পরমাণু সম্মেলনের পর বিশ্ব এখন বেশি নিরাপদ: ওবামা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, বিশ্ব এখন অধিকতর নিরাপদ। পরমাণু নিরাপত্তা সম্মেলনে বিশ্বের ৪৭টি দেশ আগামী চার বছরের মধ্যে অরক্ষিত পরমাণু উপকরণ সন্ত্রাসীদের হাতে পৌঁছানোর সব পথ বন্ধ করার ব্যাপারে একমত হওয়ায় তাঁরা এখন অধিকতর নিরাপত্তাবোধ করছেন। মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে দুই দিনব্যাপী পরমাণু নিরাপত্তা সম্মেলনের শেষ দিনে তিনি এ কথা বলেন। খবর এএফপির।
ওবামা ওই সম্মেলনে আরও বলেন, ‘আমরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি তার ফলে মার্কিন জনগণের নিরাপত্তা আরও বাড়বে। একই সঙ্গে বিশ্বের নিরাপত্তা হবে আরও সুসংহত।’
ওবামা বলেন, ‘অনেক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। এসব গোষ্ঠীর হাতে এ-জাতীয় অস্ত্র পৌঁছালে বিশ্বে মহাবিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে। তাই পরমাণু অস্ত্র তৈরির উপকরণ যাতে তাদের হাতে পৌঁছাতে না পারে, সে ব্যাপারে বিশ্ববাসীকে সজাগ থাকতে হবে।’
এদিকে সম্মেলনের সমাপনী দিনে মঙ্গলবার সমবেত বিশ্বনেতারা একটি যৌথ ঘোষণা দেন। এতে তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়, অরক্ষিত পরমাণু সরঞ্জামের সুরক্ষায় প্রেসিডেন্ট ওবামা যে উদ্যোগ নিয়েছেন আমরা তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও আমরা একযোগে কাজ করে যাব।
সম্মেলনে বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া গেছে। ইউক্রেন, মেক্সিকো ও কানাডার পক্ষ থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন বন্ধের স্বতঃস্ফূর্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সম্মেলনের কিছু দিন আগে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু অস্ত্রের ভান্ডার কমিয়ে আনার ব্যাপারে একটি চুক্তি করে। ওই চুক্তি অনুযায়ী এ দুটি দেশ ৩৪ টন করে প্লুটোনিয়াম ধ্বংস করবে। এটি পরমাণু অস্ত্র তৈরির মূল উপাদান। এ পরিমাণ প্লুটোনিয়াম দিয়ে ১৭০০ পরমাণু বোমা তৈরি সম্ভব।
ওয়াশিংটন সম্মেলনে পরমাণু উপকরণ পাচাররোধে তথ্য ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে একে অন্যকে সহযোগিতা করারও অঙ্গীকার করা হয়।
ওবামা ওই সম্মেলনে আরও বলেন, ‘আমরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি তার ফলে মার্কিন জনগণের নিরাপত্তা আরও বাড়বে। একই সঙ্গে বিশ্বের নিরাপত্তা হবে আরও সুসংহত।’
ওবামা বলেন, ‘অনেক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। এসব গোষ্ঠীর হাতে এ-জাতীয় অস্ত্র পৌঁছালে বিশ্বে মহাবিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে। তাই পরমাণু অস্ত্র তৈরির উপকরণ যাতে তাদের হাতে পৌঁছাতে না পারে, সে ব্যাপারে বিশ্ববাসীকে সজাগ থাকতে হবে।’
এদিকে সম্মেলনের সমাপনী দিনে মঙ্গলবার সমবেত বিশ্বনেতারা একটি যৌথ ঘোষণা দেন। এতে তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়, অরক্ষিত পরমাণু সরঞ্জামের সুরক্ষায় প্রেসিডেন্ট ওবামা যে উদ্যোগ নিয়েছেন আমরা তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও আমরা একযোগে কাজ করে যাব।
সম্মেলনে বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া গেছে। ইউক্রেন, মেক্সিকো ও কানাডার পক্ষ থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন বন্ধের স্বতঃস্ফূর্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সম্মেলনের কিছু দিন আগে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু অস্ত্রের ভান্ডার কমিয়ে আনার ব্যাপারে একটি চুক্তি করে। ওই চুক্তি অনুযায়ী এ দুটি দেশ ৩৪ টন করে প্লুটোনিয়াম ধ্বংস করবে। এটি পরমাণু অস্ত্র তৈরির মূল উপাদান। এ পরিমাণ প্লুটোনিয়াম দিয়ে ১৭০০ পরমাণু বোমা তৈরি সম্ভব।
ওয়াশিংটন সম্মেলনে পরমাণু উপকরণ পাচাররোধে তথ্য ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে একে অন্যকে সহযোগিতা করারও অঙ্গীকার করা হয়।
No comments