একরামুলের এক কেজির আক্ষেপ
অ্যাটেনশন প্লিজ...এখনই বাজবে সোনাজয়ী দেশের জাতীয় সংগীত’—জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জিমনেসিয়ামে স্বেচ্ছাসেবকের কণ্ঠ থেকে এল ঘোষণা। আস্তে আস্তে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকা তুলতে লাগলেন তিন স্কাউট। অনিশ্চয়তার ছায়া ফেলল তাদের মুখে। মাইকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতই আশা করেছিল হয়তো তারা। কিন্তু বেজে উঠল শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীত! ভারোত্তোলনের ৫৬ কেজি ওজন শ্রেণীতে সোনার কাছাকাছি গিয়েও সেটি হাতছাড়া করে ফেলেন বাংলাদেশের একরামুল হক।
সেটি চলে গেল শ্রীলঙ্কার কুয়ানাগোলের ২৫ বছর বয়সী তরুণ ওয়াতা আসে কামালের গলায়। মাত্র ১ কেজি পিছিয়ে থাকায় রুপা পেলেন একরামুল। এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন পাকিস্তানের আবদুল্লাহ গফুর।
স্বাগতিক দেশ হয়েও মেয়েদের ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত করতে পারেনি বলে একটা আফসোস ছিল ফেডারেশনে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই তো বেশি ভালো ভারোত্তোলনে। এই আক্ষেপটা হয়তো মিটেই যেত। সোনা জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন একরামুল। ফেবারিট ভারতের শ্রীনিবাস স্ন্যাচে দুবার ১০৩ কেজি করে তুললেও তৃতীয়বার ডিসকোয়ালিফায়েড হয়ে যান। আর এতেই চোখ চকচক করে ওঠে বাংলাদেশের ফেডারেশন কর্মকর্তাদের। পারলে তখনই হয়তো তারা লাফ দিয়ে ওঠেন। কিন্তু তখনো বাকি ছিল ক্লিন অ্যান্ড জার্ক।
সেখানেই হলো একরামুলের পরীক্ষা। আগের রাউন্ডে স্ন্যাচে ১০২ কেজি তুলে অন্য সবার চেয়ে এগিয়েই ছিলেন একরামুল। যেখানে শ্রীলঙ্কার কামাল তোলেন ৯৫ কেজি, পাকিস্তানের আবদুল্লাহ গফুর ৯৭ কেজি এবং চতুর্থ হওয়া নেপালের হেম শঙ্কর ওঠান ৭৫ কেজি।
দ্বিতীয় পর্বটা ছিল ক্লিন অ্যান্ড জার্কের। কখনো ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ ধ্বনি উঠছে, কখনো ‘একরামুল, একরামুল’ বলে। একরামুল মঞ্চে উঠলেন। নড়েচড়ে বসল সবাই। কিন্তু প্রথম দফা ভালো করলেও দ্বিতীয় দফায় পারলেন না। তাঁকে টপকে গেলেন শ্রীলঙ্কার কামাল।
সোনাটা একটুর জন্য ‘সোনার হরিণ’ হয়ে গেল। একরামুল চুপচাপ, পরে তাঁর কাছে গিয়ে জানা গেল সোনার স্বপ্ন দেখে সেটা হারিয়ে ফেলেছেন বলেই বিষণ্ন। তবে এতটাও আশা করেননি ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। এবারও বড়জোর ব্রোঞ্জেরই আশা ছিল, ‘নেপাল শ্রীলঙ্কার সঙ্গে লড়াই করে ১টা পদক এলেই কম হতো না।’
