শিশু পাচারের অভিযোগে হাইতিতে ১০ মার্কিন নাগরিক আটক
শিশু পাচারের অভিযোগে হাইতির পুলিশ ১০ জন মার্কিন নাগরিককে আটক করেছে। হাইতির সমাজকল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী ইভেস ক্রিস্টালিন জানান, ৩১ জন শিশুকে নিয়ে ডোমিনিকান রিপাবলিকে ঢোকার সময় গত শুক্রবার রাতে মার্কিন পাসপোর্টধারী পাঁচজন পুরুষ ও পাঁচজন মহিলা এবং হাইতির দুজন নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ। মন্ত্রী জানান, এ ঘটনার সঙ্গে দুজন ধর্মযাজকও জড়িত। তাঁদের একজন হাইতির এবং অন্যজন জর্জিয়ার অধিবাসী।
ক্রিস্টালিন বলেন, এটা কোনো দত্তক গ্রহণ নয়, অপহরণ। তিনি জানান, হাইতির শিশুগুলোকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কোনো বৈধ কাগজপত্র মার্কিন নাগরিকদের কাছে ছিল না। এমনকি তাদের বাবা-মায়ের সম্মতিপত্রও ছিল না। তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই শিশুদের নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বয়স দুই মাস থেকে ১২ বছরের মধ্যে।
ক্রিস্টালিন বলেন, হাইতি থেকে কোনো শিশুকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে হলে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হবে। তবে এ বিষয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে হাইতিতে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
হাইতির কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের দত্তক নেওয়ার নামে পাচারকারীরা হাইতি থেকে এসব শিশুকে পাচার করছিল। এ ছাড়া আরও উদ্বেগের বিষয়, অনেক শিশুর বাবা-মা মারা গেছেন কি না, সেটাও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার আগেই ওই শিশুদের দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
এদিকে ভূমিকম্পে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের চিকিত্সার জন্য হাইতি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। গত বুধবার থেকে মার্কিন সেনারা হাইতি থেকে ফ্লোরিডাগামী এসব ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়।
হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, চিকিত্সার খরচ কে বহন করবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে নয় বরং সরবরাহসংশ্লিষ্ট সমস্যার কারণে ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে।
কিন্তু ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাইতিতে নিযুক্ত মার্কিন চিকিত্সকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মার্কিন চিকিত্সক বার্থ গ্রিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে শিগগিরই চিকিত্সাসেবা না পেলে হাইতিতে বহু লোক মারা যাবে
ক্রিস্টালিন বলেন, এটা কোনো দত্তক গ্রহণ নয়, অপহরণ। তিনি জানান, হাইতির শিশুগুলোকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কোনো বৈধ কাগজপত্র মার্কিন নাগরিকদের কাছে ছিল না। এমনকি তাদের বাবা-মায়ের সম্মতিপত্রও ছিল না। তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই শিশুদের নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বয়স দুই মাস থেকে ১২ বছরের মধ্যে।
ক্রিস্টালিন বলেন, হাইতি থেকে কোনো শিশুকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে হলে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হবে। তবে এ বিষয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে হাইতিতে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
হাইতির কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের দত্তক নেওয়ার নামে পাচারকারীরা হাইতি থেকে এসব শিশুকে পাচার করছিল। এ ছাড়া আরও উদ্বেগের বিষয়, অনেক শিশুর বাবা-মা মারা গেছেন কি না, সেটাও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার আগেই ওই শিশুদের দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
এদিকে ভূমিকম্পে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের চিকিত্সার জন্য হাইতি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। গত বুধবার থেকে মার্কিন সেনারা হাইতি থেকে ফ্লোরিডাগামী এসব ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়।
হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, চিকিত্সার খরচ কে বহন করবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে নয় বরং সরবরাহসংশ্লিষ্ট সমস্যার কারণে ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে।
কিন্তু ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাইতিতে নিযুক্ত মার্কিন চিকিত্সকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মার্কিন চিকিত্সক বার্থ গ্রিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে শিগগিরই চিকিত্সাসেবা না পেলে হাইতিতে বহু লোক মারা যাবে
No comments