চীন সম্পর্কে কটু মন্তব্য করায় ওবামার কঠোর সমালোচনা
উত্তর কোরিয়া নিয়ে চীন সম্পর্কে কটু মন্তব্য করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কঠোর সমালোচনা করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় পত্রিকা। ইংরেজিভাষী পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস ওবামার ওই মন্তব্যকে দায়িত্বহীন ও ধৃষ্টতাপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছে। উত্তর কোরিয়ার কর্মকাণ্ডে চীন অন্ধভাবে সমর্থন দিচ্ছে—ওবামার এমন মন্তব্যে চীনা পত্রিকায় এই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হয়।
গত রোববার কানাডায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে ওবামা মন্তব্য করেন, পিয়ংইয়ংয়ের যুদ্ধংদেহী আচরণের প্রতি চীনের ইচ্ছা করে চোখ বুজে থাকা উচিত নয়। চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের মুখের ওপর তিনি এই কড়া মন্তব্য করন।
এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হয় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র বলে পরিচিত পিপলস ডেইলি পরিচালিত গ্লোবাল টাইমস-এ। প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করার আগে এ অঞ্চলে চীনের ভূমিকা ওবামার বিবেচনা করা উচিত ছিল।
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে ছয় দেশের আলোচনায় উদ্যোক্তা হিসেবে চীনের ভূমিকার কথা তুলে ধরে পত্রিকায় বলা হয়, উত্তর কোরিয়া কী করেছে না-করেছে, এ ব্যাপারে চীন চোখ বুজে রয়েছে বলে যেভাবে মন্তব্য করা হয়েছে, আসলে তা ঠিক নয়। বরং যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোর নেতারাই চীনের তৎপরতা দেখছে না।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচি পরিত্যাগে চীনের চেষ্টা যে কাজে লাগেনি তা ঠিক, কিন্তু পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে যোগসূত্র বজায় রাখাটা জরুরি। যুক্তরাষ্ট্র এ কথা অস্বীকার করতে পারবে না যে বর্তমান পরিস্থিতিতে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথ চালু রেখেছে চীন। এই পথ বন্ধ হলে গোটা পরিস্থিতি অচল হয়ে পড়বে। বিশ্ব তা কোনোভাবেই চায় না।
গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজডুবিতে ৪৬ জন নাবিকের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করা হচ্ছে। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতৃত্বে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে একটি নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপিত হলেও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এখনো এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন মেলেনি। উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত চীন জাতিসংঘে উত্থাপিত এই নিন্দা প্রস্তাব অনুমোদনে অস্বীকৃতি জানায়। চীন বলছে, এ ব্যাপারে তথ্যপ্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত তারা অনুমোদন দেবে না। এতে যুক্তরাষ্ট্র চীনের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়।
গত রোববার কানাডায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে ওবামা মন্তব্য করেন, পিয়ংইয়ংয়ের যুদ্ধংদেহী আচরণের প্রতি চীনের ইচ্ছা করে চোখ বুজে থাকা উচিত নয়। চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের মুখের ওপর তিনি এই কড়া মন্তব্য করন।
এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হয় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র বলে পরিচিত পিপলস ডেইলি পরিচালিত গ্লোবাল টাইমস-এ। প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করার আগে এ অঞ্চলে চীনের ভূমিকা ওবামার বিবেচনা করা উচিত ছিল।
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে ছয় দেশের আলোচনায় উদ্যোক্তা হিসেবে চীনের ভূমিকার কথা তুলে ধরে পত্রিকায় বলা হয়, উত্তর কোরিয়া কী করেছে না-করেছে, এ ব্যাপারে চীন চোখ বুজে রয়েছে বলে যেভাবে মন্তব্য করা হয়েছে, আসলে তা ঠিক নয়। বরং যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোর নেতারাই চীনের তৎপরতা দেখছে না।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচি পরিত্যাগে চীনের চেষ্টা যে কাজে লাগেনি তা ঠিক, কিন্তু পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে যোগসূত্র বজায় রাখাটা জরুরি। যুক্তরাষ্ট্র এ কথা অস্বীকার করতে পারবে না যে বর্তমান পরিস্থিতিতে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথ চালু রেখেছে চীন। এই পথ বন্ধ হলে গোটা পরিস্থিতি অচল হয়ে পড়বে। বিশ্ব তা কোনোভাবেই চায় না।
গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজডুবিতে ৪৬ জন নাবিকের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করা হচ্ছে। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতৃত্বে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে একটি নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপিত হলেও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এখনো এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন মেলেনি। উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত চীন জাতিসংঘে উত্থাপিত এই নিন্দা প্রস্তাব অনুমোদনে অস্বীকৃতি জানায়। চীন বলছে, এ ব্যাপারে তথ্যপ্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত তারা অনুমোদন দেবে না। এতে যুক্তরাষ্ট্র চীনের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়।
No comments