বাংলাদেশের আসল পরীক্ষার নাম তো টেস্ট
সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচ সাকিব আল হাসানের উপলব্ধিটাও যেন বদলে দিল একটু। শিশিরের কারণেই হোক কিংবা বোলারদের ব্যর্থতায়, ভারতের বিপক্ষে পরশুর ম্যাচের আগ পর্যন্ত এই সিরিজের বোলিং মন ভরাতে পারেনি তাঁর। কিন্তু কাল বিসিবি অফিসে কী একটা কাজে এসে বলে গেলেন, ‘ব্যাটিং বলেন...বোলিং বলেন, আমি সবকিছুতেই সন্তুষ্ট।’
আইডিয়া কাপের শিশির-তত্ত্ব অনুযায়ী, আপনি যত ভালো বোলিংই করুন, শিশির সেটাকে ভিজিয়ে দেবেই। পরে বল করলে অবধারিতভাবে খারাপই হবে। পরশুর ম্যাচে শিশিরের সেই বাধা বাংলাদেশ বোলাররা অতিক্রম করতে পেরেছেন বলে মনে করেন সাকিব। এদিন শিশির খুব বেশি সমস্যা সৃষ্টি না করলেও অবশেষে বোলাররা তাঁদের সামর্থ্যের কিছুটা তো দেখাল—অধিনায়কের তৃপ্তি সেখানেই।
কোচ জেমি সিডন্স অবশ্য এত সহজে তৃপ্ত হতে পারছেন না। ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে আগে বলে নিচ্ছেন বোলিং আর ফিল্ডিং নিয়ে হতাশার কথা। কাল মিরপুর ইনডোরে টেস্ট সিরিজের অনুশীলন শুরুর আগে যেমন বললেন, ‘বোলিং ভালো হচ্ছে না। মাশরাফিকে ছাড়া পেস আক্রমণ আসলেই দুর্বল।’ স্পিনারদের পারফরম্যান্সেও খুব খুশি মনে হলো না তাঁকে। আকারে-ইঙ্গিতে বোঝাতে চাইলেন, বাংলাদেশের স্পিনাররা ভালো বল করেন কেবল স্পিন-সহায়ক উইকেটে। তবে ব্যাটিং নিয়ে যারপরনাই সন্তুষ্টই কোচ, ‘গড়ে ২৫০-এর বেশি রান করতে পারা অবশ্যই ভালো লক্ষণ। তা ছাড়া এই সিরিজে আমরা দুবার খুব বাজে শুরু করেও শেষ পর্যন্ত বড় স্কোর করতে পেরেছি, যেটা এর আগে কখনো হয়নি।’
বাংলাদেশ কোচের বিশ্বাস, ভারতের বিপক্ষে ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু টেস্ট সিরিজে বোলিং নিয়েও দুশ্চিন্তার কিছু থাকবে না। স্পিনই বোলিংয়ে বাংলাদেশের ভরসার জায়গা। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা যে আবার স্পিনারদের পেটাতেই বেশি আরাম পান! এটুকু বলতেই ভুলটা ধরিয়ে দিয়ে সিডন্স বললেন, ‘শুধু স্পিনে নয়, ওরা সবকিছুতেই ভালো। তাই বলে সুপারম্যান তো নয়। আমাদের সাকিব বিশ্বমানের স্পিনার। ও জায়গামতো বল করতে পারলে ভারতের জন্য তাই কাজটা এত সহজ হবে না।’
তবে সার্বিকভাবে টেস্ট সিরিজ নিয়ে একটু যেন চিন্তিতই মনে হলো সিডন্সকে। বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে প্রায় ছয় মাস আগে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। দেশের মাটিতে টেস্ট খেলেছে তারও আগে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত জানুয়ারিতে। আবার টেস্টে ফেরা হচ্ছে বলে কিছুটা রোমাঞ্চিত কি না জানতে চাইলে পাল্টা প্রশ্ন দিয়ে উত্তর শুরু করলেন কোচ, ‘আপনি নিজে কি রোমাঞ্চিত? টেস্টে তো একটা সেশনেই সব শেষ হয়ে যেতে পারে আমাদের। টেস্টে ভালো কিছু করতে হলে প্রতিটা সেশনেই ভালো খেলতে হবে।’
