মাথা নিচু করে ওঁদের ফেরা
সবার আগে ডেভিড বেকহাম নেমে এলেন। পেছন পেছন জেমি ক্যারাঘার, মাইকেল ক্যারিকরা। খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিলেমিশে নামল স্ত্রী-বান্ধবীদের দল। কারও মুখে হাসি নেই। কেমন যেন শোকমিছিলে যোগ দিতে চলেছেন সবাই।
অথচ হিথ্রোতে বেকহামদের এই অবতরণটা অন্যরকম হতে পারত। অন্তত ইংলিশ সংবাদমাধ্যম অন্যরকম কল্পনাই করে রেখেছিল—‘সোনালি প্রজন্মে’র জেরার্ড, ল্যাম্পার্ড, রুনিরা তাদের জন্য বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ফিরবেন। সবাই মিলে স্তুতির বন্যায় ভাসাবেন দলকে।
আর এখন ইংলিশ কোচ-খেলোয়াড়েরা ভাসছেন সমালোচনার বন্যায়। সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হচ্ছেন সেই ফ্যাবিও ক্যাপেলো। দলের ব্যর্থতায় কোচকে দায় সব সময়ই নিতে হয়, ফুটবলে সেটা আরও বেশি। আর দলটা যদি ইংলিশ ফুটবল দল হয়, তবে ব্যর্থতার দায়ে তাঁর ন্যুব্জ হয়ে পড়ার কথা।
ক্যাপেলোকে সে রকম আক্রমণই করেছেন সাবেক ইংলিশ ফুটবলার অ্যালান শিয়ারার। শিয়ারারের কাছে মনে হয়েছে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোচের সম্পর্ক ভালো ছিল না, ‘ক্যাম্পে অবশ্যই কিছু একটা মৌলিক সমস্যা ছিল। যারা ব্যাপারটা জানে, তারাই শুধু সত্যিটা বলতে পারবে। বাইরে থেকে মনে হয়েছে, খেলোয়াড়দের বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়েছে এবং খেলার দিন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর মাঠে ছেড়ে দেওয়ার পর খেলোয়াড়দের অস্বচ্ছন্দ, অপ্রস্তুত এবং পুরো বিভ্রান্ত মনে হয়েছে।’
শুধু ক্যাপেলোর বিপক্ষে নন, শিয়ারার আসলে বিদেশি কোচ আনারই বিপক্ষে। দেশি-বিদেশির প্রতি এমন পক্ষপাত নেই আরেক সাবেক তারকা পল গাসকোয়েনের। কিন্তু ‘গাজ্জা’ও মনে করছেন, দায়টা ক্যাপেলোরই।
গাসকোয়েন অবশ্য নিজের ‘লাইনে’ই কথা বলছেন, ‘আমি জানি না, এটা খেলোয়াড়দের দোষ, নাকি কোচের। তবে এটা ঠিক, দলকে দেখে মনে হয়েছে, তারা বিশ্বকাপ উপভোগ করছিল না। এতদিনের জন্য বাড়ির বাইরে থাকলে খেলোয়াড়দের জন্য উপভোগ করাটা খুব জরুরি।’
কিন্তু ক্যাপেলোর এ রকম ঢালাও সমালোচনা করে যাওয়াটা ঠিক বলে মনে করছেন না সাবেক আইরিশ তারকা রয় কিন। কিন বলেছেন, ক্যাপেলোর চেয়ে ভালো লোক এই দায়িত্বে পাওয়া কঠিন, ‘কোচের সমালোচনা করা এবং তার কাজ নিয়ে সমানে প্রশ্ন করে যাওয়াটা পাগলামি। সে বাছাইপর্বেও ভুল কিছু করেনি, এখনো না। ইংল্যান্ডের জন্য তার মতো কোচ পাওয়া একটা ভাগ্যের ব্যাপার।’
কোচ কোনো ভুল করেননি, দায়টা তাহলে কার? কিন মনে করছেন, ‘সংবাদমাধ্যম ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে যা-ই বলুক, ইংল্যান্ড দলে ফর্মে থাকা বিশ্বমানের খেলোয়াড়ই বেশি ছিল না। লোকেরা বারবার বলে, বিশ্বকাপের একদল খেলোয়াড়—তারা কারা?’ এই প্রশ্ন করে রুনিকে ছাড় দিয়ে এক এক করে সব খেলোয়াড়কে ফর্মের বাইরে বা মানসম্পন্ন নয় বলে ‘প্রমাণ’ করেছেন কিন।
কিনের মতো আক্রমণ না করলেও সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালান মুলারি বলেছেন, ‘খেলোয়াড়েরা ক্যাপেলোকে ডুবিয়েছে, ডুবিয়েছে ইংল্যান্ডের লোকজনকেও।’
ইংল্যান্ডের লোকজন সত্যিই ডুবেছে। কেউ হাত-খরচের পয়সা বাঁচিয়ে, কেউ সংসার-খরচ কমিয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ দেখতে গিয়েছিলেন। ইংল্যান্ড দলের ঘণ্টা খানেক আগে এ রকম সমর্থকদের নিয়ে বিমান পৌঁছাল হিথ্রোতে।
সেখানেই এক সমর্থক, পেশায় ট্রেনচালক স্টিফেন বেইলি বলছিলেন, ‘দুই বছর ধরে টাকা জমিয়ে খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। এখন নিজেকে প্রতারিত মনে হচ্ছে। অথচ খেলোয়াড়দের দেখলাম, বিমানে ওঠার সময় ঠিকই হাসি-তামাশা করছে। আমাদের এই সমর্থনের মূল্য তাহলে কী?
