বস্ত্র খাতে বিনিয়োগের সব গন্তব্যই হচ্ছে বাংলাদেশ
বস্ত্র খাতে দেশি-বিদেশি সব ধরনের বিনিয়োগের গন্তব্য এখন বাংলাদেশ। বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব নেই। পুঁজিবাজার থেকেও এই অর্থ সংগ্রহ করা যায়। প্রয়োজন হচ্ছে সরকারের নীতি-সহায়তা ও অবকাঠামো অর্থাত্ গ্যাস-বিদ্যুতের নিশ্চয়তা।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি আবদুল হাই সরকার ‘সপ্তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বস্ত্র ও পোশাকশিল্পের যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী-২০১০’ উপলক্ষে গতকাল রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীর শুরু হচ্ছে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। এবারের প্রদর্শনীতে ৩০টি দেশের ৫৭০টি প্রতিষ্ঠান ৭৫০টি স্টলে নিজেদের তৈরি যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করবে।
আগামীকাল দুপুর ১২টায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
প্রতিদিন দুপুর ১২টায় প্রদর্শনী শুরু হয়ে রাত আটটা পর্যন্ত তা দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। প্রদর্শনীতে জার্মানি, জাপান, সুইজারল্যান্ড, চীন, ইতালি, আমেরিকা, তুরস্ক, স্পেন, ভারত, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, থাইল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ড ও সুইডেনের ৫৭০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
আবদুল হাই সরকার বলেন, আগে শিল্পের যন্ত্রপাতি কিনতে দেশের বিনিয়োগকারীদের যেতে হতো জার্মানি, জাপান, সুইজারল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এখন দেশের মাটিতেই এসব যন্ত্রপাতি পাওয়া যাচ্ছে। প্রদর্শনীর কারণে ভালোমন্দ যাচাই-বাছাই করে শিল্প মালিক-উদ্যোক্তারা এগুলো দামদর করে কিনতে পারছেন। এ ছাড়া কোনো যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন হলে সেটাও তাঁরা দেখে সংযোজন করতে পারছেন।
বিটিএমএর সভাপতি বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনীর জন্য একটি স্থায়ী অবকাঠামো গড়ে তুলতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। তিনি বলেন, বিশ্বের বড় বড় যন্ত্রপাতি উত্পাদকেরা এখন বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। বিনিয়োগকারীদেরও গন্তব্য বাংলাদেশ। তাঁর ভাষায়, ‘যদি গ্যাস-বিদ্যুতের নিশ্চয়তা দেওয়া যেত তাহলে এখনই ২০ শতাংশ অতিরিক্ত বিনিয়োগ হতো বাংলাদেশে।’ তিনি বলেন, সরকারের উচিত সর্বশক্তি দিয়ে গ্যাস-বিদ্যুত্সহ অবকাঠামো উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়া।
আবদুল হাই সরকার সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফরসঙ্গী হিসেবে ভারত সফর করেছেন। এর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ভারতের ব্যবসায়ীরা আমাদের বলেছেন, নিট খাতে তোমরা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছ। বাংলাদেশের সঙ্গে অনেক দেশই এখন প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছে।’
বিটিএমএর সভাপতি আরও বলেন, ‘আমাদের টাকা দেওয়ার দরকার নেই। নীতি-সহায়তা ও গ্যাস-বিদ্যুতের নিশ্চয়তা দিলেই চলবে। তাহলে শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশ বদলে যাবে।’ তিনি জানান, আগে বস্ত্রপণ্যের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের গন্তব্য ছিল থাইল্যান্ড, কোরিয়া, তাইওয়ান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ। কিন্তু এখন এই বিনিয়োগের গন্তব্য হচ্ছে বাংলাদেশ।
