মোট বাজার মূলধন দুই লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে by হাসান ইমাম
বড় ধরনের দরপতনের পরের দিনই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের শেয়ারবাজারের মূল্যসূচক। আগের দিন যে গতিতে সূচকের পতন হয়েছিল, গতকাল বৃহস্পতিবার তার চেয়েও বেশি গতিতে বেড়েছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ এই গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়েনি, বরং কমেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক প্রায় ১৩৪ পয়েন্ট বা তিন শতাংশ বেড়ে চার হাজার ৮৩৮ পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। গত ১৬ নভেম্বর গ্রামীণফোনের তালিকাভুক্তির দিন ছাড়া এক দিনের সূচক বাড়ার এটাই সর্বোচ্চ নজির।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ৩৭৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৮৮ পয়েন্ট হয়েছে। সূচক বৃদ্ধির এই ধারা বাজার মূলধনের পরিমাণকেও নিয়ে গেছে নতুন উচ্চতায়। গতকাল প্রথমবারের মতো ডিএসইর বাজার মূলধন দুই লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। বাজার মূলধনের এই পরিমাণ মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) প্রায় ৩৩ শতাংশ।
সূত্র জানায়, ডিএসইতে তালিকাভুক্ত সব ধরনের সিকিউরিটিজের গতকালের সমাপনী মূল্যের ভিত্তিতে মোট বাজার মূলধন দাঁড়ায় দুই লাখ ৮৮১ কোটি টাকা। এর মধ্যে শেয়ার মূলধন এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি এবং ঋণপত্রের মূলধন ৩৫ হাজার ৭৮১ কোটি টাকার মতো।
তবে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা কম হওয়ায় সিএসইর বাজার মূলধন এক লাখ ৬০ হাজার কোটির ঘরে রয়েছে।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) হঠাত্ হস্তক্ষেপই আগের দিনের সূচক পতনের মূল কারণ ছিল। তবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বাজারে শেয়ার সরবরাহ বাড়ানোর ঘোষণায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে এসেছে। আর এরই প্রতিফলন ঘটেছে গতকালের মূল্যসূচকে।
বাজার সম্পর্কে ডিএসইর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, অর্থমন্ত্রী গতকাল ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাজারে শেয়ার ছাড়ার তাগিদ দিয়েছেন। বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের জন্য যথেষ্ট উত্সাহব্যঞ্জক, যা তাঁদের আস্থা বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে। তা ছাড়া বাজারে প্রচুর টাকা রয়েছে। এসব ঘটনা মূল্যসূচক বাড়াতে বেশি অবদান রেখেছে।
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাজারে সরবরাহ বাড়াতে সরকারের উচিত তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার আগে ছাড়া।
এদিকে গতকাল দুপুরে এসইসির সঙ্গে এক বৈঠকে ডিএসই ও সিএসইর নেতারা বাজার চলাকালীন নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, এ ধরনের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা তাঁদের সামনে আবারও হস্তক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা ঋণ অনুপাত ও আর্থিক সমন্বয় সুবিধা বা নেটিং সম্পর্কে যৌথভাবে সিদ্ধান্তের পরিকল্পনা নিয়েছেন। একটি বা দুটি প্রতিষ্ঠানকে হঠাত্ করে টেলিফোনের মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা না করতেও এসইসিকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।
বাজার পরিস্থিতি: ডিএসইতে গতকাল এক হাজার ৭২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের দিনের রেকর্ড পরিমাণ লেনদেনের চেয়ে যা প্রায় ৩৬৬ কোটি টাকা কম। সিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে ৭৮ কোটি টাকার শেয়ার।
ডিএসইতে ২৩৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২২৩টির, কমেছে মাত্র ১৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল একটি কোম্পানির শেয়ার।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১৭টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৭টির, কমেছে ১৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল একটি কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক প্রায় ১৩৪ পয়েন্ট বা তিন শতাংশ বেড়ে চার হাজার ৮৩৮ পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। গত ১৬ নভেম্বর গ্রামীণফোনের তালিকাভুক্তির দিন ছাড়া এক দিনের সূচক বাড়ার এটাই সর্বোচ্চ নজির।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ৩৭৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৮৮ পয়েন্ট হয়েছে। সূচক বৃদ্ধির এই ধারা বাজার মূলধনের পরিমাণকেও নিয়ে গেছে নতুন উচ্চতায়। গতকাল প্রথমবারের মতো ডিএসইর বাজার মূলধন দুই লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। বাজার মূলধনের এই পরিমাণ মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) প্রায় ৩৩ শতাংশ।
সূত্র জানায়, ডিএসইতে তালিকাভুক্ত সব ধরনের সিকিউরিটিজের গতকালের সমাপনী মূল্যের ভিত্তিতে মোট বাজার মূলধন দাঁড়ায় দুই লাখ ৮৮১ কোটি টাকা। এর মধ্যে শেয়ার মূলধন এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি এবং ঋণপত্রের মূলধন ৩৫ হাজার ৭৮১ কোটি টাকার মতো।
তবে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা কম হওয়ায় সিএসইর বাজার মূলধন এক লাখ ৬০ হাজার কোটির ঘরে রয়েছে।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) হঠাত্ হস্তক্ষেপই আগের দিনের সূচক পতনের মূল কারণ ছিল। তবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বাজারে শেয়ার সরবরাহ বাড়ানোর ঘোষণায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে এসেছে। আর এরই প্রতিফলন ঘটেছে গতকালের মূল্যসূচকে।
বাজার সম্পর্কে ডিএসইর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, অর্থমন্ত্রী গতকাল ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাজারে শেয়ার ছাড়ার তাগিদ দিয়েছেন। বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের জন্য যথেষ্ট উত্সাহব্যঞ্জক, যা তাঁদের আস্থা বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে। তা ছাড়া বাজারে প্রচুর টাকা রয়েছে। এসব ঘটনা মূল্যসূচক বাড়াতে বেশি অবদান রেখেছে।
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাজারে সরবরাহ বাড়াতে সরকারের উচিত তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার আগে ছাড়া।
এদিকে গতকাল দুপুরে এসইসির সঙ্গে এক বৈঠকে ডিএসই ও সিএসইর নেতারা বাজার চলাকালীন নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, এ ধরনের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা তাঁদের সামনে আবারও হস্তক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা ঋণ অনুপাত ও আর্থিক সমন্বয় সুবিধা বা নেটিং সম্পর্কে যৌথভাবে সিদ্ধান্তের পরিকল্পনা নিয়েছেন। একটি বা দুটি প্রতিষ্ঠানকে হঠাত্ করে টেলিফোনের মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা না করতেও এসইসিকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।
বাজার পরিস্থিতি: ডিএসইতে গতকাল এক হাজার ৭২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের দিনের রেকর্ড পরিমাণ লেনদেনের চেয়ে যা প্রায় ৩৬৬ কোটি টাকা কম। সিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে ৭৮ কোটি টাকার শেয়ার।
ডিএসইতে ২৩৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২২৩টির, কমেছে মাত্র ১৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল একটি কোম্পানির শেয়ার।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১৭টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৭টির, কমেছে ১৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল একটি কোম্পানির।
No comments