তাড়াহুড়োয় ছন্দপতন
ছোট ছোট পাসে নিচ থেকে সংগঠিত হও, তারপর আক্রমণে ওঠো—গ্রুপ পর্বের এই খেলাটা দ্বিতীয় রাউন্ডে বদলে ফেলল ব্রাজিল।
কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইটা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা সহজে পেরিয়ে গেল দ্রুত আক্রমণে ওঠার ছক বাস্তবায়ন করে। এই ব্রাজিল বল চালাচালি করেনি, দু-তিনটা পাস খেলেই চলে গিয়েছে উদ্দেশ্য পূরণ করতে—মানে গোল আদায়ে।
এটা করতে গিয়ে ছন্দপতন। মিস পাসের ছড়াছড়ি। দ্রুত খেলতে চাইলে মিস পাস হবেই। কিন্তু ব্রাজিলের কাছে তা অপ্রত্যাশিত। পাসে কখনো গতি ছিল কম, কখনো বেশি। সবচেয়ে বেশি মিস পাস করল এদিন একাদশে সুযোগ পাওয়া দানি আলভেজ, রামিরেসও কম যায়নি। মিস পাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারেনি কাকাও!
ব্রাজিলের খেলাটা ছিল এমন—রক্ষণ থেকে বেরিয়েই দ্রুত অ্যাটাকিং থার্ডে চলে যাওয়া। ফ্লাংক ব্যবহারের দরকার নেই। তাই ক্রস হয়ইনি বলতে গেলে। তা না হোক, আক্রমণে খেলোয়াড়-সংখ্যা কম থাকুক, দ্রুত মাঝমাঠ পেরিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়ো। প্রতিপক্ষ রক্ষণ তখনো হয়তো সংগঠিত হয়নি। চিলির রক্ষণ এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে খুব একটা পারঙ্গম নয়, হয়তো এটা ভেবেই দুঙ্গার নেওয়া কৌশলটা কার্যকরই ছিল বলব।
কৌশলের চেয়ে দৃষ্টিসুখকর ফুটবল কতটা খেলল ব্রাজিল, সেটিই অনেকের কাছে বড় প্রশ্ন। এই ব্রাজিল সামগ্রিকভাবে ছন্দ ফিরে পেয়েছে, তবে ব্রাজিলীয় ফুটবলের চিরন্তন সেই ওয়ান টাচ, সুন্দর একটা ব্যাক হিল, দু-তিনজনের মাঝখান দিয়ে বল বের করার চেষ্টা—অসাধারণ এই কাজগুলো ভালোভাবে হয়নি।
রবিনহো, কাকা, আলভেজদের নেওয়া শট ছিল এলোমেলো। তিনটে গোল এলেও আরেকটু ভালো আশা করেছিলাম এই খেলোয়াড়দের কাছ থেকে। মেসি যেমন গোল না পেলেও অনটার্গেট রাখছে তার সব শটই, ব্রাজিলিয়ানদের এটা ঠিকভাবে হচ্ছে না।
আর কাকা? আবার সে ছন্দ হারিয়েছে। ডাবল হলুদ কার্ড পাওয়া ম্যাচেই বরং উজ্জ্বল ছিল ব্রাজিল প্লে-মেকার। তবে এদিন একেবারে নিষ্প্রভও নয়। চমৎকার গোল করিয়ে গোল তৈরির ক্ষমতাটা ঠিকই দেখিয়েছে কাকা।
ভাববেন না শুধু সমালোচনাই করব ব্রাজিলের। এই ব্রাজিলের কাছে প্রত্যাশা বেশি বলে খুঁত ধরছি, তবে এটাও ঠিক দাপট দেখিয়েই তারা জিতল। খেলায় অনেক ভালো দিকও ছিল। প্রথম ৫-৭ মিনিট চিলির দৌড়াদৌড়ি, অ্যাটাকিং থার্ডে ঢোকা—ফণা তুলতে যাওয়া চিলিকে দারুণভাবে বশ মানাল ব্রাজিল। ফ্লাংক থেকে চিলিকে ক্রস করতে দেয়নি। নিজেদের ডিফেন্ডিং থার্ডে ঢুকতে না দিয়ে মাঝমাঠেই ভোঁতা করে দিয়েছে।
ব্রাজিল রক্ষণের কৃতিত্ব এটা। চিলির ফরোয়ার্ডদের বক্সের ভেতর থেকে শট তেমন নিতে দেয়নি লুসিওর রক্ষণ, যা ছিল ‘ফোর ইন লাইন’।
কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইটা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা সহজে পেরিয়ে গেল দ্রুত আক্রমণে ওঠার ছক বাস্তবায়ন করে। এই ব্রাজিল বল চালাচালি করেনি, দু-তিনটা পাস খেলেই চলে গিয়েছে উদ্দেশ্য পূরণ করতে—মানে গোল আদায়ে।
এটা করতে গিয়ে ছন্দপতন। মিস পাসের ছড়াছড়ি। দ্রুত খেলতে চাইলে মিস পাস হবেই। কিন্তু ব্রাজিলের কাছে তা অপ্রত্যাশিত। পাসে কখনো গতি ছিল কম, কখনো বেশি। সবচেয়ে বেশি মিস পাস করল এদিন একাদশে সুযোগ পাওয়া দানি আলভেজ, রামিরেসও কম যায়নি। মিস পাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারেনি কাকাও!
