সবার ওপরে ওঁরা তিনজন by বদিউজ্জামান
ব্যাপারটা নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে। ১৯৮৪ সালে কাঠমান্ডু থেকে শুরু। প্রতিবার দক্ষিণ এশীয় গেমস শেষেই একই চিত্র—পদক তালিকায় সবার ওপরে ভারত। এবারও ৯০টি সোনা জিতে তারাই এসএ গেমস সেরা। কি ব্যক্তিগত, কি দলগত সব জায়গাতেই ভারতের দাপট। ব্যক্তিগত সাফল্যেও যে এই দেশটার খেলোয়াড়েরাই উদ্ভাসিত হবেন, এ আর নতুন কি?
১৫৮টি সোনার লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি সোনা কে জিতলেন? অবশ্যই ভারতের খেলোয়াড়। তবে একজন নয়, একাধিক খেলোয়াড় জিতেছেন সবচেয়ে বেশি সোনা। ৪টি করে সোনা জিতেছেন ভারতের শ্যুটার ওমপ্রকাশ, সুরেন্দ্র সিং রাঠোর ও টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মাধুরিকা সুহাস পাটকার।
৫০ মিটার পিস্তলে ব্যক্তিগত ও দলগত ইভেন্টে সোনা জিতেছেন ওমপ্রকাশ, সোনা জিতেছেন ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের ব্যক্তিগত ও দলগত দুটোতেও। সুরেন্দ্র সিং রাঠোর প্রথমে সোনা জেতেন ৫০ মিটার রাইফেলের প্রোনের ব্যক্তিগত ইভেন্টে, এরপর সোনা জেতেন দলগতভাবেও। ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনের দলগত ও ব্যক্তিগত সোনা জিতেছেন রাঠোর। টেবিল টেনিসে মেয়েদের একক, মেয়েদের দ্বৈত, মিশ্র দ্বৈত ও দলগত সোনা জিতেছেন মাধুরিকা সুহাস পাটকার।
আগামী অক্টোবরেই দিল্লিতে কমনওয়েলথ গেমস। এরপর শুটিংয়ের বিশ্বকাপ, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। এসবের আগে এসএ গেমসে নিজেদের ঝালাই করে নেওয়ার দারুণ একটা উপলক্ষই পেলেন ভারতের শ্যুটাররা। প্রস্তুতিটা কেমন হলো, পদক তালিকা দেখলেই বোঝা যায় সেটা। শুটিং থেকে ভারত জিতেছে মোট ৩৩টা পদক। এর মধ্যে সোনা ১৯টি। সবচেয়ে বেশি পদক জিতে বেশ তৃপ্ত গুজরাটের ছেলে সুরেন্দর সিং রাঠোর, ‘৪টা সোনা জিততে পেরে খুবই ভালো লাগছে। সামনেই কমনওয়েলথ গেমস। সেটির জন্য ভালো একটা প্রস্তুতি হলো এখানে।’ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন সুরেন্দর। শ্যুটিংয়ের জন্য সারা বছরই রাজস্থানের মাউয়ের ক্যাম্পে থাকতে হয়। সেখান থেকেই উঠে এসেছেন ভারতের অলিম্পিক রুপাজয়ী শ্যুটার রাজ্য বর্ধন সিং রাঠোর।
সুরেন্দর সিংয়ের চোখ অলিম্পিক সোনাতে। সেই লক্ষ্যেই চলছে তার নিরলস প্রস্তুতি। অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিয়ে এসএ গেমসের মতো আসরে বড় কিছু আশা করাই যায়। সুরেন্দরও যেন আগেই বুঝতে পেরেছিলেন সে রকম কিছুই হবে, ‘আমি যে রকম কঠোর পরিশ্রম করেছি, তাতে আশাবাদী ছিলাম একাধিক সোনা জিতব। আমার সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।’ সুরেন্দর সিংয়ের মতো সেনাবাহিনীতে চাকরি করছেন আরেক ভারতীয় শ্যুটার ওমপ্রকাশ। এসএ গেমসে পাওয়া সাফল্যকে পরিশ্রমের ফল বলছেন তিনিও, ‘যে রকম অখণ্ড মনোযোগে অনুশীলন করেছি তাতে চারটা সোনা আমার প্রাপ্যই ছিল। আশা করি কমনওয়েলথেও সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারব।’ ভারতীয় শ্যুটিং দলের কোচ তেজিন্দর সিং ঢিল্লোন দলের এমন পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি, ‘এখানে আমাদের সেরা দলটি নিয়ে আসিনি। দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও যে ফলাফল করলাম তাতে আমি দারুণ খুশি।’
টেবিল টেনিসে ভারতের উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবেই ধরা যায় টিনএজ মাধুরিকা সুহাস পাটকারকে। প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশীয় গেমসে খেলতে এসেই বাজিমাত করলেন মহারাষ্ট্রের এই তরুণী। এতটা ভালো ফল করবেন নিজেও নাকি ভাবেননি, ‘এটা আমার ক্যারিয়ারের প্রথম এসএ গেমস। প্রথমবারেই যে ৪টি সোনা জিতব সেটা আমি কল্পনাও করিনি। আমার মনে হচ্ছে, ভারতের জন্য আমি অনেক কিছু করতে পেরেছি। সামনেই কমনওয়েলথ গেমস। আশা করি এই সাফল্য সেখানেও ধরে রাখতে পারব।
