ইরাক যুদ্ধে ব্রিটেন অংশ নিক তা চাননি প্রিন্স চার্লস
ইরাক যুদ্ধে ব্রিটেন অংশ নিক, এটা কখনোই চাননি প্রিন্স চার্লস। সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের ইরাক যুদ্ধে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রাক্কালে তিনি এর কড়া বিরোধিতা করেন। এমনকি ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের অলিখিত নিয়ম ভঙ্গ করে ইরাক যুদ্ধ থেকে বিরত থাকতে সে সময়কার জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদদের প্রভাবিত করেছিলেন তিনি। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে ব্লেয়ার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল।
প্রিন্স চার্লসের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এসব কথা বলেছেন। ব্রিটেনের সর্বাধিক বিক্রীত সংবাদপত্র নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড প্রিন্স চার্লসের সহযোগীদের বরাত দিয়ে এসব কথা জানিয়েছে। খবর এএনআই ও ডেইলি ইন্ডিয়া ডটকমের।
পত্রিকাটি বলেছে, প্রিন্স চার্লস নেপথ্যে থেকে সব সময়ই ইরাক যুদ্ধের বিরোধিতা করেন। চার্লস মনে করতেন, ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়ে টনি ব্লেয়ার বড় ধরনের ভুল করছেন। ইরাক যুদ্ধের ব্যাপারে ব্রিটেনের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও রাজনীতিবিদদের কাছে চার্লস তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে তুলে ধরেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, ব্রিটিশ সেনাদের ইরাকে পাঠানোটা হবে বড় ধরনের একটা বিপর্যয়। পরবর্তী সময়ে তাঁর কথাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
পত্রিকাটি আরও বলেছে, ইরাক যুদ্ধ ঘিরে প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের কড়া সমালোচক ছিলেন প্রিন্স চার্লস। তিনি শ্লেষাত্মক সুরে ব্লেয়ারকে ‘আওয়ার গ্লোরিয়াস লিডার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
প্রিন্স চার্লস ইরাক যুদ্ধে মার্কিন নীতিরও কড়া সমালোচক ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ভুল সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানান। ইরাক যুদ্ধ নিয়ে শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট বুশ ও তাঁর প্রশাসনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করতেন তিনি। তাঁর মতে, ইরাক যুদ্ধের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপই সঠিক ছিল না। ইরাকে হামলা চালিয়ে বুশ ও বুশ প্রশাসনের নীতি চার্লসকে হতবুদ্ধি করে তোলে। অপর একটি সূত্র দাবি করেছে, বুশের হঠকারী সিদ্ধান্তে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন চার্লস।
ইরাক যুদ্ধে অংশ নেওয়া না-নেওয়া নিয়ে ব্রিটিশ সরকার যখন দোলাচলে ভুগছিল, তখন প্রিন্স চার্লস বারবার এ বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চাপ দিয়েছিলেন বলে খবরে বলা হয়েছে।
ইরাক যুদ্ধের প্রাক্কালে পিন্স চার্লস আরব দেশগুলোতে সফর করেন। সেসব দেশের নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। ইরাক যুদ্ধের ব্যাপারে চার্লস তাঁর উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন। চার্লস চাচ্ছিলেন, আরব দেশের নেতারা যেন ইরাক যুদ্ধের ব্যাপারে একটা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন।
চার্লসের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেছেন, তখনকার ব্রিটিশ সরকার প্রিন্স চার্লসের কথা কানে নিলে পুরো বিষয়টিই আজ অন্য রকম হতে পারত। নিঃসন্দেহে তা একটি ইতিবাচক বিষয়ের অবতারণা করত
প্রিন্স চার্লসের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এসব কথা বলেছেন। ব্রিটেনের সর্বাধিক বিক্রীত সংবাদপত্র নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড প্রিন্স চার্লসের সহযোগীদের বরাত দিয়ে এসব কথা জানিয়েছে। খবর এএনআই ও ডেইলি ইন্ডিয়া ডটকমের।
পত্রিকাটি বলেছে, প্রিন্স চার্লস নেপথ্যে থেকে সব সময়ই ইরাক যুদ্ধের বিরোধিতা করেন। চার্লস মনে করতেন, ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়ে টনি ব্লেয়ার বড় ধরনের ভুল করছেন। ইরাক যুদ্ধের ব্যাপারে ব্রিটেনের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও রাজনীতিবিদদের কাছে চার্লস তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে তুলে ধরেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, ব্রিটিশ সেনাদের ইরাকে পাঠানোটা হবে বড় ধরনের একটা বিপর্যয়। পরবর্তী সময়ে তাঁর কথাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
পত্রিকাটি আরও বলেছে, ইরাক যুদ্ধ ঘিরে প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের কড়া সমালোচক ছিলেন প্রিন্স চার্লস। তিনি শ্লেষাত্মক সুরে ব্লেয়ারকে ‘আওয়ার গ্লোরিয়াস লিডার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
প্রিন্স চার্লস ইরাক যুদ্ধে মার্কিন নীতিরও কড়া সমালোচক ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ভুল সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানান। ইরাক যুদ্ধ নিয়ে শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট বুশ ও তাঁর প্রশাসনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করতেন তিনি। তাঁর মতে, ইরাক যুদ্ধের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপই সঠিক ছিল না। ইরাকে হামলা চালিয়ে বুশ ও বুশ প্রশাসনের নীতি চার্লসকে হতবুদ্ধি করে তোলে। অপর একটি সূত্র দাবি করেছে, বুশের হঠকারী সিদ্ধান্তে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন চার্লস।
ইরাক যুদ্ধে অংশ নেওয়া না-নেওয়া নিয়ে ব্রিটিশ সরকার যখন দোলাচলে ভুগছিল, তখন প্রিন্স চার্লস বারবার এ বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চাপ দিয়েছিলেন বলে খবরে বলা হয়েছে।
ইরাক যুদ্ধের প্রাক্কালে পিন্স চার্লস আরব দেশগুলোতে সফর করেন। সেসব দেশের নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। ইরাক যুদ্ধের ব্যাপারে চার্লস তাঁর উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন। চার্লস চাচ্ছিলেন, আরব দেশের নেতারা যেন ইরাক যুদ্ধের ব্যাপারে একটা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন।
চার্লসের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেছেন, তখনকার ব্রিটিশ সরকার প্রিন্স চার্লসের কথা কানে নিলে পুরো বিষয়টিই আজ অন্য রকম হতে পারত। নিঃসন্দেহে তা একটি ইতিবাচক বিষয়ের অবতারণা করত
No comments