অথচ হিথ্রোতে বেকহামদের এই অবতরণটা অন্যরকম হতে পারত। অন্তত ইংলিশ সংবাদমাধ্যম অন্যরকম কল্পনাই করে রেখেছিল—‘সোনালি প্রজন্মে’র জেরার্ড, ল্যাম্পার্ড, রুনিরা তাদের জন্য বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ফিরবেন। সবাই মিলে স্তুতির বন্যায় ভাসাবেন দলকে।
আর এখন ইংলিশ কোচ-খেলোয়াড়েরা ভাসছেন সমালোচনার বন্যায়। সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হচ্ছেন সেই ফ্যাবিও ক্যাপেলো। দলের ব্যর্থতায় কোচকে দায় সব সময়ই নিতে হয়, ফুটবলে সেটা আরও বেশি। আর দলটা যদি ইংলিশ ফুটবল দল হয়, তবে ব্যর্থতার দায়ে তাঁর ন্যুব্জ হয়ে পড়ার কথা।
ক্যাপেলোকে সে রকম আক্রমণই করেছেন সাবেক ইংলিশ ফুটবলার অ্যালান শিয়ারার। শিয়ারারের কাছে মনে হয়েছে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোচের সম্পর্ক ভালো ছিল না, ‘ক্যাম্পে অবশ্যই কিছু একটা মৌলিক সমস্যা ছিল। যারা ব্যাপারটা জানে, তারাই শুধু সত্যিটা বলতে পারবে। বাইরে থেকে মনে হয়েছে, খেলোয়াড়দের বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়েছে এবং খেলার দিন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর মাঠে ছেড়ে দেওয়ার পর খেলোয়াড়দের অস্বচ্ছন্দ, অপ্রস্তুত এবং পুরো বিভ্রান্ত মনে হয়েছে।’
শুধু ক্যাপেলোর বিপক্ষে নন, শিয়ারার আসলে বিদেশি কোচ আনারই বিপক্ষে। দেশি-বিদেশির প্রতি এমন পক্ষপাত নেই আরেক সাবেক তারকা পল গাসকোয়েনের। কিন্তু ‘গাজ্জা’ও মনে করছেন, দায়টা ক্যাপেলোরই।
গাসকোয়েন অবশ্য নিজের ‘লাইনে’ই কথা বলছেন, ‘আমি জানি না, এটা খেলোয়াড়দের দোষ, নাকি কোচের। তবে এটা ঠিক, দলকে দেখে মনে হয়েছে, তারা বিশ্বকাপ উপভোগ করছিল না। এতদিনের জন্য বাড়ির বাইরে থাকলে খেলোয়াড়দের জন্য উপভোগ করাটা খুব জরুরি।’
কিন্তু ক্যাপেলোর এ রকম ঢালাও সমালোচনা করে যাওয়াটা ঠিক বলে মনে করছেন না সাবেক আইরিশ তারকা রয় কিন। কিন বলেছেন, ক্যাপেলোর চেয়ে ভালো লোক এই দায়িত্বে পাওয়া কঠিন, ‘কোচের সমালোচনা করা এবং তার কাজ নিয়ে সমানে প্রশ্ন করে যাওয়াটা পাগলামি। সে বাছাইপর্বেও ভুল কিছু করেনি, এখনো না। ইংল্যান্ডের জন্য তার মতো কোচ পাওয়া একটা ভাগ্যের ব্যাপার।’
কোচ কোনো ভুল করেননি, দায়টা তাহলে কার? কিন মনে করছেন, ‘সংবাদমাধ্যম ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে যা-ই বলুক, ইংল্যান্ড দলে ফর্মে থাকা বিশ্বমানের খেলোয়াড়ই বেশি ছিল না। লোকেরা বারবার বলে, বিশ্বকাপের একদল খেলোয়াড়—তারা কারা?’ এই প্রশ্ন করে রুনিকে ছাড় দিয়ে এক এক করে সব খেলোয়াড়কে ফর্মের বাইরে বা মানসম্পন্ন নয় বলে ‘প্রমাণ’ করেছেন কিন।
কিনের মতো আক্রমণ না করলেও সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালান মুলারি বলেছেন, ‘খেলোয়াড়েরা ক্যাপেলোকে ডুবিয়েছে, ডুবিয়েছে ইংল্যান্ডের লোকজনকেও।’
ইংল্যান্ডের লোকজন সত্যিই ডুবেছে। কেউ হাত-খরচের পয়সা বাঁচিয়ে, কেউ সংসার-খরচ কমিয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ দেখতে গিয়েছিলেন। ইংল্যান্ড দলের ঘণ্টা খানেক আগে এ রকম সমর্থকদের নিয়ে বিমান পৌঁছাল হিথ্রোতে।
সেখানেই এক সমর্থক, পেশায় ট্রেনচালক স্টিফেন বেইলি বলছিলেন, ‘দুই বছর ধরে টাকা জমিয়ে খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। এখন নিজেকে প্রতারিত মনে হচ্ছে। অথচ খেলোয়াড়দের দেখলাম, বিমানে ওঠার সময় ঠিকই হাসি-তামাশা করছে। আমাদের এই সমর্থনের মূল্য তাহলে কী?
No comments