেই রায় দেয়। চুক্তির সমালোচক তাইওয়ানিরা বলেন, এর ফলে তাইওয়ান নানাভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে। রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশে চীন এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে উল্লেখ করে তাঁরা এর কঠোর সমালোচনা করেন। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে তাদের অংশ মনে করে। দেশটি তাইওয়ানকে নিজের সঙ্গে একীভূত করতে দীর্ঘদিন ধরে প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।
No comments