কথাটা মিথ্যে নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাফল্যের পর এই ত্রিদেশীয় সিরিজটাকে বলা হচ্ছিল বাংলাদেশ দলের জন্য আসল পরীক্ষা। কিন্তু আসল পরীক্ষা যে টেস্টে, কাল সিডন্সই মনে করিয়ে দিলেন সেটা
আইডিয়া কাপের শিশির-তত্ত্ব অনুযায়ী, আপনি যত ভালো বোলিংই করুন, শিশির সেটাকে ভিজিয়ে দেবেই। পরে বল করলে অবধারিতভাবে খারাপই হবে। পরশুর ম্যাচে শিশিরের সেই বাধা বাংলাদেশ বোলাররা অতিক্রম করতে পেরেছেন বলে মনে করেন সাকিব। এদিন শিশির খুব বেশি সমস্যা সৃষ্টি না করলেও অবশেষে বোলাররা তাঁদের সামর্থ্যের কিছুটা তো দেখাল—অধিনায়কের তৃপ্তি সেখানেই।
কোচ জেমি সিডন্স অবশ্য এত সহজে তৃপ্ত হতে পারছেন না। ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে আগে বলে নিচ্ছেন বোলিং আর ফিল্ডিং নিয়ে হতাশার কথা। কাল মিরপুর ইনডোরে টেস্ট সিরিজের অনুশীলন শুরুর আগে যেমন বললেন, ‘বোলিং ভালো হচ্ছে না। মাশরাফিকে ছাড়া পেস আক্রমণ আসলেই দুর্বল।’ স্পিনারদের পারফরম্যান্সেও খুব খুশি মনে হলো না তাঁকে। আকারে-ইঙ্গিতে বোঝাতে চাইলেন, বাংলাদেশের স্পিনাররা ভালো বল করেন কেবল স্পিন-সহায়ক উইকেটে। তবে ব্যাটিং নিয়ে যারপরনাই সন্তুষ্টই কোচ, ‘গড়ে ২৫০-এর বেশি রান করতে পারা অবশ্যই ভালো লক্ষণ। তা ছাড়া এই সিরিজে আমরা দুবার খুব বাজে শুরু করেও শেষ পর্যন্ত বড় স্কোর করতে পেরেছি, যেটা এর আগে কখনো হয়নি।’
বাংলাদেশ কোচের বিশ্বাস, ভারতের বিপক্ষে ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু টেস্ট সিরিজে বোলিং নিয়েও দুশ্চিন্তার কিছু থাকবে না। স্পিনই বোলিংয়ে বাংলাদেশের ভরসার জায়গা। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা যে আবার স্পিনারদের পেটাতেই বেশি আরাম পান! এটুকু বলতেই ভুলটা ধরিয়ে দিয়ে সিডন্স বললেন, ‘শুধু স্পিনে নয়, ওরা সবকিছুতেই ভালো। তাই বলে সুপারম্যান তো নয়। আমাদের সাকিব বিশ্বমানের স্পিনার। ও জায়গামতো বল করতে পারলে ভারতের জন্য তাই কাজটা এত সহজ হবে না।’
তবে সার্বিকভাবে টেস্ট সিরিজ নিয়ে একটু যেন চিন্তিতই মনে হলো সিডন্সকে। বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে প্রায় ছয় মাস আগে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। দেশের মাটিতে টেস্ট খেলেছে তারও আগে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত জানুয়ারিতে। আবার টেস্টে ফেরা হচ্ছে বলে কিছুটা রোমাঞ্চিত কি না জানতে চাইলে পাল্টা প্রশ্ন দিয়ে উত্তর শুরু করলেন কোচ, ‘আপনি নিজে কি রোমাঞ্চিত? টেস্টে তো একটা সেশনেই সব শেষ হয়ে যেতে পারে আমাদের। টেস্টে ভালো কিছু করতে হলে প্রতিটা সেশনেই ভালো খেলতে হবে।’
কথাটা মিথ্যে নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাফল্যের পর এই ত্রিদেশীয় সিরিজটাকে বলা হচ্ছিল বাংলাদেশ দলের জন্য আসল পরীক্ষা। কিন্তু আসল পরীক্ষা যে টেস্টে, কাল সিডন্সই মনে করিয়ে দিলেন সেটা
No comments