বিটিএমএর সঙ্গে যন্ত্রপাতির এই প্রদর্শনীর সহ-আয়োজক প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে হংকংয়ের ইয়র্কারস ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিসেস কোম্পানি এবং চাও ইন্টারন্যাশনাল লি.। সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএর সহসভাপতি সৈয়দ মঞ্জুরুল হক, আহমেদ আলী, তাজুল ইসলাম ঢালী, টাইগার লেন, জুডি হয়াং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি আবদুল হাই সরকার ‘সপ্তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বস্ত্র ও পোশাকশিল্পের যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী-২০১০’ উপলক্ষে গতকাল রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীর শুরু হচ্ছে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। এবারের প্রদর্শনীতে ৩০টি দেশের ৫৭০টি প্রতিষ্ঠান ৭৫০টি স্টলে নিজেদের তৈরি যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করবে।
আগামীকাল দুপুর ১২টায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
প্রতিদিন দুপুর ১২টায় প্রদর্শনী শুরু হয়ে রাত আটটা পর্যন্ত তা দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। প্রদর্শনীতে জার্মানি, জাপান, সুইজারল্যান্ড, চীন, ইতালি, আমেরিকা, তুরস্ক, স্পেন, ভারত, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, থাইল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ড ও সুইডেনের ৫৭০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
আবদুল হাই সরকার বলেন, আগে শিল্পের যন্ত্রপাতি কিনতে দেশের বিনিয়োগকারীদের যেতে হতো জার্মানি, জাপান, সুইজারল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এখন দেশের মাটিতেই এসব যন্ত্রপাতি পাওয়া যাচ্ছে। প্রদর্শনীর কারণে ভালোমন্দ যাচাই-বাছাই করে শিল্প মালিক-উদ্যোক্তারা এগুলো দামদর করে কিনতে পারছেন। এ ছাড়া কোনো যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন হলে সেটাও তাঁরা দেখে সংযোজন করতে পারছেন।
বিটিএমএর সভাপতি বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনীর জন্য একটি স্থায়ী অবকাঠামো গড়ে তুলতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। তিনি বলেন, বিশ্বের বড় বড় যন্ত্রপাতি উত্পাদকেরা এখন বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। বিনিয়োগকারীদেরও গন্তব্য বাংলাদেশ। তাঁর ভাষায়, ‘যদি গ্যাস-বিদ্যুতের নিশ্চয়তা দেওয়া যেত তাহলে এখনই ২০ শতাংশ অতিরিক্ত বিনিয়োগ হতো বাংলাদেশে।’ তিনি বলেন, সরকারের উচিত সর্বশক্তি দিয়ে গ্যাস-বিদ্যুত্সহ অবকাঠামো উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়া।
আবদুল হাই সরকার সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফরসঙ্গী হিসেবে ভারত সফর করেছেন। এর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ভারতের ব্যবসায়ীরা আমাদের বলেছেন, নিট খাতে তোমরা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছ। বাংলাদেশের সঙ্গে অনেক দেশই এখন প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছে।’
বিটিএমএর সভাপতি আরও বলেন, ‘আমাদের টাকা দেওয়ার দরকার নেই। নীতি-সহায়তা ও গ্যাস-বিদ্যুতের নিশ্চয়তা দিলেই চলবে। তাহলে শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশ বদলে যাবে।’ তিনি জানান, আগে বস্ত্রপণ্যের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের গন্তব্য ছিল থাইল্যান্ড, কোরিয়া, তাইওয়ান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ। কিন্তু এখন এই বিনিয়োগের গন্তব্য হচ্ছে বাংলাদেশ।
বিটিএমএর সঙ্গে যন্ত্রপাতির এই প্রদর্শনীর সহ-আয়োজক প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে হংকংয়ের ইয়র্কারস ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিসেস কোম্পানি এবং চাও ইন্টারন্যাশনাল লি.। সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএর সহসভাপতি সৈয়দ মঞ্জুরুল হক, আহমেদ আলী, তাজুল ইসলাম ঢালী, টাইগার লেন, জুডি হয়াং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন
No comments