কামালকে নিয়ে তখন শুরু হয়ে গেছে সে দেশের মিডিয়ার কাড়াকাড়ি। রেডিও থেকে সরাসরি সাক্ষাত্কার নেয় তো, টেলিভিশন ক্যামেরা থাকে অপেক্ষায়। নিজেও জানালেন, ‘ভীষণ ভালো লাগছে। এই প্রথম এসএ গেমসে অংশ নিলাম। আর প্রথমবারই সোনা।’ তাদের দলের ম্যানেজার ও জাতীয় দলের কোচ আর বি বিক্রম সিংহে জানালেন, ‘এটা আসলে আমাদের কাছেও অপ্রত্যাশিত। ভারত হেরে যাওয়ার পরই মনে হলো কিছু হতে পারে। তবে ও ওর বুদ্ধিমত্তা ও কৌশল দিয়ে এখানে সোনা জিতেছে।’ কামালকে তখনো ঘিরে রয়েছে মিডিয়া। দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখলেন একরামুল।
সেটি চলে গেল শ্রীলঙ্কার কুয়ানাগোলের ২৫ বছর বয়সী তরুণ ওয়াতা আসে কামালের গলায়। মাত্র ১ কেজি পিছিয়ে থাকায় রুপা পেলেন একরামুল। এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন পাকিস্তানের আবদুল্লাহ গফুর।
স্বাগতিক দেশ হয়েও মেয়েদের ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত করতে পারেনি বলে একটা আফসোস ছিল ফেডারেশনে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই তো বেশি ভালো ভারোত্তোলনে। এই আক্ষেপটা হয়তো মিটেই যেত। সোনা জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন একরামুল। ফেবারিট ভারতের শ্রীনিবাস স্ন্যাচে দুবার ১০৩ কেজি করে তুললেও তৃতীয়বার ডিসকোয়ালিফায়েড হয়ে যান। আর এতেই চোখ চকচক করে ওঠে বাংলাদেশের ফেডারেশন কর্মকর্তাদের। পারলে তখনই হয়তো তারা লাফ দিয়ে ওঠেন। কিন্তু তখনো বাকি ছিল ক্লিন অ্যান্ড জার্ক।
সেখানেই হলো একরামুলের পরীক্ষা। আগের রাউন্ডে স্ন্যাচে ১০২ কেজি তুলে অন্য সবার চেয়ে এগিয়েই ছিলেন একরামুল। যেখানে শ্রীলঙ্কার কামাল তোলেন ৯৫ কেজি, পাকিস্তানের আবদুল্লাহ গফুর ৯৭ কেজি এবং চতুর্থ হওয়া নেপালের হেম শঙ্কর ওঠান ৭৫ কেজি।
দ্বিতীয় পর্বটা ছিল ক্লিন অ্যান্ড জার্কের। কখনো ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ ধ্বনি উঠছে, কখনো ‘একরামুল, একরামুল’ বলে। একরামুল মঞ্চে উঠলেন। নড়েচড়ে বসল সবাই। কিন্তু প্রথম দফা ভালো করলেও দ্বিতীয় দফায় পারলেন না। তাঁকে টপকে গেলেন শ্রীলঙ্কার কামাল।
সোনাটা একটুর জন্য ‘সোনার হরিণ’ হয়ে গেল। একরামুল চুপচাপ, পরে তাঁর কাছে গিয়ে জানা গেল সোনার স্বপ্ন দেখে সেটা হারিয়ে ফেলেছেন বলেই বিষণ্ন। তবে এতটাও আশা করেননি ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। এবারও বড়জোর ব্রোঞ্জেরই আশা ছিল, ‘নেপাল শ্রীলঙ্কার সঙ্গে লড়াই করে ১টা পদক এলেই কম হতো না।’
কামালকে নিয়ে তখন শুরু হয়ে গেছে সে দেশের মিডিয়ার কাড়াকাড়ি। রেডিও থেকে সরাসরি সাক্ষাত্কার নেয় তো, টেলিভিশন ক্যামেরা থাকে অপেক্ষায়। নিজেও জানালেন, ‘ভীষণ ভালো লাগছে। এই প্রথম এসএ গেমসে অংশ নিলাম। আর প্রথমবারই সোনা।’ তাদের দলের ম্যানেজার ও জাতীয় দলের কোচ আর বি বিক্রম সিংহে জানালেন, ‘এটা আসলে আমাদের কাছেও অপ্রত্যাশিত। ভারত হেরে যাওয়ার পরই মনে হলো কিছু হতে পারে। তবে ও ওর বুদ্ধিমত্তা ও কৌশল দিয়ে এখানে সোনা জিতেছে।’ কামালকে তখনো ঘিরে রয়েছে মিডিয়া। দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখলেন একরামুল।
No comments