পাকিস্তানের সিনেটে ১৮তম সংশোধনী বিল পাস
পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতভাবে সংবিধান সংশোধনীবিষয়ক বিলটি পাস হয়েছে। ‘১৮তম সংশোধনী বিল’ নামে এ বিল পাস হওয়ার ফলে এককভাবে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া ও প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার ক্ষমতা হারাবেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। এর আগে গত সপ্তাহে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে এই বিল পাস হয়েছিল।
গতকাল সিনেটে সংশোধনী বিলের ওপর ভোটাভুটির সময় ৯০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সদস্যদের সবাই সংশোধনীর পক্ষে ভোট দেন। বিপক্ষে কোনো ভোট পড়েনি। পাকিস্তানের সিনেটের আসন সংখ্যা ১০০।
এই বিল পাসের ফলে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের নাম বদলে যাবে। ওই প্রদেশের নাম হবে খাইবার-পাখতুনখা।
ভোটাভুটির পর প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি সিনেটে বলেন, এটা গণতন্ত্রের বিজয়। এ বিল অনুমোদন পাকিস্তানের সংবিধানের ইতিহাসে একটি মাইলফলক।
সিনেটে দেওয়া ভাষণে গিলানি বলেন, ১৮তম সংশোধনী বিলে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ছিল শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত। প্রধানমন্ত্রী গিলানি আরও বলেন, তাঁর ধারণা পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ এবং এমনকি বিরোধীরাও একই অবস্থানে ছিলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে সেনাবাহিনী। ১৮তম সংশোধনী বিল পাস করায় গোটা জাতি সিনেট নিয়ে গর্বিত।
এ বিল পাস হওয়ার ফলে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি নামমাত্র রাষ্ট্রপ্রধানে পরিণত হবেন। তিনি এখন প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে আনুষ্ঠানিকভাবে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের নিয়োগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমেই কেবল জাতীয় পরিষদ ভাঙতে ও প্রাদেশিক গভর্নরদের নিয়োগ দিতে পারবেন।
১৮তম সংশোধনীতে সংবিধানের ৫৮-২(বি) ধারা বাতিল করা হয়েছে। এতে কারও তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। বিল অনুযায়ী একটি জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করা হবে। যে কমিশন উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ দেবে।
অনেকে বলছেন, সংবিধান থেকে জেনারেল জিয়াউল হকের নাম মুছে দিয়ে বড় ধরনের মাইলফলক অতিক্রম করল সিনেট।
সংবিধান সংশোধনীবিষয়ক বিলটি এখন স্বাক্ষরের জন্য প্রেসিডেন্ট জারদারির কাছে পাঠানো হবে। এর পর এটি আইনে পরিণত হবে। এ সংশোধনীর ফলে পরমাণু শক্তিধর এ দেশটির রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা কিছুটা হলেও দূর হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
গতকাল সিনেটে সংশোধনী বিলের ওপর ভোটাভুটির সময় ৯০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সদস্যদের সবাই সংশোধনীর পক্ষে ভোট দেন। বিপক্ষে কোনো ভোট পড়েনি। পাকিস্তানের সিনেটের আসন সংখ্যা ১০০।
এই বিল পাসের ফলে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের নাম বদলে যাবে। ওই প্রদেশের নাম হবে খাইবার-পাখতুনখা।
ভোটাভুটির পর প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি সিনেটে বলেন, এটা গণতন্ত্রের বিজয়। এ বিল অনুমোদন পাকিস্তানের সংবিধানের ইতিহাসে একটি মাইলফলক।
সিনেটে দেওয়া ভাষণে গিলানি বলেন, ১৮তম সংশোধনী বিলে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ছিল শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত। প্রধানমন্ত্রী গিলানি আরও বলেন, তাঁর ধারণা পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ এবং এমনকি বিরোধীরাও একই অবস্থানে ছিলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে সেনাবাহিনী। ১৮তম সংশোধনী বিল পাস করায় গোটা জাতি সিনেট নিয়ে গর্বিত।
এ বিল পাস হওয়ার ফলে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি নামমাত্র রাষ্ট্রপ্রধানে পরিণত হবেন। তিনি এখন প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে আনুষ্ঠানিকভাবে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের নিয়োগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমেই কেবল জাতীয় পরিষদ ভাঙতে ও প্রাদেশিক গভর্নরদের নিয়োগ দিতে পারবেন।
১৮তম সংশোধনীতে সংবিধানের ৫৮-২(বি) ধারা বাতিল করা হয়েছে। এতে কারও তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। বিল অনুযায়ী একটি জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করা হবে। যে কমিশন উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ দেবে।
অনেকে বলছেন, সংবিধান থেকে জেনারেল জিয়াউল হকের নাম মুছে দিয়ে বড় ধরনের মাইলফলক অতিক্রম করল সিনেট।
সংবিধান সংশোধনীবিষয়ক বিলটি এখন স্বাক্ষরের জন্য প্রেসিডেন্ট জারদারির কাছে পাঠানো হবে। এর পর এটি আইনে পরিণত হবে। এ সংশোধনীর ফলে পরমাণু শক্তিধর এ দেশটির রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা কিছুটা হলেও দূর হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
No comments