আনন্দ মোহনের ঘটনা
৩০ জানুয়ারি ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের শতবর্ষপূর্তি উৎসবে বিশৃঙ্খলা ও মেয়েদের লাঞ্ছিত করার যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, তা এখন প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। ঘটনার পর কোনো সংবাদমাধ্যমে তা প্রকাশিত না হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। সাংবাদিকের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য হলো সত্য প্রকাশ। কিন্তু সেদিনের ঘটনাটি কোনো পত্রিকায় প্রকাশিত না হওয়ার বিষয়টি বিস্ময়কর। সেখানকার স্থানীয় পত্রপত্রিকার কোনো স্থানীয় সাংবাদিক বিষয়টি জানতে পারেননি, তা হতে পারে না। যদি তাঁরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে খবরটি চেপে গিয়ে থাকেন, তবে তা অন্যায় হয়েছে এবং এতে তাঁদের অপেশাদারি মনোভাবেরও পরিচয় মিলেছে।
ঘটনার খবর প্রকাশ না করার অর্থ হচ্ছে সন্ত্রাসী ও লাঞ্ছনাকারীদের পরোক্ষভাবে সহায়তা করা। পরে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে যেসব তথ্য বেরিয়ে আসছে, তাতে লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে। দেশের ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে যারা পেশি ও পশুশক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে, তাদের ধিক্কার জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। বলা হয়েছে, আক্রমণকারীরা কলেজের ছাত্র নয়, বহিরাগত সন্ত্রাসী। বহিরাগত সন্ত্রাসীরা কীভাবে কলেজের অনুষ্ঠানে গেল, সে প্রশ্নের জবাব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দিতে হবে।
এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের গাফিলতিও অমার্জনীয়। কেউ অভিযোগ করেনি বলে তাঁরা দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। পুলিশের সামনে ডাকাত কোনো মানুষকে মেরে ফেললেও কি তাঁরা একই অজুহাত দেখিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন? আক্রমণের শিকার ব্যক্তির পক্ষে সব সময় প্রতিকার চাওয়ার সুযোগ নাও থাকতে পারে। তাই বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।
আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না, ছিল রাজনৈতিক শক্তির নিয়ন্ত্রণে। সেই রাজনৈতিক শক্তির উৎসও কারও অজানা নয়। ক্ষমতার ছত্রচ্ছায়ায় তারা বেড়ে ওঠে। তাদের সঙ্গে অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও একশ্রেণীর সংবাদকর্মীর দহরম-মহরম থাকাও অস্বাভাবিক নয়। তবে অপরাধীরা যত ক্ষমতাবানই হোক না কেন, তাদের বিচারের আওতায় আনার বিকল্প নেই। আনন্দ মোহন কলেজের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই পারে এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে।
ঘটনার খবর প্রকাশ না করার অর্থ হচ্ছে সন্ত্রাসী ও লাঞ্ছনাকারীদের পরোক্ষভাবে সহায়তা করা। পরে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে যেসব তথ্য বেরিয়ে আসছে, তাতে লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে। দেশের ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে যারা পেশি ও পশুশক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে, তাদের ধিক্কার জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। বলা হয়েছে, আক্রমণকারীরা কলেজের ছাত্র নয়, বহিরাগত সন্ত্রাসী। বহিরাগত সন্ত্রাসীরা কীভাবে কলেজের অনুষ্ঠানে গেল, সে প্রশ্নের জবাব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দিতে হবে।
এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের গাফিলতিও অমার্জনীয়। কেউ অভিযোগ করেনি বলে তাঁরা দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। পুলিশের সামনে ডাকাত কোনো মানুষকে মেরে ফেললেও কি তাঁরা একই অজুহাত দেখিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন? আক্রমণের শিকার ব্যক্তির পক্ষে সব সময় প্রতিকার চাওয়ার সুযোগ নাও থাকতে পারে। তাই বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।
আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না, ছিল রাজনৈতিক শক্তির নিয়ন্ত্রণে। সেই রাজনৈতিক শক্তির উৎসও কারও অজানা নয়। ক্ষমতার ছত্রচ্ছায়ায় তারা বেড়ে ওঠে। তাদের সঙ্গে অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও একশ্রেণীর সংবাদকর্মীর দহরম-মহরম থাকাও অস্বাভাবিক নয়। তবে অপরাধীরা যত ক্ষমতাবানই হোক না কেন, তাদের বিচারের আওতায় আনার বিকল্প নেই। আনন্দ মোহন কলেজের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই পারে এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে।
No comments