১১ মাসে এডিপির ৬৮% বাস্তবায়ন করা হয়েছে
চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের ১১ মাসে দেশে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ৬৮ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে সাত শতাংশ বেশি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়কালে এডিপি বাবদ ১৯ হাজার ৫২২ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময় ব্যয় করা হয়েছিল ১৪ হাজার ৮৮ কোটি টাকা।
আলোচ্য সময়কালে অবশ্য এডিপির মোট ব্যয় করা অর্থের মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে প্রাপ্ত অর্থ থেকে ব্যয় করা হয়েছে ১২ হাজার ২৯১ কোটি টাকা। বাকি সাত হাজার ২৩১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে প্রকল্প সাহায্য বাবদ প্রাপ্ত অর্থ থেকে।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, সংশোধিত এডিপিতে যে পরিমাণ টাকা (্স্থানীয় মুদ্রা) বরাদ্দ করা হয়েছিল, তার ৮৯ শতাংশ ছাড় করা হয়েছে। বিপরীতে বরাদ্দ করা ১৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার ৭১ শতাংশ ব্যয় করা হয়েছে।
এই বাস্তবতায় অর্থবছর শেষে এডিপি বাস্তবায়নের হার মোট সংশোধিত বরাদ্দের ৯০ শতাংশের নিচে থাকবে বলে ধারণা করা যায়।
২০০৯-১০ অর্থবছরের জন্য প্রথমে ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নির্ধারণ করা হয়। পরে তা সংশোধন করে কমিয়ে ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
তবে এডিপির আয়তন কমলেও এডিপিতে উন্নয়ন প্রকল্পের সংখ্যা ৮৮৬টি থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৫৮টি করা হয়েছে।
এডিপি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পল্লী-কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, ‘যদি গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট না থাকত, তাহলে এবার এডিপি বাস্তবায়নের হার অনেক ভালো হতো। আর তাই আগামী বছর সরকারকে এদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।’
এডিপির পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই ১১ মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এডিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে। এই সময়কালে বরাদ্দের প্রায় ৯৭ শতাংশ ব্যয় করতে পেরেছে মন্ত্রণালয়টি।
গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৭৫ শতাংশ, কৃষি মন্ত্রণালয় ৭৩, বিদ্যুৎ বিভাগ ৫৪, সড়ক ও রেলপথ বিভাগ ৬২ শতাংশ হারে এডিপির বরাদ্দ বাস্তবায়ন করেছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থানকালে তাঁর বক্তৃতায় এডিপি প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘গত বাজেট বক্তৃতায় আমি বলেছিলাম, আমাদের সামনে বড় চ্যলেঞ্জ হলো বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন হার বাড়াতে আমি পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছিলাম। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি একনেক সভায় দুটি করে মন্ত্রণালয়/বিভাগের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া বৃহৎ ১০টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের এডিপি বাস্তবায়নে বিশেষ নজরদারির জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং বৈদেশিক সাহায্যপ্রাপ্ত সর্বাধিক ব্যয়সাপেক্ষ ৫০টি প্রকল্পের তালিকা প্রণয়ন করে এসব প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী তাঁর সভাপতিত্বে প্রায় প্রতি সপ্তাহে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জননীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়নের ভিত্তি মজবুত ও তথ্যভিত্তিক করার লক্ষ্যে আমরা পুনরুজ্জীবিত করেছি পরিসংখ্যান বিভাগকে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়কালে এডিপি বাবদ ১৯ হাজার ৫২২ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময় ব্যয় করা হয়েছিল ১৪ হাজার ৮৮ কোটি টাকা।
আলোচ্য সময়কালে অবশ্য এডিপির মোট ব্যয় করা অর্থের মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে প্রাপ্ত অর্থ থেকে ব্যয় করা হয়েছে ১২ হাজার ২৯১ কোটি টাকা। বাকি সাত হাজার ২৩১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে প্রকল্প সাহায্য বাবদ প্রাপ্ত অর্থ থেকে।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, সংশোধিত এডিপিতে যে পরিমাণ টাকা (্স্থানীয় মুদ্রা) বরাদ্দ করা হয়েছিল, তার ৮৯ শতাংশ ছাড় করা হয়েছে। বিপরীতে বরাদ্দ করা ১৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার ৭১ শতাংশ ব্যয় করা হয়েছে।
এই বাস্তবতায় অর্থবছর শেষে এডিপি বাস্তবায়নের হার মোট সংশোধিত বরাদ্দের ৯০ শতাংশের নিচে থাকবে বলে ধারণা করা যায়।
২০০৯-১০ অর্থবছরের জন্য প্রথমে ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নির্ধারণ করা হয়। পরে তা সংশোধন করে কমিয়ে ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
তবে এডিপির আয়তন কমলেও এডিপিতে উন্নয়ন প্রকল্পের সংখ্যা ৮৮৬টি থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৫৮টি করা হয়েছে।
এডিপি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পল্লী-কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, ‘যদি গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট না থাকত, তাহলে এবার এডিপি বাস্তবায়নের হার অনেক ভালো হতো। আর তাই আগামী বছর সরকারকে এদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।’
এডিপির পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই ১১ মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এডিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে। এই সময়কালে বরাদ্দের প্রায় ৯৭ শতাংশ ব্যয় করতে পেরেছে মন্ত্রণালয়টি।
গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৭৫ শতাংশ, কৃষি মন্ত্রণালয় ৭৩, বিদ্যুৎ বিভাগ ৫৪, সড়ক ও রেলপথ বিভাগ ৬২ শতাংশ হারে এডিপির বরাদ্দ বাস্তবায়ন করেছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থানকালে তাঁর বক্তৃতায় এডিপি প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘গত বাজেট বক্তৃতায় আমি বলেছিলাম, আমাদের সামনে বড় চ্যলেঞ্জ হলো বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন হার বাড়াতে আমি পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছিলাম। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি একনেক সভায় দুটি করে মন্ত্রণালয়/বিভাগের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া বৃহৎ ১০টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের এডিপি বাস্তবায়নে বিশেষ নজরদারির জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং বৈদেশিক সাহায্যপ্রাপ্ত সর্বাধিক ব্যয়সাপেক্ষ ৫০টি প্রকল্পের তালিকা প্রণয়ন করে এসব প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী তাঁর সভাপতিত্বে প্রায় প্রতি সপ্তাহে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জননীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়নের ভিত্তি মজবুত ও তথ্যভিত্তিক করার লক্ষ্যে আমরা পুনরুজ্জীবিত করেছি পরিসংখ্যান বিভাগকে।’
No comments