রাশিয়ার পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ জন গ্রেপ্তার
রাশিয়ার পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গত রোববার ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা রাশিয়ার ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের (এসভিআর) সদস্য। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পর্যবেক্ষণের পর তাঁদের গ্রেপ্তার করে। তবে রাশিয়া বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ দাবি ভিত্তিহীন এবং তা স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার মানসিকতাকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। একজন রুশ কর্মকর্তা বলেন, এ অভিযোগ দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের ওয়াশিংটন সফরের তিন দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিনটি অঙ্গরাজ্য থেকে ওই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। মার্কিন কর্তৃপক্ষ ধারণা করেছে, এঁদের অধিকাংশই রাশিয়ার নাগরিক। তবে তাঁরা আসল পরিচয় গোপন করে কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্তিতে ফেলার চেষ্টা করেছেন। এঁদের কেউ কেউ কয়েক বছর ধরে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছিলেন।
এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা মিথ্যা পরিচয় দেওয়া, গোপন ক্যামেরা ব্যবহার ও অদৃশ্য কালি (যে কালি দিয়ে লিখলে খালি চোখে দেখা যায় না, কিন্তু তাপ প্রয়োগ বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে তা দৃষ্টিগোচর হয়) দিয়ে লেখা বার্তাসহ বিভিন্ন পুরোনো পদ্ধতি ব্যবহার করতেন। মার্কিন গোয়েন্দারা এমন অনেক বার্তাও উদ্ধার করেছে। এতে বলা হয়, ‘দীর্ঘমেয়াদে কাজ করতেই তোমাদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। তোমাদের শিক্ষা, ব্যাংক হিসাব, বাড়ি-গাড়ি সবকিছুই দেওয়া হয়েছে একটি উদ্দেশ্যে। তোমরা সেই লক্ষ্য পূরণ করো। মার্কিন নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করো আর তথ্য রাশিয়ায় পাঠাও।’
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও অন্য রাষ্ট্রের এজেন্ট হিসেবে বেআইনি কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। অর্থ পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০ বছর ও বেআইনি কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে পাঁচ বছর কারাদণ্ড হবে।
গত সোমবার পাঁচজনকে নিউইয়র্কের ম্যানহাটন কেন্দ্রীয় আদালতে নেওয়া হয়। আদালত আগামী ২৭ জুলাই প্রাথমিক শুনানির তারিখ ধার্য করেন। এই পাঁচজন হলেন রিচার্ড মারফি, সিনথিয়া মারফি, ভিকি পেলায়েজ, জুয়ান লাজারো ও আন্না চ্যাপম্যান। এঁদের মধ্যে প্রথম দুজনকে নিউ জার্সি, পরের তিনজনকে নিউইয়র্ক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই দিন মিখাইল সেমেনকো, মাইকেল জট্টোলি ও প্যাট্রিসিয়া মিলসকে ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়া কেন্দ্রীয় আদালতে হাজির করা হয়। এ তিনজনকেই ভার্জিনিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া ম্যাসাচুসেটস থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ডোনাল্ড হাওয়ার্ড হেথফিল্ড ও ট্রেসি লি অ্যান ফোলেকে বোস্টন আদালতে নেওয়া হয়।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা তথ্যগুলো খতিয়ে দেখছি। এতে পরস্পরবিরোধী অনেক বক্তব্য রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। তবে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক উন্নয়নে এ ঘটনা কোনো প্রভাব ফেলবে না।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের ওয়াশিংটন সফরের তিন দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিনটি অঙ্গরাজ্য থেকে ওই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। মার্কিন কর্তৃপক্ষ ধারণা করেছে, এঁদের অধিকাংশই রাশিয়ার নাগরিক। তবে তাঁরা আসল পরিচয় গোপন করে কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্তিতে ফেলার চেষ্টা করেছেন। এঁদের কেউ কেউ কয়েক বছর ধরে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছিলেন।
এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা মিথ্যা পরিচয় দেওয়া, গোপন ক্যামেরা ব্যবহার ও অদৃশ্য কালি (যে কালি দিয়ে লিখলে খালি চোখে দেখা যায় না, কিন্তু তাপ প্রয়োগ বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে তা দৃষ্টিগোচর হয়) দিয়ে লেখা বার্তাসহ বিভিন্ন পুরোনো পদ্ধতি ব্যবহার করতেন। মার্কিন গোয়েন্দারা এমন অনেক বার্তাও উদ্ধার করেছে। এতে বলা হয়, ‘দীর্ঘমেয়াদে কাজ করতেই তোমাদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। তোমাদের শিক্ষা, ব্যাংক হিসাব, বাড়ি-গাড়ি সবকিছুই দেওয়া হয়েছে একটি উদ্দেশ্যে। তোমরা সেই লক্ষ্য পূরণ করো। মার্কিন নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করো আর তথ্য রাশিয়ায় পাঠাও।’
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও অন্য রাষ্ট্রের এজেন্ট হিসেবে বেআইনি কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। অর্থ পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০ বছর ও বেআইনি কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে পাঁচ বছর কারাদণ্ড হবে।
গত সোমবার পাঁচজনকে নিউইয়র্কের ম্যানহাটন কেন্দ্রীয় আদালতে নেওয়া হয়। আদালত আগামী ২৭ জুলাই প্রাথমিক শুনানির তারিখ ধার্য করেন। এই পাঁচজন হলেন রিচার্ড মারফি, সিনথিয়া মারফি, ভিকি পেলায়েজ, জুয়ান লাজারো ও আন্না চ্যাপম্যান। এঁদের মধ্যে প্রথম দুজনকে নিউ জার্সি, পরের তিনজনকে নিউইয়র্ক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই দিন মিখাইল সেমেনকো, মাইকেল জট্টোলি ও প্যাট্রিসিয়া মিলসকে ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়া কেন্দ্রীয় আদালতে হাজির করা হয়। এ তিনজনকেই ভার্জিনিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া ম্যাসাচুসেটস থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ডোনাল্ড হাওয়ার্ড হেথফিল্ড ও ট্রেসি লি অ্যান ফোলেকে বোস্টন আদালতে নেওয়া হয়।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা তথ্যগুলো খতিয়ে দেখছি। এতে পরস্পরবিরোধী অনেক বক্তব্য রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। তবে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক উন্নয়নে এ ঘটনা কোনো প্রভাব ফেলবে না।
No comments