আলফা এগ্রো কৃষিভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগ বাড়াবে
আলফা এগ্রো লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে নীলফামারীতে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে ভাইরাসমুক্ত আলুবীজ উত্পাদন করছে। এখন তারা নীলফামারীতে আলুবীজ সংরক্ষণে একটি হিমাগার নির্মাণের পাশাপাশি উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপন করতে চায়।
নীলফামারী প্রেসক্লাবে গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে আলফা এগ্রো লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক এ এফ এম বদিউজ্জামান তাঁদের এ পরিকল্পনার কথা জানান।
এদিন সাংবাদিকদের জেলার ডোমার উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া ও দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা গ্রামে বিভিন্ন জাতের আলুবীজ ও টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে জালের ভেতর জীবাণুমুক্ত আলুবীজ উত্পাদন প্রকল্প দেখানোর পরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে তাঁরা ডোমার উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া ও দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা গ্রামে আলফা এগ্রোর প্রায় ৪০০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আলুবীজ এবং প্রায় তিন একর জমিতে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে আলুবীজ উত্পাদন করছেন।
এদিকে আলফা এগ্রোর দেখাদেখি ও তাদের পরামর্শ নিয়ে এলাকার অনেক মানুষও এখন আলুর আবাদ করছেন।
আলফা এগ্রোর কর্মকর্তারা এবং ডাঙ্গাপাড়া ও দেবীডুবা গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জমিতে পানি ধারণের ক্ষমতা কম থাকায় এত দিন সেখানে চাষাবাদ কম হতো। সেখানকার কৃষকেরা পাট ও আমন ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল থাকলেও আশানুরূপ ফলন পেতেন না। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় চার বছর আগে আলফা এগ্রো সেখানে আলুবীজ উত্পাদন শুরু করে। এতে একদিকে যেমন জমির লিজমূল্য বেড়েছে, অন্যদিকে এলাকার জনগণেরও কাজের সংস্থান হয়েছে।
দেবীডুবা গ্রামের কৃষক দুর্লভ চন্দ্র জানান, তাঁর ২০ বিঘা জমি আলফা এগ্রোর কাছে এক বছরের জন্য লিজ দিয়েছেন। আগে যেখানে এক বিঘা জমি বছরে মাত্র ৫০০ টাকাতেও কেউ লিজ নিতে চাইত না, সেখানে এখন তা পাঁচ হাজার টাকায় উঠেছে। এভাবে লাভবান হচ্ছেন অনেকেই।
আলফা এগ্রোর এ প্রকল্পের কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান জানান, জীবাণুমুক্ত আলুবীজ উত্পাদনের জন্য নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলার আবহাওয়া খুবই উপযোগী।
বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির কর্মকর্তা মঞ্জু আলম সরকার জানান, আলফা এগ্রো এখন পর্যন্ত তাদের ছত্রাকনাশক ও মাঠের যেসব নিয়মকানুন মেনে চলা দরকার তা তারা পালন করছে। তবে একটি গাছেও যদি ভাইরাস পাওয়া যায় তাহলে ওই বীজের প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হবে না বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক কে এম নাসিরউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে সম্পূর্ণরূপে জীবাণুমুক্ত আলুবীজ পাওয়া যায়। এজন্য এ অঞ্চলটি দেশের অন্য যেকোনো এলাকার তুলনায় অনেক বেশি উপযোগী।
নীলফামারী প্রেসক্লাবে গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে আলফা এগ্রো লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক এ এফ এম বদিউজ্জামান তাঁদের এ পরিকল্পনার কথা জানান।
এদিন সাংবাদিকদের জেলার ডোমার উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া ও দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা গ্রামে বিভিন্ন জাতের আলুবীজ ও টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে জালের ভেতর জীবাণুমুক্ত আলুবীজ উত্পাদন প্রকল্প দেখানোর পরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে তাঁরা ডোমার উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া ও দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা গ্রামে আলফা এগ্রোর প্রায় ৪০০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আলুবীজ এবং প্রায় তিন একর জমিতে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে আলুবীজ উত্পাদন করছেন।
এদিকে আলফা এগ্রোর দেখাদেখি ও তাদের পরামর্শ নিয়ে এলাকার অনেক মানুষও এখন আলুর আবাদ করছেন।
আলফা এগ্রোর কর্মকর্তারা এবং ডাঙ্গাপাড়া ও দেবীডুবা গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জমিতে পানি ধারণের ক্ষমতা কম থাকায় এত দিন সেখানে চাষাবাদ কম হতো। সেখানকার কৃষকেরা পাট ও আমন ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল থাকলেও আশানুরূপ ফলন পেতেন না। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় চার বছর আগে আলফা এগ্রো সেখানে আলুবীজ উত্পাদন শুরু করে। এতে একদিকে যেমন জমির লিজমূল্য বেড়েছে, অন্যদিকে এলাকার জনগণেরও কাজের সংস্থান হয়েছে।
দেবীডুবা গ্রামের কৃষক দুর্লভ চন্দ্র জানান, তাঁর ২০ বিঘা জমি আলফা এগ্রোর কাছে এক বছরের জন্য লিজ দিয়েছেন। আগে যেখানে এক বিঘা জমি বছরে মাত্র ৫০০ টাকাতেও কেউ লিজ নিতে চাইত না, সেখানে এখন তা পাঁচ হাজার টাকায় উঠেছে। এভাবে লাভবান হচ্ছেন অনেকেই।
আলফা এগ্রোর এ প্রকল্পের কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান জানান, জীবাণুমুক্ত আলুবীজ উত্পাদনের জন্য নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলার আবহাওয়া খুবই উপযোগী।
বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির কর্মকর্তা মঞ্জু আলম সরকার জানান, আলফা এগ্রো এখন পর্যন্ত তাদের ছত্রাকনাশক ও মাঠের যেসব নিয়মকানুন মেনে চলা দরকার তা তারা পালন করছে। তবে একটি গাছেও যদি ভাইরাস পাওয়া যায় তাহলে ওই বীজের প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হবে না বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক কে এম নাসিরউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে সম্পূর্ণরূপে জীবাণুমুক্ত আলুবীজ পাওয়া যায়। এজন্য এ অঞ্চলটি দেশের অন্য যেকোনো এলাকার তুলনায় অনেক বেশি উপযোগী।
No comments