ব্রাজিলের খেলাটা ছিল এমন—রক্ষণ থেকে বেরিয়েই দ্রুত অ্যাটাকিং থার্ডে চলে যাওয়া। ফ্লাংক ব্যবহারের দরকার নেই। তাই ক্রস হয়ইনি বলতে গেলে। তা না হোক, আক্রমণে খেলোয়াড়-সংখ্যা কম থাকুক, দ্রুত মাঝমাঠ পেরিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়ো। প্রতিপক্ষ রক্ষণ তখনো হয়তো সংগঠিত হয়নি। চিলির রক্ষণ এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে খুব একটা পারঙ্গম নয়, হয়তো এটা ভেবেই দুঙ্গার নেওয়া কৌশলটা কার্যকরই ছিল বলব।
কৌশলের চেয়ে দৃষ্টিসুখকর ফুটবল কতটা খেলল ব্রাজিল, সেটিই অনেকের কাছে বড় প্রশ্ন। এই ব্রাজিল সামগ্রিকভাবে ছন্দ ফিরে পেয়েছে, তবে ব্রাজিলীয় ফুটবলের চিরন্তন সেই ওয়ান টাচ, সুন্দর একটা ব্যাক হিল, দু-তিনজনের মাঝখান দিয়ে বল বের করার চেষ্টা—অসাধারণ এই কাজগুলো ভালোভাবে হয়নি।
রবিনহো, কাকা, আলভেজদের নেওয়া শট ছিল এলোমেলো। তিনটে গোল এলেও আরেকটু ভালো আশা করেছিলাম এই খেলোয়াড়দের কাছ থেকে। মেসি যেমন গোল না পেলেও অনটার্গেট রাখছে তার সব শটই, ব্রাজিলিয়ানদের এটা ঠিকভাবে হচ্ছে না।
আর কাকা? আবার সে ছন্দ হারিয়েছে। ডাবল হলুদ কার্ড পাওয়া ম্যাচেই বরং উজ্জ্বল ছিল ব্রাজিল প্লে-মেকার। তবে এদিন একেবারে নিষ্প্রভও নয়। চমৎকার গোল করিয়ে গোল তৈরির ক্ষমতাটা ঠিকই দেখিয়েছে কাকা।
ভাববেন না শুধু সমালোচনাই করব ব্রাজিলের। এই ব্রাজিলের কাছে প্রত্যাশা বেশি বলে খুঁত ধরছি, তবে এটাও ঠিক দাপট দেখিয়েই তারা জিতল। খেলায় অনেক ভালো দিকও ছিল। প্রথম ৫-৭ মিনিট চিলির দৌড়াদৌড়ি, অ্যাটাকিং থার্ডে ঢোকা—ফণা তুলতে যাওয়া চিলিকে দারুণভাবে বশ মানাল ব্রাজিল। ফ্লাংক থেকে চিলিকে ক্রস করতে দেয়নি। নিজেদের ডিফেন্ডিং থার্ডে ঢুকতে না দিয়ে মাঝমাঠেই ভোঁতা করে দিয়েছে।
ব্রাজিল রক্ষণের কৃতিত্ব এটা। চিলির ফরোয়ার্ডদের বক্সের ভেতর থেকে শট তেমন নিতে দেয়নি লুসিওর রক্ষণ, যা ছিল ‘ফোর ইন লাইন’।
No comments