কাসাবের উপস্থিতি মুম্বাইয়ের মনোরেল পরিকল্পনা পরিবর্তনে বাধ্য করছে by দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী
মুম্বাই হামলায় অংশ নেওয়া একমাত্র জীবিত জঙ্গি আজমল আমির কাসাব ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানীর জন্য নতুন সমস্যা তৈরি করেছেন। তাঁর কারণে এখন শহরে মনোরেল স্থাপন পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে মুম্বাইয়ের আর্থার রোডের কারাগারে আটক রয়েছেন কাসাব। মূলত তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই মনোরেল স্থাপন পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এতে এ প্রকল্পের ব্যয়ও অনেকখানি বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
মুম্বাইয়ে মনোরেল স্থাপন প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত একজন প্রকৌশলী বলেন, অতিরিক্ত ৭২০ মিটার দীর্ঘ রেলপথ স্থাপন করতে হলে প্রকল্পের ব্যয় ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। এক কিলোমিটার মনোরেললাইন বসাতে ১২৩ কোটি রুপি খরচ হয়। ওই হিসাবে ৭২০ মিটারের জন্য ৮৮ কোটি রুপির বেশি খরচ পড়বে। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, আর্থার রোডের কারাগার থেকে রেলপথ দূরে সরাতে অতিরিক্ত ৩৯ থেকে ৪৪ কোটি রুপি খরচ হতে পারে।
কর্মকর্তারা জানান, শহরের আর্থার রোড পুলিশ চৌকি থেকে জ্ঞানাচার্য স্কয়ার পর্যন্ত মনোরেলপথের নকশা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। ভূগর্ভস্থ বিভিন্ন সেবা সরবরাহ লাইন এবং ওই এলাকার সড়কব্যবস্থাও প্রকল্পের নকশা পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। তবে মূল কারণটি হলো কাসাবের নিরাপত্তা। মনোরেলপথটি কারাগার থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়া হবে, যাতে যাত্রীরা ট্রেন থেকে কারা প্রাঙ্গণ দেখতে না পায় বা সেখানে কোনো কিছু ছুড়ে ফেলতে না পারে।
নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, কাসাবের মুখ চিরতরে বন্ধ করতে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে সন্ত্রাসীরা। তাই মনোরেলপথের উচ্চতাও কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। সাধারণত আট মিটার উঁচুতে রেলপথ স্থাপন করা হলেও সেখানে পৌনে সাত মিটার উচ্চতায় ওই রেলপথ স্থাপনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
মুম্বাই মেট্রোপলিটন রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এমএমআরডিএ) যুগ্ম কমিশনার অশ্বিনী ভিদে বলেন, আর্থার রোড কারাগার এলাকায় রেলপথের নকশা পরিবর্তনের মূল কারণ নিরাপত্তার শঙ্কা। এই পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পের ব্যয় কী পরিমাণ বাড়বে, তা তাত্ক্ষণিকভাবে হিসাব করা হয়নি।
কর্মকর্তারা জানান, নকশা চূড়ান্ত করে তা অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। পুরো রেলপথটির উচ্চতায়ও পরিবর্তন আনা হতে পারে। সম্প্রতি দায়িত্বে আসা মুম্বাই পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার নাভাল বাজাজ জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে বিস্তারিত না জেনে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাইছেন না।
মুম্বাই শহরে একটি ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মনোরেলপথ স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে নগর কর্তৃপক্ষ। ভারতের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহরটির আড়াই লাখ বাসিন্দা এর সুবিধা পাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রেলপথে ১৮টি স্টেশন থাকবে এবং দিনে ১৫টি ট্রেন চলবে।
মুম্বাইয়ে মনোরেল স্থাপন প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত একজন প্রকৌশলী বলেন, অতিরিক্ত ৭২০ মিটার দীর্ঘ রেলপথ স্থাপন করতে হলে প্রকল্পের ব্যয় ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। এক কিলোমিটার মনোরেললাইন বসাতে ১২৩ কোটি রুপি খরচ হয়। ওই হিসাবে ৭২০ মিটারের জন্য ৮৮ কোটি রুপির বেশি খরচ পড়বে। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, আর্থার রোডের কারাগার থেকে রেলপথ দূরে সরাতে অতিরিক্ত ৩৯ থেকে ৪৪ কোটি রুপি খরচ হতে পারে।
কর্মকর্তারা জানান, শহরের আর্থার রোড পুলিশ চৌকি থেকে জ্ঞানাচার্য স্কয়ার পর্যন্ত মনোরেলপথের নকশা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। ভূগর্ভস্থ বিভিন্ন সেবা সরবরাহ লাইন এবং ওই এলাকার সড়কব্যবস্থাও প্রকল্পের নকশা পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। তবে মূল কারণটি হলো কাসাবের নিরাপত্তা। মনোরেলপথটি কারাগার থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়া হবে, যাতে যাত্রীরা ট্রেন থেকে কারা প্রাঙ্গণ দেখতে না পায় বা সেখানে কোনো কিছু ছুড়ে ফেলতে না পারে।
নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, কাসাবের মুখ চিরতরে বন্ধ করতে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে সন্ত্রাসীরা। তাই মনোরেলপথের উচ্চতাও কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। সাধারণত আট মিটার উঁচুতে রেলপথ স্থাপন করা হলেও সেখানে পৌনে সাত মিটার উচ্চতায় ওই রেলপথ স্থাপনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
মুম্বাই মেট্রোপলিটন রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এমএমআরডিএ) যুগ্ম কমিশনার অশ্বিনী ভিদে বলেন, আর্থার রোড কারাগার এলাকায় রেলপথের নকশা পরিবর্তনের মূল কারণ নিরাপত্তার শঙ্কা। এই পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পের ব্যয় কী পরিমাণ বাড়বে, তা তাত্ক্ষণিকভাবে হিসাব করা হয়নি।
কর্মকর্তারা জানান, নকশা চূড়ান্ত করে তা অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। পুরো রেলপথটির উচ্চতায়ও পরিবর্তন আনা হতে পারে। সম্প্রতি দায়িত্বে আসা মুম্বাই পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার নাভাল বাজাজ জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে বিস্তারিত না জেনে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাইছেন না।
মুম্বাই শহরে একটি ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মনোরেলপথ স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে নগর কর্তৃপক্ষ। ভারতের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহরটির আড়াই লাখ বাসিন্দা এর সুবিধা পাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রেলপথে ১৮টি স্টেশন থাকবে এবং দিনে ১৫টি ট্রেন চলবে।
No comments