১৫৮টি সোনার লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি সোনা কে জিতলেন? অবশ্যই ভারতের খেলোয়াড়। তবে একজন নয়, একাধিক খেলোয়াড় জিতেছেন সবচেয়ে বেশি সোনা। ৪টি করে সোনা জিতেছেন ভারতের শ্যুটার ওমপ্রকাশ, সুরেন্দ্র সিং রাঠোর ও টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মাধুরিকা সুহাস পাটকার।
৫০ মিটার পিস্তলে ব্যক্তিগত ও দলগত ইভেন্টে সোনা জিতেছেন ওমপ্রকাশ, সোনা জিতেছেন ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের ব্যক্তিগত ও দলগত দুটোতেও। সুরেন্দ্র সিং রাঠোর প্রথমে সোনা জেতেন ৫০ মিটার রাইফেলের প্রোনের ব্যক্তিগত ইভেন্টে, এরপর সোনা জেতেন দলগতভাবেও। ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনের দলগত ও ব্যক্তিগত সোনা জিতেছেন রাঠোর। টেবিল টেনিসে মেয়েদের একক, মেয়েদের দ্বৈত, মিশ্র দ্বৈত ও দলগত সোনা জিতেছেন মাধুরিকা সুহাস পাটকার।
আগামী অক্টোবরেই দিল্লিতে কমনওয়েলথ গেমস। এরপর শুটিংয়ের বিশ্বকাপ, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। এসবের আগে এসএ গেমসে নিজেদের ঝালাই করে নেওয়ার দারুণ একটা উপলক্ষই পেলেন ভারতের শ্যুটাররা। প্রস্তুতিটা কেমন হলো, পদক তালিকা দেখলেই বোঝা যায় সেটা। শুটিং থেকে ভারত জিতেছে মোট ৩৩টা পদক। এর মধ্যে সোনা ১৯টি। সবচেয়ে বেশি পদক জিতে বেশ তৃপ্ত গুজরাটের ছেলে সুরেন্দর সিং রাঠোর, ‘৪টা সোনা জিততে পেরে খুবই ভালো লাগছে। সামনেই কমনওয়েলথ গেমস। সেটির জন্য ভালো একটা প্রস্তুতি হলো এখানে।’ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন সুরেন্দর। শ্যুটিংয়ের জন্য সারা বছরই রাজস্থানের মাউয়ের ক্যাম্পে থাকতে হয়। সেখান থেকেই উঠে এসেছেন ভারতের অলিম্পিক রুপাজয়ী শ্যুটার রাজ্য বর্ধন সিং রাঠোর।
সুরেন্দর সিংয়ের চোখ অলিম্পিক সোনাতে। সেই লক্ষ্যেই চলছে তার নিরলস প্রস্তুতি। অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিয়ে এসএ গেমসের মতো আসরে বড় কিছু আশা করাই যায়। সুরেন্দরও যেন আগেই বুঝতে পেরেছিলেন সে রকম কিছুই হবে, ‘আমি যে রকম কঠোর পরিশ্রম করেছি, তাতে আশাবাদী ছিলাম একাধিক সোনা জিতব। আমার সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।’ সুরেন্দর সিংয়ের মতো সেনাবাহিনীতে চাকরি করছেন আরেক ভারতীয় শ্যুটার ওমপ্রকাশ। এসএ গেমসে পাওয়া সাফল্যকে পরিশ্রমের ফল বলছেন তিনিও, ‘যে রকম অখণ্ড মনোযোগে অনুশীলন করেছি তাতে চারটা সোনা আমার প্রাপ্যই ছিল। আশা করি কমনওয়েলথেও সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারব।’ ভারতীয় শ্যুটিং দলের কোচ তেজিন্দর সিং ঢিল্লোন দলের এমন পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি, ‘এখানে আমাদের সেরা দলটি নিয়ে আসিনি। দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও যে ফলাফল করলাম তাতে আমি দারুণ খুশি।’
টেবিল টেনিসে ভারতের উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবেই ধরা যায় টিনএজ মাধুরিকা সুহাস পাটকারকে। প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশীয় গেমসে খেলতে এসেই বাজিমাত করলেন মহারাষ্ট্রের এই তরুণী। এতটা ভালো ফল করবেন নিজেও নাকি ভাবেননি, ‘এটা আমার ক্যারিয়ারের প্রথম এসএ গেমস। প্রথমবারেই যে ৪টি সোনা জিতব সেটা আমি কল্পনাও করিনি। আমার মনে হচ্ছে, ভারতের জন্য আমি অনেক কিছু করতে পেরেছি। সামনেই কমনওয়েলথ গেমস। আশা করি এই সাফল্য সেখানেও ধরে রাখতে পারব।
No comments