নতুন ১০টি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা ইরানের
আগামী ইরানি বছরে ১০টি নতুন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছে ইরান। গত রোববার সন্ধ্যায় ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলী আকবর সালেহি এ কথা বলেছেন। তাঁর ওই বক্তব্যের পর পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তেহরানের উত্তেজনা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২১ মার্চ ইরানি বছর শুরু হয়।
গত রোববার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ তেহরানের একটি পারমাণবিক চুল্লির জন্য ভালো মানের পরমাণুজ্বালানি তৈরির কাজ শুরু করতে ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থাকে নির্দেশনা দেন। প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্যের পর গত রোববার আলী আকবর সালেহি এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
ইরানের এই ঘোষণার ফলে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তাদের বিরোধের ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে আহমাদিনেজাদ বলেন, পরমাণুজ্বালানি বিনিময় নিয়ে সংলাপ এখনো সম্ভব।
ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান সালেহি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিদর্শকদের উপস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ২০ শতাংশে উন্নীত করার কাজ শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, ওই পদক্ষেপ সম্পর্কে গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভিয়েনাভিত্তিক জাতিসংঘ সংস্থা আইএইএকে অবহিত করবে তেহরান। ইরানের আরবি ভাষার টেলিভিশন আল-আলম এ কথা জানায়। এর আগে সালেহি বলেন, নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রে ওই উত্পাদনের কাজ চলবে।
সালেহি বলেন, ইরানকে যদি বিদেশ থেকে ২০ শতাংশ সমৃদ্ধ জ্বালানি দেওয়া হয় তাহলে উত্পাদনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইরান বলেছে, ভালো মানের জ্বালানির জন্য নিজেদের স্বল্পসমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বিদেশে পাঠাতে তারা প্রস্তুত। তবে জাতিসংঘ প্রণীত পরিকল্পনার সংশোধনী চেয়েছে তেহরান।
গত নভেম্বরে ১০টি নতুন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিল ইরান। কিন্তু তখন কোনো সময়সীমা ঘোষণা করা হয়নি। পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা ইরানের পরমাণু কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে বোমা তৈরি। কিন্তু ইরান ওই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
সালেহিকে উদ্ধৃত করে আল-আলম টেলিভিশন জানায়, আগামী বছর ইরান ১০টি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নির্মাণ করবে।
সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম জ্বালানি হিসেবে পরমাণু শক্তি কেন্দ্রে ব্যবহূত হয়। যদি সেটা আরও শোধিত করা হয় তাহলে বোমা তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ইরান বর্তমানে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য ৮০ শতাংশ বা এর চেয়েও বেশি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন।
গত রোববার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ তেহরানের একটি পারমাণবিক চুল্লির জন্য ভালো মানের পরমাণুজ্বালানি তৈরির কাজ শুরু করতে ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থাকে নির্দেশনা দেন। প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্যের পর গত রোববার আলী আকবর সালেহি এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
ইরানের এই ঘোষণার ফলে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তাদের বিরোধের ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে আহমাদিনেজাদ বলেন, পরমাণুজ্বালানি বিনিময় নিয়ে সংলাপ এখনো সম্ভব।
ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান সালেহি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিদর্শকদের উপস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ২০ শতাংশে উন্নীত করার কাজ শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, ওই পদক্ষেপ সম্পর্কে গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভিয়েনাভিত্তিক জাতিসংঘ সংস্থা আইএইএকে অবহিত করবে তেহরান। ইরানের আরবি ভাষার টেলিভিশন আল-আলম এ কথা জানায়। এর আগে সালেহি বলেন, নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রে ওই উত্পাদনের কাজ চলবে।
সালেহি বলেন, ইরানকে যদি বিদেশ থেকে ২০ শতাংশ সমৃদ্ধ জ্বালানি দেওয়া হয় তাহলে উত্পাদনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইরান বলেছে, ভালো মানের জ্বালানির জন্য নিজেদের স্বল্পসমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বিদেশে পাঠাতে তারা প্রস্তুত। তবে জাতিসংঘ প্রণীত পরিকল্পনার সংশোধনী চেয়েছে তেহরান।
গত নভেম্বরে ১০টি নতুন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিল ইরান। কিন্তু তখন কোনো সময়সীমা ঘোষণা করা হয়নি। পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা ইরানের পরমাণু কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে বোমা তৈরি। কিন্তু ইরান ওই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
সালেহিকে উদ্ধৃত করে আল-আলম টেলিভিশন জানায়, আগামী বছর ইরান ১০টি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নির্মাণ করবে।
সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম জ্বালানি হিসেবে পরমাণু শক্তি কেন্দ্রে ব্যবহূত হয়। যদি সেটা আরও শোধিত করা হয় তাহলে বোমা তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ইরান বর্তমানে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য ৮০ শতাংশ বা এর চেয়েও বেশি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন।
No comments